নিজস্ব প্রতিবেদক : সমাজের পিছিয়ে পড়া, অধিকার বঞ্চিত পরিবারসমূহের স্কুল বহির্ভূত ও ঝরেপড়া শিশুদের মানসম্মত প্রাথমিক শিক্ষার মাধ্যমে মূলধারায় ফিরিয়ে আনার লক্ষ্যে সরকারের উপানুষ্ঠানিক শিক্ষা ব্যুরো’র আওতায় প্রাথমিক শিক্ষা উন্নয়ন কর্মসূচি (পিইডিপি-৪) এর অধীনে সেকেন্ড চান্স এডুকেশন পাইলট কর্মসূচি এবিএএল মডেল এর উপর জাগরণী চক্র ফাউন্ডেশন ঢাকা, সিলেট ও গাইবান্ধা মোট ৩টি জেলায় ১ হাজার উপানুষ্ঠানিক প্রাথমিক বিদ্যালয়ের মাধ্যমে ৩০ হাজার শিক্ষার্থীর পাঠদান কার্যক্রম পরিচালনা করছে। সুবিধা বঞ্চিত শিশুদের শিক্ষার সুযোগ প্রদানের উদ্দেশ্যে প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়ের অর্থায়নে জাগরণী চক্র ফাউন্ডেশন (জেসিএফ) এর বাস্তবায়নে ‘এবিএএল’ মডেল’এপ্রোচে ঢাকা, সিলেট ও গাইবান্ধার ৬টি উপজেলায় এবং ঢাকার দক্ষিণ সিটি কর্পোরেশনের ২ টি এলাকায় কর্মসূচিটি বাস্তবায়িত করছে । মূলত ৮-১৪ বছর বয়সী শিশুদের বিষয়ভিত্তিক যোগ্যতানুযায়ী সমন্বিত শিক্ষা ব্যবস্থার মধ্যমে জাতীয় শিক্ষাক্রম ও পাঠ্যপুস্তক বোর্ড প্রণীত শিক্ষাক্রমকে ভিত্তি করে প্রাথমিক শিক্ষার মূল স্রোতধারায় একত্রীকরণ করাই এই প্রোগ্রামের মূল উদ্দেশ্য।
জাগরণী চক্র ফাউন্ডেশনের সাথে সহযোগী সংস্থা হিসেবে এ্যাসোসিয়েশন ফর ডেভেলপমেন্ট এন্ড সোশ্যাল ওয়ার্ক (এডিএস) ও সাতক্ষীরা উন্নয়ন সংস্থা (সাস) যৌথভাবে মাঠ পর্যায়ে কর্মসূচিটি বাস্তবায়ন করছে। বিদ্যালয়সমূহে গুনসম্পন্ন পাঠদান নিশ্চিত করন ও দক্ষ কারিগর গড়ে তুলতে ৫ ফেব্রুয়ারি আনুষ্ঠানিক ভাবে শিক্ষক ও প্রোগ্রাম সুপারভাইজারদের মৌলিক প্রশিক্ষণের যাত্রা শুরু হয়েছে, প্রশিক্ষণটি একযোগে আপন উদ্যোগ ফাউন্ডেশন, লালমাটিয়া, ঢাকা, সঞ্চিয়তা ট্রেনিং সেন্টার, উপশহর, সিলেট ও গণ উন্নয়ন কেন্দ্র, গাইবান্ধা জেলায় অনুষ্ঠিত হচ্ছে, প্রতিটি ব্যাচ শুরু হয়ে ৮ দিন ব্যাপী চলমান থাকবে । যা ১৩ টি ব্যাচের মাধ্যমে ১ হাজার শিক্ষক ও ৯৬ জন প্রোগ্রাম সুপারভাইজারকে প্রশিক্ষিত করে তুলবে এবং সর্বশেষ ব্যাচের মাধ্যমে ২৮ মার্চ ২০২০ তারিখে প্রশিক্ষণটির পরিসমাপ্তি ঘটবে।
জাগরণী চক্র ফাউন্ডেশন কর্তৃক ‘শিক্ষক ও সুপারভাইজারদের মৌলিক প্রশিক্ষণ’ গত ১৫ ফেব্রুয়ারি ২০২০ তারিখ ২য় ব্যাচের চলমান প্রশিক্ষণের ৩য় দিনে মৌলিক প্রশিক্ষণ পর্যবেক্ষণ করেন উপানুষ্ঠানিক শিক্ষা ব্যুরো’র সহকারী পরিচালক (পরিকল্পনা) মো. জগলুল হায়দার, এস’এ টিমের সদস্য ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষা গবেষণা ইন্সটিটিউট এর অধ্যাপক সৈয়দা তাহমিনা আখতার, অধ্যাপক ড. মো. আবদুল মালেক, অধ্যাপক ড. মো. আব্দুস সালাম, মোহাম্মাদ মজিবুর রহমান, সৈয়দা আতিকুন নাহার। এছাড়াও উপস্থিত ছিলেন টি’এ টিমের সদস্য জনাব মো. আব্দুল কাইয়ুম (ম্যানেজার) প্রমুখ ব্যক্তিবর্গ। অনুষ্ঠানটির সার্বিকভাবে সঞ্চালনা করেন সেকেন্ড চান্স এডুকেশন কর্মসূচির প্রোগ্রাম হেড মুহাম্মাদ ফিরোজ রহমান। উক্ত সময়ে এডিএস সংস্থার নির্বাহী পরিচালক মোহাম্মদ খলিলুজ্জামানসহ জেসিএফ ও এডিএস’র অন্যান্য কর্মকর্তাবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন। প্রশিক্ষণ পর্যবেক্ষণ শেষে উপানুষ্ঠানিক শিক্ষা ব্যুরো’র সহকারী পরিচালক (পরিকল্পনা) মো. জগলুল হায়দারসহ টিমের একাংশ রায়েরবাজার এরিয়ায় স্কুল পরিদর্শন করেন। স্কুল পরিদর্শন শেষে তাঁরা সন্তোষ প্রকাশ করেন।
