লসফিকুল ইসলাম, (লালমনিরহাট) : গতকাল সোমবার ১৬ ডিসেম্বর, বিকেল সাড়ে চারটার সময় রোজ সোমবার নিজেকে নির্দোষ দাবি করে সংবাদ সম্মেলন করেন – মোঃ রাশেদ হোসেন, পিতাঃ মমতাজ উদ্দিন, সভাপতি, ৮ নং বুড়িমারী ইউনিয়ন যুবদল। মহান বিজয় দিবসের রক্তিম শুভেচ্ছা।
গত ১৫ ডিসেম্বর সন্ধ্যা ৫ টা ৬ মিনিটে অনলাইন মিডিয়ায় তার বিরুদ্ধে মিথ্যা কয়েকটি নিউজ অনলাইন পত্রিকায় নিউজ করে। বিষয়টি ফেইসবুকে দেখেন তিনি তার ২ ঘন্টা পূর্বে রাকিব হোসেন নামে একজন সাংবাদিক ফোন দেয়। ফোন দিয়ে বলে, আপনি রাশেদ আহম্মেদ বলছেন? উত্তরে তিনি জ্বী বলেন । বেশি থাকে তিনি বলেন, আমাকে প্রশ্ন করে, আমি না কি ১ নং ওয়ার্ড, ৪ নং ওয়ার্ড ও ৫ নং ওয়ার্ডে জমি দখল করেছি এবং কারো কাছে ৬০,০০০ (যাট হাজার) টাকা চাঁদা নিয়েছি। উত্তরে আমি ওনাকে সংশ্লিষ্ট ওয়ার্ড বিএনপির সভাপতি/সম্পাদক এর সাথে যোগাযোগ করতে বলেছি।
এরপর আবারো আমাকে জিজ্ঞস করেন, আপনি কি তাহলে জমি দখল করেন নি? কিংবা চাঁদাবাজি করেন নি? উত্তরে আমি বলেছি ভাই, আমি এসব কিছুই জানি না। আপনি আমার বিএনপি ইউনিয়ন লিডার আছে তার কাছে জেনে নিয়েন। এরপরে বিষয়টি ইউনিয়ন বিএনপির সাধারণ সম্পাদক, এ এস এম নিয়াজ নাহিদ মহোদয়কে জানাই। উপজেলা বিএনপির দুই-এক জনকেও জানাই।
তার ২ ঘন্টা পরে আমার কাছে ফোন আসে, ম্যাসেজ আসে, ভাই আপনার নামে কীসব নিউজ ছাড়ছে দেখেন। তার কিছুক্ষণ পর আমি খোঁজ নিয়ে জানতে পারি কিসের অভিযোগ এবং কারা এরা? এখন পর্যন্ত জানি না আসলে কী কারণে আমার নামে ভুয়া এসব অভিযোগ। যাহা সম্পূর্ণ ভিত্তিহীন এবং বানোয়াট। জমি সংক্রান্ত ২টি অভিযোগে যাদেরকে বাদী সাজানো হয়েছে তারা আমাকে বলেছে, আমরা কোন অভিযোগ দেই নাই, কেন দিব? কথা বলে তারপর জানতে পারি ভুয়া এসব অভিযোগ দিয়ে আমাকে হয়রানি করার ষড়যন্ত্র মাত্র।
আরেকটি অভিযোগ আমি নাকি কারো কাছে ৬০,০০০/- হাজার টাকা চাঁদা দাবী করেছি। এটিও একটি মিথ্যা অভিযোগ। যার কথা নিউজে বলা হয়েছে (ফরিদুল ইসলাম) স্বেচ্ছাসেবক দলের ওয়ার্ড নেতা। তিনিও এখানে উপস্থিত তার কাছেও আপনারা জানতে পারেন।
সর্বপরি আরেকটি ভূয়া নিউজ, বুড়িমারী স্থলন্দরের ইবনে সুমন কে নাকি গালিগালাজ করেছি এটিও একটি মিথ্যা তথ্য। উল্টো সুমন সেদিন আমার বাবা-মা তুলে অনেক খারাপ ভাষায় গালিগালাজ করে। আমার ছোট ভাইকে উদ্দেশ্য করে যখন গালিগালাজ করে ঐ মুহুর্তে সিএন্ডএফ সভাপতি/সম্পাদক স্বয়ং উপস্থিত ছিলেন।
সেদিন তারাই (সভাপতি/সম্পাদক) সুমনকে সিএন্ডএফ অফিসে নিয়ে গেলে সুমন তার ভুল স্বীকার করে। বিষয়টি আমি যখন শুনি তখন প্রায় সন্ধ্যা। বিষয়টি জানার জন্য আমি আমার এলাকার যারা ওখানে (জিরো পয়েন্ট) ব্যবসার জন্য থাকে, তাদের সাথে কথা বলে জানতে পারি যে, সুমন আমার বাবা-মা তুলে অকথ্য ভাষায় গালিগালাজ করে।
তা শুনতে পেরে আমি জিরোপয়েন্ট থেকে চলে আসি। এরপর বিষয়টি আমি বুড়িমারী ইউনিয়ন বিএনপির সাধারণ সম্পাদক কে অবগত করি এবং উপজেলা বিএনপির আহবায়ক কমিটির সদস্য শওকত হায়াত প্রধান বাবু ভাইকেও অবগত করি।
উক্ত বিষয়টি নিয়ে কয়েকজনের সঙ্গে কথা বলে জানতে পারি বিষয়টি সম্পূর্ণ মিথ্যা ও বানোয়াট বলে এলাকাবাসী জানান।