ফিংড়ীর জোড়দিয়ায় তুচ্ছ ঘটনাকে কেন্দ্র করে প্রতিপক্ষের হামলায় আহত – ৪

Uncategorized অপরাধ আইন ও আদালত গ্রাম বাংলার খবর জাতীয় বিশেষ প্রতিবেদন সারাদেশ

সাতক্ষীরা প্রতিনিধি  : সাতক্ষীরা সদর উপজেলার ফিংড়ী ইউনিয়নের পশ্চিম জোড়দিয়া গ্রামে তুচ্ছ ঘটনাকে কেন্দ্র করে জামায়াত কর্মী মোঃ আকছেদ আলী গাজী (৬০) ও তার দুই পুত্র মো. লিটন হোসেন, রিপন হোসেনকে এবং একই এলাকার মৃত ফজর আলীর পুত্র মো. নুর আলী গাজীকে বেধড়ক মারধর করার অভিযোগ উঠেছে একই এলাকার আওয়ামীগনেতা মান্নান সরদার এবং তার পুত্র কৃষকলীগনেতা -মোঃ ইয়াছিন (৪৫), মহাসিন সরদার (৪০) ও মোঃ হিরার (৩৬) বিরুদ্ধে। ঘটনাটি রবিবার (৬ অক্টোবর) সকাল ৮টার দিকে ফিংড়ী ইউনিয়নের ব্যাংদহা বাজারে ঘটে। এ বিষয়ে সাতক্ষীরা সদর থানায় আহত আকছেদ আলী বাদী হয়ে হামলাকারীদের বিরুদ্ধে এক অভিযোগ দায়ের করেছেন।


বিজ্ঞাপন

অভিযোগ সূত্রে জানা যায়, রবিবার সকালে মো. আকছেদ আলীর ছেলে মোঃ রিপন (২৫) ব্যাংদহা বাজারে গেলে তুচ্ছ ঘটনাকে কেন্দ্র করে তাকে অকথ্য ভাষায় গালিগালাজ করে একই এলাকার মান্নান সদরের ছেলে মহাসিন। উক্ত ঘটনার জের ধরে মহাসিন সরদার আহত লিটনকে লোহার রড, বাঁশের লাঠি দিয়ে বেড়ক মারপিট করে জখম করে।


বিজ্ঞাপন

খবর পেয়ে লিটনের পিতা মোঃ আকছেদ আলী গাজী (৬০) ও তার ছেলে রিপন হোসেন এবং একই এলাকার মৃত ফজর আলীর পুত্র মো. নুর আলী ঘটনাস্থলে গেলে

জোড়দিয়া গ্রামের ওয়ার্ড আওয়ামীগনেতা মান্নান সরদার ও তার পুত্র কৃষকলীগনেতা -মোঃ ইয়াছিন, মহাসিন সরদার , মোঃ হিরাসহ সংঙ্গবদ্ধ চক্র দেশীয় অস্ত্র শস্ত্রে সজ্জিত হয়ে লোহার রড দিয়ে তাদের উপর হামলা করে মারাত্মক জখম করে।

পরে তাদেরকে উদ্ধার করে প্রত্যক্ষদর্শীরা সাতক্ষীরা সদর হাসপাতালে চিকিৎসার জন্য পাঠায়। সদর হাসপাতালে গিয়ে দেখা যায় আহতদের মুখে ও ঠোটে মারাত্মক জখম হয়েছে ।এ রিপোর্ট লেখা পর্যন্ত আহতরা সাতক্ষীরা সদর হাসপাতালে চিকিৎসা নিচ্ছেলিনে বলে জানা গেছে।

এ বিষয়ে মো. আকছেদ আলী এ প্রতিবেদককে জানান, আমরা জামায়াত ইসলামীর সমর্থন করি বলে তুচ্ছ ঘটনাকে কেন্দ্র আমাদের দেশীয় অস্ত্র দিয়ে মারধর করেছে আওয়ামীলীগনেতা মান্নান সরদার ও ছেলেরা।

আমি প্রশাসনের কাছে সঠিক বিচার দাবী করছি। সাতক্ষীরা সদর থানার ওসি ঘটনা সত্যতা নিশ্চিত করে বলেন অভিযোগ পেয়েছি তদন্ত করে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।


Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *