অভিযোগের পাহাড় আমিনুল হক ও তার সহযোগীদের বিরুদ্ধে

Uncategorized অনিয়ম-দুর্নীতি অপরাধ আইন ও আদালত জাতীয় ঢাকা বিশেষ প্রতিবেদন রাজধানী রাজনীতি সংগঠন সংবাদ

ঢাকা মহানগর বিএনপির সাবেক সদস্য সচিব আমিনুল হক।


বিজ্ঞাপন

 

 

নিজস্ব প্রতিবেদক :  ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থানে শেখ হাসিনা সরকারের পতনের পর আওয়ামী লীগ নেতাদের শেল্টার, ফ্ল্যাট-বাড়ি দখল, ঝুট বাণিজ্য, চাঁদাবাজি, আধিপত্য বিস্তার এবং দলীয় নির্দেশনা অমান্য করাসহ অসংখ্য অভিযোগ উঠেছে ঢাকা মহানগর বিএনপির সাবেক সদস্য সচিব আমিনুল হকের বিরুদ্ধে। রাজধানীর বিভিন্ন স্থানে নানা বিতর্কিত কর্মকাণ্ডে লিপ্ত আমিনুল হকের অনুসারীরা। সাবেক ফুটবলার আমিনুল হকের বিরুদ্ধে চট্টগ্রামের বিতর্কিত ব্যবসায়ী ও শেখ হাসিনা সরকারের বিশেষ সুবিধাভোগী হিসেবে পরিচিত তরফদার রুহুল আমিনের কাছ থেকে আর্থিক সুবিধা নেওয়ার অভিযোগ রয়েছে। তার এসব অনৈতিক কর্মকাণ্ডের কারণে বাতিল করা হয়েছে ঢাকা মহানগর উত্তর বিএনপির কমিটি। তবুও থেমে নেই আমিনুল হকের অপরাধমূলক কর্মকাণ্ড।


বিজ্ঞাপন

অনুসন্ধানে জানাগেছে, আমিনুল হকের আশ্রয়-প্রশ্রয়ে মাদক ব্যবসা ও চাঁদাবাজরে সঙ্গে জড়িত পল্লবীর ৫নং ওয়ার্ড বিএনপির সাধারণ সম্পাদক চাঁন। ইতিপূর্বে সে ১০ হাজার ইয়াবাসহ গ্রেফতার হয়। কারাগার থেকে বের হওয়ার পরে আমিনুল তাকে ফুল দিয়ে বরণ করে নেয়। সকল গণমাধ্যমে এ সংবাদ প্রচারিত হয়।

এদিকে, ১৫ অক্টোবর রাজধানীর দক্ষিণখানের নীপা গার্মেন্টস থেকে আমিনুলের নির্দেশে প্রায় অর্ধকোটি টাকার ঝুট নিয়ে যান মুক্তিযোদ্ধা স্পোটিং ক্লাবের সাবেক ফুটবলার রুবেল। স্থানীয় বিএনপি নেতাকর্মীরা গার্মেন্টস কর্তৃপক্ষের সঙ্গে যোগাযোগ করলে তারা জানান এখন থেকে আমিনুল হক এখান থেকে ঝুট নিবেন। তাকে ছাড়া কাউকে ঝুট দেওয়া যাবে না এটার তার নির্দেশ।

অন্যদিকে, বিএনপির কেন্দ্রীয় আন্তর্জাতিক বিষয়ক কমিটির সদস্য এবং ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশন নির্বাচনে মেয়র পদে বিএনপির দুবারের প্রার্থী তাবিথ আউয়াল বাংলাদেশ ফুটবল ফেডারেশনের (বাফুফে) সভাপতি পদে নির্বাচন করার ঘোষণা দেওয়ার পরেও তরফদার রুহুল আমিনকে প্রার্থী ঘোষণা করেন আমিনুল। চট্টগ্রাম আবাহনী ক্লাবের ফুটবল কমিটির চেয়ারম্যান তরফদার রুহুল আমিনের সমর্থনে মাঠে নামেন বিএনপির নেতা আমিনুল হক। তরফদার রুহুল আমিনের কাছ থেকে মোটা অংকের সুবিধা নিয়ে আমিনুল তার পক্ষে মাঠে নেমেছেন বলে সর্বত্র আলোচনা সমালোচনা ঝড় উঠেছে। বিষয়টি বিএনপির ভাবমূর্তি ক্ষুণ্ন করেছে। এ বিষয়টি আমলে নিয়ে ভেঙে দেওয়া হয়েছে ঢাকা মহানগর উত্তর বিএনপির কমিটি।

