নিজস্ব প্রতিবেদক : তদন্ত প্রতিবেদনের জন্য থমকে আছে গণপিটুনিতে রেনু হত্যা মামলার বিচারকাজ। ৭ মাস পার হলেও আদালতে প্রতিবেদন জমা দিতে পারেনি গোয়েন্দা পুলিশ। স্বজনদের আশংকা দীর্ঘসূত্রতায় ব্যাহত হবে ন্যায়বিচার। দাবি জানিয়েছেন, গণপিটুনি প্রতিরোধে হাইকোর্টের রায় কার্যকরের।
সাড়ে ৪ বছরের তুবা এখনও জানে মা রেনু বিদেশে মামার কাছে গেছেন। ছেলেধরা গুজবে গণপিটুনিতে মাকে নির্মমভাবে হত্যার ঘটনা আজও অজানা তার কাছে। কিন্তু যারা জানেন তারাও যেন অজ্ঞাত কারণেই নিশ্চুপ। তাই তো বার বার সময় নিলেও আদালতে জমা পড়ছে না মামলার তদন্ত প্রতিবেদন।
মামলার বাদী নিহত রেনুর ভাগ্নে সৈয়দ নাসিরউদ্দিন টিটু বলেন, আমি আশা করেছিলাম নতুন একটা ঘটনা এটা গুরুত্ব পাবে। সেখান থেকে ইতিবাচক কিছুই জানতে পারবো। কিন্তু তা আর হচ্ছে না। মামলা নিয়ে সেই দেরিই হচ্ছে। নিহত রেনুর বোন বলেন, অপেক্ষায় আছি যেন বিচারটা দ্রুত হয়। রেনু হত্যা মামলায় ১৬ আসামি ইতোমধ্যে গ্রেফতার হয়েছে। আদালতে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিয়েছে প্রধান অভিযুক্ত হৃদয়সহ ৩ জন। কিন্তু আদালতে তদন্তকারী সংস্থা প্রতিবেদন না দেয়ায় আটকে আছে মামলাটির বিচারকাজ।
এ সুযোগে উচ্চ আদালত থেকে জামিন নিয়ে বের হয়ে গেছে দুই আসামি।
বাদীপক্ষের আইনজীবী মাইদুল ইসলাম পলক বলেন, যে প্রমাণগুলো আনার কথা সেগুলোর প্রক্রিয়াতে ধীরগতি দেখছি।
বিলম্বের কথা স্বীকার করেছেন ডিএমপির উপ কমিশনার মাসুদুর রহমান। তিনি বলেছেন, দ্রুত তদন্ত প্রতিবেদন দেয়ার চেষ্টা চলছে।
এদিকে, রেনু হত্যার ঘটনায় বাড্ডা প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষিকার বিরুদ্ধে তদন্তের নির্দেশ দিয়েছেন হাইকোর্ট। একইসঙ্গে রায়ে গণপিটুনি প্রতিরোধে প্রতিটি থানাকে নিয়মিত মনিটরিং, জনসচেতনতা তৈরিতে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়কে প্রচারণা চালানো, এ ধরনের ঘটনা ঘটলে দ্রুত সময়ে মামলা গ্রহণসহ ব্যবস্থার নেয়ার নির্দেশ দিয়েছেন উচ্চ আদালত।
রায়কে স্বাগত জানিয়ে তা কার্যকরের দাবি জানিয়েছে রেনুর পরিবার।
গত ২০ জুলাই রাজধানীর বাড্ডায় মেয়েকে স্কুলে ভর্তি করতে গেলে ছেলেধরা গুজব ছড়িয়ে নির্মমভাবে পিটিয়ে হত্যা করা হয় রেনু বেগমকে।