মির্জাপুর, (টাঙ্গাইল) প্রতিনিধি : টাঙ্গাইলের মির্জাপুরে রতন নামের এক ব্যক্তির বিরুদ্ধে অবৈধভাবে জমি দখল ও বাড়ি দখলের অভিযোগ উঠেছে।

উপজেলার গোড়াই ইউনিয়নের মঈননগর (মাজারচালা) এলাকায় এই ধরনের ঘটনা ঘটেছে। গতকাল শুক্রবার (০৫ সেপ্টেম্বর) বিকেলে স্থানীয় ভুক্তভোগী ও এলাকার গণ্যমান্য ব্যক্তিবর্গদের নিয়ে একটি প্রতিবাদ সমাবেশে অংশ গ্রহণ করেন।
ভুক্তভোগীরা জানান, সাইদুল ইসলাম রতনের কাছ থেকে অনেক দিন আগে সাদা স্ট্যাম্প ও জায়গার জলিল বন্ধক রেখে টাকা পয়সার লেনদেন হয়। ভুক্তভোগীরা টাকা পয়সা না দিতে পারায় সেই সুযোগ কাজে লাগিয়ে রতন তাদের জমি ও বাড়ি দখলে যায়। এই লোকের কারণে আমরা সবাই অতিষ্ঠ হয়ে গেছি। অন্যদিকে তার উচ্ছেদ অভিযান চান সাধারণ জনগণ।
এক ভুক্তভোগীর ছোট বোন বিথি বলেন, আমার বড় বোন সাবিনা বেগম রতনের কাছ থেকে সাদা স্ট্যাম্প এ স্বাক্ষর করে এবং জমির দলিল জমা দিয়ে তার থেকে সর্বমোট ৫ লক্ষ ৫০ হাজার টাকা নেন। এরপর তিনি একই টাকার উপরে সুদ সহ অনেক বেশি পরিমাণে চক্রবর্তী সুদ ধরে ১৫ লক্ষ দাবি করেন এবং আমাদের জন্য দেওয়া অসম্ভব হয়ে পড়ে না। তখন আমরা কেউ টাকা পয়সা না দিতে পারলে অন্যভাবে জমি ও বাড়ি দখল করে নিজের বলে দাবি করেন। রতন আমাকে বিভিন্ন সময় অকথ্য ভাষায় গালিগালাজ সহ খারাপ ইঙ্গিত দেন।
একইভাবে ওই এলাকার ৪-৫ জন সহ আরও বেশ কিছু লোকজনকে এইরকম প্রতারণার শিকারে ফালিয়েছেন। ভুক্তভোগীদের বিভিন্ন ধরনের হুমকি ধামকি দিয়ে আসছে সাইদুল ইসলাম রতন।
বিথি ওরফে ইতির বড় ভাই আল-আমিন দেওয়ান (জনি) জানান, সাইদুল ইসলাম রতন ভূয়া সাংবাদিক সেজে মির্জাপুরের বিভিন্ন জাগায় মানুষকে ভয়ভীতি প্রদর্শন করে ও টাকা পয়সা আত্মসাৎ করেছেন। সে অনেক অপরাধ মূলক কাজ কর্ম করে বেড়াচ্ছে সাধারণ মানুষের চোখ ফাঁকি দিয়ে। তার কোনো শিক্ষাগত যোগ্যতা নাই। উনার শিক্ষাগত যোগ্যতার সার্টিফিকেট তদন্ত করার জন্য প্রশাসনের নিকট জোর দাবী জানিয়েছেন।
উক্ত বিষয় নিয়ে দুই পক্ষের মধ্যে মারধরের ঘটনা ঘটেছে বলে জানা গেছে। প্রথমে স্থানীয় এলাকাবাসী সামাজিকভাবে মীমাংসার জন্য শালিসি বৈঠক হলেও কোন সমাধানে আসেনি।
এব্যাপারে মির্জাপুর থানায় অভিযোগ এর ভিত্তিতে দুই পক্ষের মামলাও হয়েছে। এখন সকলের দাবী আমাদের ঝামেলা যাতে সমাধান করা হয়। সে আমাদের বাচ্চাদের উপর খারাপ কিছু করতে পারে। উনাকে যেন গ্রাম থেকে তাড়িয়ে দেওয়া হয়।