আমিনুল হক ও তার সহযোগীদের বিরুদ্ধে অভিযোগের শেষ নেই। অনুসন্ধানে জানাযায়, আমিনুলের অনুসারী ৬নং ওয়ার্ড বিএনপির সভাপতি রুমেলের বিরুদ্ধে রয়েছে রিকশা চুরির অভিযোগ। আমিনুল হকের আশ্রয়ে-প্রশ্রয়ে যুবদল পল্লবী থানার সদস্য সচিব কিবরিয়া সাড়ে ১১নং টেম্পু স্ট্যান্ড দখল করে নেয়। দখল চাঁদাবাজির অভিযোগে সেনা সদস্যরা তাকে গ্রেফতার করলে আমিনুল তাকে ছাড়িয়ে আনেন। তার আরেক অনুসারী রূপনগর ৬নং ওয়ার্ডের সভাপতি কামালের ছবি শীর্ষ মাদক ব্যবসায়ী হিসেবে ঝুলছে রূপনগর থানার নোটিশ বোর্ডে।

মাদক মামলায় সে কয়েক মাস আগে গ্রেফতার হন। ২ নং ওয়ার্ড বিএনপির সভাপতি মোস্তফা মাস্টারের বিরুদ্ধে তালা ভেঙ্গে বাড়ি দখলের অভিযোগ রয়েছে। মসলেম বাজার দখল, কালশি কালাপানি স্কুলের প্রধান শিক্ষককে মারধোরের অভিযোগ উঠেছে। তাকে ৫ আগস্টের পর বিএনপি থেকে বহিষ্কার করা হয়। আমিনুলের নির্দেশে ঢাকা মহানগর উত্তর বিএনপির সাবেক সদস্য মাহবুবুর আলম মন্টু ৬নং ওয়ার্ডে ৫ আগস্টের পর থেকে ময়লা নিয়ন্ত্রণ করে। তার ৩ (তিন) ভাই আওয়ামী লীগ করে ও আন্দোলনে ছাত্রদের মিছিলে মন্টু গুলি করে ও ইতোমধ্যে তার ৩ (তিন) ভাই হত্যা মামলার আসামি হয়েছে শেখ হাসিনার সঙ্গে। বিভিন্ন অভিযোগে আর্মি তাকে গ্রেফতার করলে আমিনুল ছাড়িয়ে আনে।আমিনুলের অনুসারী ৯২নং ওয়ার্ডের সাবেক আহ্বায়ক নাজুর ছবি তালিকাভুক্ত রিকশা চোর হিসেবে থানায় ঝুলানো হয়। আর তালিব আলী স্কুলের প্রধান শিক্ষককে ৫০ হাজার টাকা চাঁদা নিয়ে মারধর করে নাজু। আওয়ামী লীগের রাজনীতির সাথে জড়িত নবী হোসেনকে টাকার বিনিময়ে ৯২নং ওয়ার্ড বিএনপির সভাপতি করেছে আমিনুল।

আমিনুল হকের সহযোগী নিজাম উদ্দিন জসিম রূপনগর থানা বিএনপির যুগ্ম-আহ্বায়ক। সে গুলি করে চলন্তিকা বস্তিতে চাঁদাবাজি করেছে আমিনুলের নির্দেশে। যমুনা টিভিতে এই সম্পর্কে নিউজ হয়েছে। পল্লবী থানা যুবদলের সাবেক সভাপতি নুর সালাম আমিনুল হকের বিশ্বস্ত কর্মী। নুর সালাম চলন্তিকা বস্তিতে দখল করে ভাড়া আদায় ও চাঁদাবাজি করেছে। আমিনুল হকের নির্দেশে কনকর্ড গার্মেন্টস (সাবেক বাণিজ্য মন্ত্রী মরহুম শামসুল ইসলামের ছেলের মালিকানাধীন) সহ এলাকার আশেপাশের সকল গার্মেন্টেসের জুট ব্যবসা নিয়ন্ত্রণ নেয় নুর সালাম। এর ফলে ঐ এলাকার গার্মেন্টেস গুলোর শ্রমিকদের মাঝে অস্থিরতা বিরাজ করেছে।

কাফরুল থানা বিএনপির যুগ্ম আহ্বায়ক ডিশ আকরাম। আমিনুল হকের নামে ডিশ আকরাম Seul Restaurant & Bar (৯৭০, পূর্ব শেওড়াপাড়া, বেগম রোকেয়া সরণি) থেকে প্রতিদিন ২০ হাজার টাকা করে মাসে ৬ লাখ টাকা তোলে। এখানে আবাসিক ব্যবস্থা থাকায় অসামাজিক কার্যকলাপ সংঘটিত হয়। সরকারি গোয়েন্দা সংস্থার (পত্রিকায় প্রদর্শিত) তালিকা ভুক্তি চাঁদাবাজ ও দখলবাজ।

