নীতিমালা লঙ্ঘন করে ৬৯ জনকে খাদ্য নিয়ন্ত্রকের দায়িত্ব প্রদানের বিরুদ্ধে আইনি লড়াইয়ে নেমেছেন খাদ্যপরিদর্শকরা

Uncategorized অনিয়ম-দুর্নীতি অপরাধ আইন ও আদালত জাতীয় ঢাকা বিশেষ প্রতিবেদন রাজধানী সারাদেশ

!!  গত ২৩ সেপ্টেম্বর ১৩ গ্রেডের ৬৯ জনকে পদায়নের প্রজ্ঞাপন জারি করে খাদ্য মন্ত্রণালয়। অথচ এই পদায়ন যাতে না হয়, সেজন্য ৯ মাস আগে প্রস্তাবনা দেওয়ার সময় থেকেই এর প্রতিবাদ করে আসছে খাদ্য পরিদর্শকরা। তারা বলছেন, ‘জ্যেষ্ঠতা লঙ্ঘন করে প্রধান সহকারী, হিসাবরক্ষক, সুপারিন্টেনডেন্টের মতো পদের কর্মচারীদের জেলা খাদ্য নিয়ন্ত্রক হিসেবে চলতি দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে। শর্ত অনুযায়ী, এ পদে দায়িত্ব পালনের জন্য তাদের চাকরির মেয়াদ অন্তত ১১ বছর হতে হবে। যা এদের কারোরই হয়নি। এমনকি এদের কারো কারো চাকরির বয়স পাঁচ বছরেরও কম। অন্যদিকে, ১০ম গ্রেডে যোগদান করা অনেক খাদ্য পরিদর্শক রয়েছেন, যারা এখন ৯ম গ্রেডে চাকরি করছেন। ১০ বছরের বেশি সময় ধরে যাদের পদোন্নতি হচ্ছে না।’ গত বছর ১৮ এপ্রিল জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের জারি করা এক প্রজ্ঞাপনে চলতি দায়িত্ব প্রদানের বিধিবিধান জারি করা হয়। এর ধারা ৮-এর গ উপধারায় বলা হয়েছে, যাকে চলতি দায়িত্ব দেওয়া হবে তার ওপরের পদধারী কোনো কর্মচারীকে চলতি দায়িত্বপ্রাপ্ত কর্মচারীর অধীন করা যাবে না। একই সঙ্গে ধারা ৫-এর উপধারা গ-এ বলা হয়েছে, পদোন্নতির জন্য জ্যেষ্ঠতা সংক্রান্ত গ্রেডেশন তালিকা যথাযথভাবে অনুসরণ করতে হবে। কিন্তু উপজেলা খাদ্য নিয়ন্ত্রক হিসেবে চলতি দায়িত্ব দেওয়ার ক্ষেত্রে এই বিধির কোনো ধারাই মানা হয়নি বলে জানিয়েছেন খাদ্য পরিদর্শকরা। নাম প্রকাশের অনিচ্ছুক একাধিক খাদ্য পরিদর্শক জানিয়েছেন, আমরা যখন জানতে পারি নীতিমালা লঙ্ঘন করে ৬৯ জনকে খাদ্য নিয়ন্ত্রকের চলতি দায়িত্ব দেওয়া হচ্ছে, তখন থেকেই প্রতিবাদ করে আসছি। কিন্তু আমাদের ন্যায়সংগত প্রতিবাদ আমলে নেওয়া হয়নি। তারা বলেন, ‘খাদ্য মন্ত্রণালয় ও খাদ্য অধিদপ্তরের একটি সিন্ডিকেট নীতিমালা লঙ্ঘন করে এটা করেছে। এজন্য মাঠ পর্যায়ের ৬৯ জন কর্মচারীর কাছ থেকে কয়েক কোটি টাকা নেওয়ার অভিযোগ রয়েছে।’  !!


বিজ্ঞাপন

নিজস্ব প্রতিবেদক  : নীতিমালা লঙ্ঘন করে খাদ্য অধিদপ্তরের আওতাধীন ১৩ গ্রেডের ৬৯ জন কর্মচারীকে উপজেলা খাদ্য নিয়ন্ত্রক হিসেবে ‘চলতি দায়িত্ব’ প্রদান করা হয়েছে বলে অভিযোগ উঠেছে। এতে খাদ্য পরিদর্শকদের মধ্যে চরম অসন্তোষ ও ক্ষোভ বিরাজ করছে। এই ঘটনায় ক্ষুব্ধ খাদ্য পরিদর্শকরা আন্দোলনসহ আইনি লড়াইয়ে নেমেছেন।


বিজ্ঞাপন

উল্লেখ্য, গত ২৩ সেপ্টেম্বর ১৩ গ্রেডের ৬৯ জনকে পদায়নের প্রজ্ঞাপন জারি করে খাদ্য মন্ত্রণালয়। অথচ এই পদায়ন যাতে না হয়, সেজন্য ৯ মাস আগে প্রস্তাবনা দেওয়ার সময় থেকেই এর প্রতিবাদ করে আসছে খাদ্য পরিদর্শকরা। তারা বলছেন, ‘জ্যেষ্ঠতা লঙ্ঘন করে প্রধান সহকারী, হিসাবরক্ষক, সুপারিন্টেনডেন্টের মতো পদের কর্মচারীদের জেলা খাদ্য নিয়ন্ত্রক হিসেবে চলতি দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে। শর্ত অনুযায়ী, এ পদে দায়িত্ব পালনের জন্য তাদের চাকরির মেয়াদ অন্তত ১১ বছর হতে হবে। যা এদের কারোরই হয়নি। এমনকি এদের কারো কারো চাকরির বয়স পাঁচ বছরেরও কম। অন্যদিকে, ১০ম গ্রেডে যোগদান করা অনেক খাদ্য পরিদর্শক রয়েছেন, যারা এখন ৯ম গ্রেডে চাকরি করছেন। ১০ বছরের বেশি সময় ধরে যাদের পদোন্নতি হচ্ছে না।’

গত বছর ১৮ এপ্রিল জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের জারি করা এক প্রজ্ঞাপনে চলতি দায়িত্ব প্রদানের বিধিবিধান জারি করা হয়। এর ধারা ৮-এর গ উপধারায় বলা হয়েছে, যাকে চলতি দায়িত্ব দেওয়া হবে তার ওপরের পদধারী কোনো কর্মচারীকে চলতি দায়িত্বপ্রাপ্ত কর্মচারীর অধীন করা যাবে না। একই সঙ্গে ধারা ৫-এর উপধারা গ-এ বলা হয়েছে, পদোন্নতির জন্য জ্যেষ্ঠতা সংক্রান্ত গ্রেডেশন তালিকা যথাযথভাবে অনুসরণ করতে হবে। কিন্তু উপজেলা খাদ্য নিয়ন্ত্রক হিসেবে চলতি দায়িত্ব দেওয়ার ক্ষেত্রে এই বিধির কোনো ধারাই মানা হয়নি বলে জানিয়েছেন খাদ্য পরিদর্শকরা।

নাম প্রকাশের অনিচ্ছুক একাধিক খাদ্য পরিদর্শক জানিয়েছেন, আমরা যখন জানতে পারি নীতিমালা লঙ্ঘন করে ৬৯ জনকে খাদ্য নিয়ন্ত্রকের চলতি দায়িত্ব দেওয়া হচ্ছে, তখন থেকেই প্রতিবাদ করে আসছি। কিন্তু আমাদের ন্যায়সংগত প্রতিবাদ আমলে নেওয়া হয়নি। তারা বলেন, ‘খাদ্য মন্ত্রণালয় ও খাদ্য অধিদপ্তরের একটি সিন্ডিকেট নীতিমালা লঙ্ঘন করে এটা করেছে। এজন্য মাঠ পর্যায়ের ৬৯ জন কর্মচারীর কাছ থেকে কয়েক কোটি টাকা নেওয়ার অভিযোগ রয়েছে।’

ইতিমধ্যে ‘খাদ্য নিয়ন্ত্রকের চলতি দায়িত্ব’ দেওয়ার এ সিদ্ধান্তকে চ্যালেঞ্জ করে রাজশাহী, বগুড়া ও ঢাকায় প্রশাসনিক ট্রাইব্যুনালে তিনটি পৃথক মামলা করেছেন পদোন্নতি বঞ্চিত ৯ ও ১০ গ্রেডের খাদ্য পরিদর্শকরা। গতকাল ঢাকায় প্রশাসনিক ট্রাইব্যুনালে করা মামলার শুনানি হয়েছে বলে জানা গেছে।

বাংলাদেশ খাদ্য পরিদর্শক সমিতির সভাপতি মো. আব্দুর রহমান খান এ প্রসঙ্গে  গণমাধ্যমে  বলেন, ‘যোগ্য কর্মকর্তাদের বাদ দিয়ে তার নিচের কর্মকর্তাদের খাদ্য নিয়ন্ত্রকের দায়িত্ব দেওয়ায় খাদ্য পরিদর্শকদের মধ্যে এক ধরনের অসন্তোষ ও ক্ষোভ বিরাজ করছে।’ তিনি এ প্রজ্ঞাপন বাতিল করে যোগ্যদের দায়িত্ব দেওয়ার দাবি জানান।

এদিকে, খাদ্য নিয়ন্ত্রকের চলতি দায়িত্বে যেসব কর্মকর্তাকে দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে তাদের চাকরির বয়স ১১ বছর হয়নি বিষয়টি স্বীকার করে খাদ্য মন্ত্রণালয় সূত্র জানিয়েছে, খাদ্য অধিদপ্তরের নিয়োগ বিধিতে কোটা রয়েছে যেখানে ১৮ শতাংশ এই ক্লারিক্যাল পোস্ট (প্রধান সহকারী) থেকে আসতে হবে। তাদের দায়িত্ব না দিলে এ পদগুলো খালি থাকত। এ কারণেই তাদের দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে। তবে এ নিয়ে এক ধরনের সংকট তৈরি হয়েছে বলেও সূত্রটি জানিয়েছে।

এ বিষয়ে কথা বলার জন্য খাদ্য সচিব মো. মাসুদুল হাসানকে একাধিকবার ফোনে যোগাযোগের চেষ্টা করেও তাকে পাওয়া যায়নি, বিধায় তার কোন প্রকার বক্তব্য প্রকাশিত হলো না।


Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *