নিজস্ব প্রতিনিধি (সিলেট) : বসতবাড়ি দখল করতে গিয়ে শিশুসহ ৫ জনকে রামদা দিয়ে কুপিয়ে জখম করেছে দুর্বৃত্তরা। সুনামগঞ্জের তাহিরপুরের ওই ঘটনায় ২৩ জনকে আসামি করে তাহিরপুর থানায় একটি মামলা দায়ের করা হয়েছে।

উপজেলার লাকমা গ্রামের মৃত তাহের মিয়ার ছেলে বাছির মিয়া বাদী হয়ে গত ২০ আগস্ট মামলাটি দায়ের করেন।
আসামিরা হলেন- তাহিরপুরের উওর শ্রীপুর ইউনিয়নের লাকমা গ্রামের পল্লী চিকিৎসক শামছুল হক ওরফে সামছু, তার সহোদর শহিদ মিয়া, সামছুর ছেলে আল আমিন, সজিব, একই গ্রামের সামছুর নিকটাত্মীয় তাহের মিয়া, লুৎফুর রহমান, হাবিবুর রহমান, ফজল হক, হোসেন মিয়া, ধন মিয়া, কালা মিয়া, কাউসার মিয়া, কালাম, মোছা মিয়া, মহর উদ্দিন, শফিকুল, উসমান গণি, মোহাম্মদ আলীসহ অজ্ঞাতনামা আরও ৪-৫ জন।

মামলা সূত্রে জানা গেছে, গেল কয়েক বছর ধরেই উপজেলার লাকমা গ্রামের পল্লি চিকিৎসক সামছুল হক ওরফে সামছু সীমান্ত সংলগ্ন বাছির মিয়ার পৈতৃক ভিটা কিনতে ব্যর্থ হওয়ায় গত ১৯ আগস্ট পরিবার স্বজনসহ একদল দুর্বৃত্ত নিয়ে সামছু বাছিরের বাড়িতে ভাঙচুর চালান। এতে বাঁধা দিতে গেলে সামছুর লোকজন ৬ বছরের শিশু আরিফুলসহ রাশিদ, দুলাল, হেকমত লোকমানকে রামদা দিয়ে কুপিয়ে রক্তাক্ত জখম করে বসতবাড়ি ছেড়ে দিতে হুমকি দিয়ে সদলবলে ফিরে যান।

আহতরা তাহিরপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স, সুনামগঞ্জ জেলা সদর হাসপাতাল, সিলেট এম এ জি ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসা নিচ্ছেন।
এ বিষয়ে মামলার বাদী উপজেলার লাকমা গ্রামের বাছির মিয়া সোমবার জানান, সামছুল হক তার লোকজন নিয়ে মামলা তুলে নিতে হুমকি দিয়ে বেড়াচ্ছেন- মামলা তুলে না নিলে তারাও থানায় পালটা মামলা করে আমাদের পরিবারের লোকজনকে জেল খাটাবেন।এতে পরিবারের লোকজন নিয়ে ফের হামলার ভয়ে বাড়িতে রাত্রিযাপন করতে পারছিনা।
অভিযুক্ত সামছুল হক ওরফে সামছু বলেন, আমার চাচাত ভাইয়ের কেনা জমির দখল না ছাড়ায় ওই ঘটনা ঘটে। মামলার পর ১২ জন আদালতে হাজির হলে ১১ জন জামিন লাভ করেছে।
সামছু আরও বলেন, আমাদের পক্ষ থেকে কোনো হুমকি দেওয়া হয়নি, তবে আমরাও থানায় মামলা করব।
এ বিষয়ে তাহিরপুর থানার ওসি এসআই নাজমুল ইসলাম জানান, প্রাথমিক তদন্তে ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত হওয়া গেছে। আসামিদের কয়েকজন আদালতে হাজির হয়েছেন বলে জেনেছি। পলাতক অন্য আসামিদের গ্রেফতারে পুলিশ তৎপর রয়েছে।