তাপস চন্দ্র সরকার, (কুমিল্লা) : দুর্গাপুজো, কালীপুজো ও ভাইফোঁটার রেশ কাটতে না কাটতে চলে এলো জগদ্ধাত্রী পুজো। মা কালীর বিসর্জনের পরই হৈমন্তিকার (অপর নাম জগদ্ধাত্রী) আরাধনায় মেতে ওঠবেন সনাতন ধর্মাবলম্বীরা।
কার্তিক মাসের শুক্লপক্ষে জগদ্ধাত্রী পুজো হয়। এই সময় পুজো শুরু হওয়ার সঙ্গে যুক্ত রাজা কৃষ্ণচন্দ্রের নাম। সে আলাদা কাহিনি। আজ বৃহস্পতিবার (৭ নভেম্বর) থেকে ষষ্ঠী পুজোর মধ্যদিয়ে শুরু আর শেষ হবে ১১ নভেম্বর দশমী পুজোর পর প্রতিমা বিসর্জ্জনের মাধ্যমে।
এই বছর জগদ্ধাত্রী পুজো চারদিনে হবে। এরমধ্যে শুক্রবার (৮ নভেম্বর) সপ্তমী, শনিবার (৯ নভেম্বর) অষ্টমী, রবিবার (১০ নভেম্বর) মহানবমী এবং সোমবার (১১ নভেম্বর) দশমী। মূলত: অষ্টমী, নবমী ও দশমী এই তিনদিনই সাড়ম্বরে মায়ের পুজো হয়।
বাংলাদেশ পূজা উদযাপন পরিষদ কুমিল্লা জেলা শাখার সাবেক প্রচার ও প্রকাশনা সম্পাদক এডভোকেট তাপস চন্দ্র সরকার বলেন- মূলত: দেবী জগদ্ধাত্রীকে নবমী তিথিতেই বিশেষ আরাধনা করা হয়। দুর্গাপুজোর ক্ষেত্রে যেমন সকলের নজর থাকে অষ্টমী তিথির দিকে; তেমনই জগদ্ধাত্রী তিথি ঘিরে সকলের নজর থাকে নবমীর দিকে। চলতি বছরে জগদ্ধাত্রী পুজোর নবমী তিথি পড়েছে রবিবার।
তিনি আরও বলেন- দেবী জগদ্ধাত্রী চতুর্ভূজা। তাঁর হাতে থাকে শঙ্খ, চক্র, ধনুক, বাণ। তাঁর বাহন সিংহ। তিনি করীন্দ্রাসুর অর্থাৎ হস্তিরূপী অসুরকে দমন করেন। তাই সিংহের নিচে থাকে হাতির রূপ। শাস্ত্র মতে, কার্তিক মাসের শুক্লপক্ষের নবমী তিথিতে দেবীর পুজো হয়। অগ্নি, পবন, বরুণ, চন্দ্র এই চার দেবতার দর্প চূর্ণ করতেই দেবীর আবির্ভাব বলে কথিত রয়েছে।