নিজস্ব প্রতিবেদক : কেউ চীন থেকে এলেও তাকে নিয়ে আতঙ্কিত হতে মানা করেছে সরকারের রোগতত্ত্ব, রোগ নিয়ন্ত্রণ ও গবেষণা প্রতিষ্ঠান ‘আইইডিসিআর’। সোমবার নিয়মিত সংবাদ সম্মেলনে আইইডিসিআর একথা জানায়।
দেড় মাস আগে চীনে নতুন ধরনের করোনাভাইরাস সংক্রমণের পর তা বিশ্ববাসীর জন্যও আতঙ্ক হয়ে দেখা দিয়েছে। দেড় হাজারের বেশি মানুষ ইতোমধ্যে মারা গেছে, আক্রান্তের সংখ্যাও ৭০ হাজার ছাড়িয়েছে।
এর মধ্যেই চীনের অন্যান্য প্রদেশ এবং সিঙ্গাপুর থেকে ফেরা বাংলাদেশিদের নিয়ে তাদের এলাকায় আতঙ্ক দেখা দেয়। তাদের হাসপাতালে যেতে চাপ দেওয়ার ঘটনাও ঘটছে।
আইইডিসিআরের পরিচালক অধ্যাপক ডা. মীরজাদী সেব্রিনা ফ্লোরা সংবাদ সম্মেলনে বলেন, চীন ও সিঙ্গাপুর থেকে ফেরা বাংলাদেশিদের নিয়ে মানুষের ভেতরে কিছু ভুল ধারণা তৈরি হয়েছে। আমরা একটা বিষয় দেখতে পাচ্ছি, ইদানীং সিঙ্গাপুর বা চীন থেকে আসলেই তাকে আইসোলেশন করার একটা প্রেসার আসে মানুষ এবং সংশ্লিষ্ট বিভিন্ন বিভাগের কাছ থেকে। কিন্তু চায়না বা সিঙ্গাপুর থেকে আসলেই তো তারা করোনাভাইরাসে আক্রান্ত না।
চীনের বাইরে দুই ডজনের বেশি দেশে এই ভাইরাস ছড়িয়েছে, এর মধ্যে চীনের পর সবচেয়ে বেশি আক্রান্তের সংখ্যা সিঙ্গাপুরে, সেখানে কয়েকজন বাংলাদেশিও ভাইরাস সংক্রমণের শিকার হয়েছেন।
ডা. মীরজাদী সেব্রিনা বলেন, সিঙ্গাপুর থেকে বা চীন থেকে আসলেই তাকে হাসপাতালের আইসোলেশনে নেওয়ার কোনো প্রয়োজন নেই।
চীনের যে নগরীতে প্রথম ভাইরাস সংক্রমণ ঘটে, সেখানে থাকা তিন শতাধিক বাংলাদেশিকে দেশে ফিরিয়ে আনার পর দুই সপ্তাহ ঢাকায় কোয়ারেন্টিনে রাখা হয়।
বাংলাদেশে এই পর্যন্ত ৬৬ জনের নমুনা পরীক্ষা করে কারও শরীরে নভেল করোনাভাইরাসের উপস্থিতি পাওয়া যায়নি বলে জানান ডা. ফ্লোরা।
কডিভ-১৯ ছড়িয়ে পড়ার পর গত ১ ফেব্রুয়ারি চীন থেকে ৩১২ বাংলাদেশিকে ফিরিয়ে আনা হয়। ঢাকার আশকোনার হজ ক্যাম্পের কোয়ারেন্টিনে ১৪ দিন অবস্থানের পর শনিবার তাদের ছাড়পত্র দেয় আইইডিসিআর।
করোনাভাইরাসে আক্রান্ত সন্দেহে এখন পর্যন্ত চীন ফেরত কয়েকজনকে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। তবে নমুনা পরীক্ষা করে কারও শরীরে ভাইরাসের উপস্থিতি মেলেনি।