আমিনুলের সহযোগী দক্ষিণখান থানা বিএনপি যুগ্ম আহ্বায়ক আমিনুল ইসলাম বাবলু এক ব্যক্তির ৮টি গরু জোর পূর্বক নিয়ে আরেক যুগ্ম আহ্বায়ক হেলাল তালুকদাদের ফার্মে এনে রাখে। ভুক্তভোগী জানতে পেরে থানায় অভিযোগ দায়ের করে গরু উদ্ধার করে। আমিনুলের ঘনিষ্ঠ সহযোগী ঢাকা মহানগর উত্তর বিএনপির সাবেক সদস্য আলাউদ্দিন সরকার টিপু বিমানবন্দর এলাকায় চাঁদাবাজি, লুটপাট, অন্যের জমি দখল, টেম্পুষ্ট্যান্ড দখল, কিশোর গ্যাং লালন পালন ও প্রকাশ্যে আওয়ামী যুবলীগের নেতাকর্মীদের প্রশ্রয় দিয়ে যাচ্ছে। তার দলীয় পদ বিএনপি স্থগিত করেছে।

আমিনুল হকের ঘনিষ্ঠ সহযোগী হিসেবে পরিচিত ২০নং ওয়ার্ড বিএনপির সাবেক সাধারণ সম্পাদক আক্তার ৫ আগস্ট পরবর্তী সময়ে দখল, চাঁদাবাজি করে এলাকার ত্রাসের রাজত্ব করে আসছে। আমিনুল হকের অন্যতম সহযোগী জনি ও বাবু ৪ নং ওয়ার্ড কেন্দ্রীয় মসজিদ সংলগ্ন কাঁচাবাজার দখল, দৈনিক ভিত্তিতে চাঁদা আদায় করছে।

সাবেক কাউন্সিলর জামাল মোস্তফার ৪টি প্লট ও বাড়ি জোর পূর্বক দখল করে নিয়ে নিয়েছে। এরা দু’জনেই গোয়েন্দা সংস্থার কর্তৃক তারিকাভুক্ত চাঁদাবাজ ও দখলদ্র। আমিনুল হকের ঘনিষ্ঠ কাফরুল থানা বিএনপির যুগ্ম আহবায়ক ফজলুর রহমান মন্টু এক বিধবা অসহায় নারীর ফ্ল্যাট দখল করে। এই অমানবিক ঘটনা এলাকায় ক্ষোভের সৃষ্টি হয়। এ ঘটনার পরিপ্রেক্ষিতে থানায় অভিযোগ দায়ের হয়। যাহার নম্বর -২২০১/২৯ (০৯)২৪ ও ১৫৫৩/২০ (৯)২৪ এবং কাফরুল থানার দায়িত্বরত সেনা বাহিনীর কর্মকর্তা মন্টুকে গ্রেফতার করে নিয়ে যায়।

ঢাকা মহানগর উত্তর বিএনপির সাবেক যুগ্ম আহ্বায়ক মোস্তফা জামান আমিনুল হকের কাছের লোক হিসেবে পরিচিত। মোস্তফা মেম্বার ৫ আগস্ট রাতে উত্তরা রূপায়ন সিটির ৫ কোটি টাকার রড ও প্রায় ২ কোটি টাকা নির্মাণ সামগ্রী খোকা, জহির, শফিক গংদের সহযোগিতা লুট করে নিয়ে যায়। রূপায়ন সিটি দখল করার জন্য অনবরত হুমকি দিয়ে যাচ্ছে। রূপায়নের চেয়ারম্যান ও এমডি মুকুল মোস্তফা মেম্বারের অত্যাচার থেকে নিষ্কৃতি পাওয়ার জন্য বিএনপি শীর্ষপর্যায়ে নেতাদের দ্বারে দ্বারে ঘুরছেন। তার বিরুদ্ধে উত্তরা ডেস্কো অফিস দখলের অভিযোগ উঠেছে। এ বিষয়ে তার বিরুদ্ধে বিএনপির হাই কমান্ডের কাছে লিখিত অভিযোগ দেওয়া হয়েছে।

আমিনুলের হকের বন্ধু পরিচয়ে মিরপুর ১০নং গোল চত্বরে ফলপট্টি ও ময়লার ব্যবসা নিয়ন্ত্রণ করেছে ফুটবলার জাহান। বিগত সরকারের সময় সাবেক এমপি সাদেক খানের ভাতিজা ৩৪নং ওয়ার্ডের সভাপতি রাজেশ খান ও কসাই ওসমান- সাধারণ সম্পাদক ৩৪নং ওয়ার্ড সাবেক সদস্য সচিব আমিনকুল হকের ছত্র ছায়ায় ও আশ্রয় প্রশ্রয়ে থেকে ৩৪নং ওয়ার্ডে এক ত্রাসের রাজত্ব কায়েম করেন। জমি দখল ডাকাতি, চাঁদাবাজি, ময়লাদড়খল ডিশ দখল, হিন্দুদের বাড়িতে অত্যাচার সহ এমন কোনো অপরাধ নেই যা তারা করেনি। ৫ আগস্ট থেকে সাদেক খান আত্মগোপনে চলে যাওয়ার পর থেকে রাজেশ ওসমানের নেতৃত্বে ঐ এলাকার সাদেক খানের সম্পত্তি রক্ষণাবেক্ষণের দায়িত্ব পালন করছে। সাদেক খানের ভাতিজা যুবলীগ নেতা মামুন খানের নেতৃত্বাধীন কিশোর গ্যাং পরিচালনা করেছে। কিছুদিন পূর্বে কিশোর গ্যাং পরিচালনার করেছে। কিছুদিন পূর্বে রায়ের বাজার পৌর মার্কেট সমিতির কমিটি রাজেশ, কসাই ওসমান আমিনুলের অন্যতম সহযোগী হাজী ইউসুফ মিলে টাকার বিনিময়ে সাদেক খানের ভাতিজা ইউসুফ খানকে বাজার কমিটির সভাপতি বানায়।

আমিনুলের ছত্রছায়ায় ১০০নং ওয়ার্ড সভাপতি জামাল, ৩০নং ওয়ার্ড সভাপতি শহিদ বিশ্বাসের নেতৃত্বে আদাবর থানা চাঁদাবাজি, ময়লা দখলসহ বিভিন্ন অপকর্মে জড়িত। আমিনুল হকের ঘনিষ্ট সহযোগী ঢাকা মহানগর উত্তর বিএনপির সাবেক যুগ্ম আহ্বায়ক আনোয়ারের নেতৃত্বে সাবেক কাউন্সিলর ফরিদুর রহমানের ইরানের (সাবেক সাধারণ সম্পাদক-সেচ্ছাসেবক লীগ) বাসায় গিয়ে ৫ কোটি টাকার বিনিময়ে তার পরিবারের সকলকে ও তার অর্ধেক সম্পত্তি রক্ষার দায়িত্ব নেয়। যার ভিডিও ফুটেজ সোশ্যাল মিডিয়ায় আছে।

তেজগাঁও থানা বিএনপির সাবেক সভাপতি এল. রহমান। কাওরান বাজারে দোকান দখল করেছে এ বিষয়ে থানায় অভিযোগ রয়েছে। কাজী বাবু-বর্তমান যুগ্ম আহ্বায়ক তেজগাঁও থানা বিএনপি। কাজী শাহআলম রাজা- সভাপতি শ্রমিক দল ঢাকা মহানগর উত্তর। কাজী মজিবুর রহমান- সভাপতি, ২৬নং ওয়ার্ড বিএনপি। মো. বেলাল- ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদক, ২৬নং ওয়ার্ড বিএনপি। তারা আমিনুলের নির্দেশে চাঁদাবাজি ও দোকান দখলে ব্যস্ত। পুলিশ ফাঁড়িতে সাইনবোর্ড লাগিয়ে দোকান ও ফুটপাত দখল করেছে। মাইক ঘোষণা দিয়ে গুলশান ২নং কাঁচাবাজার দখলে নেয় আমিনুল হকেরই ঘনিষ্ঠ সহযোগী ভাটারা থানা বিএনপির যুগ্ম আহবায়ক মো. আলী। সাধারণ ব্যবসায়ীরা বাঁধা দিলে দখলবাজ মো. আলী ও তার লোকজন ফার্মেসি ব্যবসায়ী শাহীনের গরম পানি দিয়ে ঝলসে দেয়।

৫ আগস্ট ছাত্র-জনতার গণঅভ্যুত্থানে তৎকালীন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা দেশ ছেড়ে পালিয়ে যাওয়ায় স্বস্তি ফিরলেও আমিনুল হকের সহযোগীদের শৃঙ্খলা পরিপন্থি কর্মকাণ্ডে অতিষ্ট হয়ে পড়েছে রাজধানীবাসী। তার বিরুদ্ধে অভিযোগ করেও লাভ হচ্ছে না। সামান্য অভিযোগ পেলে বিএনপি যেখানে সাংগঠনিক ব্যবস্থা নিচ্ছে। সেখানে আমিনুল হক থাকছে ধরা ছোয়ার বাইরে। বিএনপির একটি চক্রের আশীর্বাদপুষ্ট হওয়ায় তার বিরুদ্ধে সাংগঠনিক ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে না বলে ভুক্তভোগীদের অভিযোগ। আমিনুল হকের ধারাবাহিক অপরাধমূলক কর্মকাণ্ডের কারণে বিব্রত হচ্ছে ঢাকা মহানগর বিএনপির ত্যাগী নেতারা।


Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *