বিশেষ প্রতিবেদক : করোনা আতঙ্কে প্রায় দেড় মাস ধরে অস্থির রাজধানীর মাস্কের বাজার। কোন কোন মাস্কের দাম বেড়েছে ২০ গুণের বেশি। দেখা দিয়েছে সরবরাহ ঘাটতিও। আবার উচ্চমূল্যের কারণে অনেক ব্যবসায়ী বন্ধ করে দিয়েছেন বিক্রি। এতে ভোগান্তিতে পড়ছেন ব্যবহারকারীরা। এদিকে, আতঙ্কিত হয়ে মাস্কের পেছনে না ছুটে সাধারণ স্বাস্থ্য বিধি মেনে চলার পরামর্শ দিচ্ছেন চিকিৎসকরা। রাজধানী ঢাকাতে মাস্ক পড়ে চলাফেরা করার দৃশ্যটি খুবই সাধারণ দৃশ্য। করোনা ভাইরাসের সংক্রমণ আতঙ্কে ব্যবহার বেড়েছে কয়েকগুণ। পাল্লা দিয়ে বেড়েছে দাম।
রাজধানীর বিভিন্ন মার্কেট ঘুরে দেখা গেছে, একবার ব্যবহারের ৫০ পিস মাস্ক আগে যেখানে পাইকারিতে বিক্রি হতো ৭০ টাকায়, এখন তা ১২শ’ থেকে ১৩শ’ টাকাতেও মেলা ভার। ৪৮ টাকার ফিল্টার মাস্ক বিক্রি হচ্ছে প্রায় আড়াইশ টাকায় আর ২২ টাকার ননফিল্টারের দাম পড়ছে প্রায় ১শ’ টাকা। উর্ধ্বমুখী দামের কারণে অনেক ব্যবসায়ীই বন্ধ করে দিয়েছেন বিক্রি। জানালেন, ঘাটতি রয়েছে সরবরাহে।
ঢাকার দূষণ ও ছোঁয়াচে রোগের সংক্রমণ রোধে নিরুপায় হয়ে বেশি দামেই মাস্ক কিনতে হচ্ছে বলে জানান ব্যবহারকারীরা।
চিকিৎসকরা বলছেন, সব মাস্ক করোনা থেকে সুরক্ষা দেয় না। তাই হুজুগে মাস্ক না কিনে বায়ু দূষণ রোধ ও সাধারণ স্বাস্থ্য বিধি মেনে চলার পরামর্শ তাদের।
নাক কান গলা রোগ বিশেষজ্ঞ অধ্যাপক ডা. নাজমুল ইমলাম বলেন, যার কোনো সমস্যা নেই তাকে কেন মাস্ক পড়তে হবে। যারা সংক্রমণ থেকে সাবধান থাকতে চান তাদের কমপক্ষে এন নাইন্টি ফাইভ মাস্ক পড়তে হবে।
উন্নতমানের বিদেশি মাস্ক বাজারে খুব কম, আর দেশি মাস্কের দাম বেশি হলেও কিছুটা কমতির দিকে, এমনটাই জানালেন ফুটপাতের ভ্রাম্যমাণ দোকানিরা।
