আলোচিত ও সমালোচিত গণপূর্ত অধিদপ্তরের নির্বাহী প্রকৌশলী জাহাঙ্গীর আলম।
নিজস্ব প্রতিবেদক : গণপূর্তের দুর্নীতিবাজ নির্বাহী প্রকৌশলী জাহাঙ্গীর আলম তার বদলির আদেশটি বাতিল করার চেষ্টা করে অবশেষে ব্যর্থ হয়েছেন। রাষ্ট্রের গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তিদের অত্যাচারে অধিদপ্তরের প্রধান প্রকৌশলী এবং মন্ত্রণালয়ের সচিব চার্জ হস্তান্তরের কঠোর নির্দেশনা দেয়ায় নবনিযুক্ত নির্বাহী প্রকৌশল কে রাত আনুমানিক এক টার দিকে ডেকে দুই তিন জনের উপস্থিতিতে চার্জ হস্তান্তর করে ঢাকা ছাড়েন দুর্নীতিবাজ নির্বাহী প্রকৌশলী জাহাঙ্গীর আলম। বিশ্বস্ত সূত্রে এ খবর জানা যায়।
নির্বাহী প্রকৌশলী জাহাঙ্গীর আলমের নানা অনিয়ম ও দুর্নীতির খবর নিয়ে জানা যায়, তিনি ২০১২ সালে বিআইডব্লিটিএ’র সহকারী প্রকৌশলী ছিলেন। সেখানেও তিনি বেপরোয়া ছিলেন। সেখান থেকে সরকারি বিধি ভেঙ্গে উপ বিভাগীয় প্রকৌশলী পদে যোগদান করেন। যোগাদানের পর থেকেই ঢাকার বিশেষ বিশেষ স্থানে ব্যক্তিগত চাহিদা পালন সহ নির্বাহী প্রকৌশলী প্রদায়নের দায়িত্ব পান। বিশেষ করে ইএম বিভাগ-২ মন্ত্রী পাড়ার আওতাধীন পড়ায় জাহাঙ্গীর আলম এর দাম্ভিকতা ও অহংকার বেড়ে যায়। মন্ত্রীদের সাথে তার উঠা বসা থাকায় তিনি কাউকে তোয়াক্কা করতেননা। এই বাড়াই তার জন্য কাল হয়ে দাঁড়ায়।
অনুসন্ধানে জানা যায়, প্রধান বিচারপতি বাসায় উঠা কালীন সময়ে কাজের গাফিলতির কারনে এবং সঠিক মানের মালামাল সরবরাহ না করায় প্রধান বিচার পতি তার প্রতি ভিষণ ক্ষিপ্ত হন। বাসযোগ্য উপযোগী না হওয়ায় এবং কাজের গুণগত মান নিম্নমানের হওয়ায় প্রধান বিচার পতি সঠিক সময়ে বাসায় উঠতে পারেননি। মূলত প্রধান বিচার পতির ইশারায়ই এই দুর্নীতিবাজ ও নারী লোভী জাহাঙ্গীর আলমকে বদলী করা হয়।
অনুসন্ধানে আরো জানা যায়, তার অধিনস্ত উপ সহকারী প্রকৌশলীদের মধ্যে দুই একজন তার কাছের ছিলেন। অন্য সব প্রকৌশলীরা তার বেপরোয়া চলাফেরা, আচরণ এবং সীমাহীন দুর্নীতি সহ্য করতেন না বলেই তাদের সামান্য ত্রুটি বিচ্যুতি খুঁজে বের করে বা তৈরি করে ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে বদলির চিঠি দিতেন। এমনকি তিনি সফলও হতেন। সেই ভয়ে অন্য প্রকৌশলীরা তার অন্যায় নিরবে সহ্য করতেন। জাহাঙ্গীর আলম এর অধীনস্হ দুই জন মাত্র উপ বিভাগীয় প্রকৌশলী। একজন নারী, আরেক জন পুরুষ। মন্ত্রী পাড়া জুড়িডেকশনে পুরুষ এবং দুর্বল জুড়িডেকশনে নারী প্রকৌশলীকে দায়িত্ব দেয়া হয়।
অভিযোগ রয়েছে, নারী প্রকৌশলীর এই জায়গায় দুই বছরে চারজন উপ বিভাগীয় প্রকৌশলী নারীকে বদলী করা হয়। এর কারণ অনুসন্ধান করে জানা যায়, জাহাঙ্গীর আলম এর কু প্রস্তাব বা অন্যায় এবং দুর্নীতির কাজে রাজি না হওয়ায় তারা নিজ চেষ্টায় অন্যত্র বদলী হয়ে চলে যান।
খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, সম্প্রতি উপ বিভাগ তিন এ জয়ন্তী নামের প্রকল্পটির মেয়াদ শেষ পর্যায়ে প্রত্যাশি সংস্থাকে বুঝিয়ে দেয়ার পূর্বে সকল বিল সমাপ্ত করার সময় দায়িত্বপ্রাপ্ত উপ বিভাগীয় প্রকৌশলীকে যে সকল কাজ হয়নি সে সকল কাজের বিল দেয়ার জন্য চাপ প্রয়োগ করলে উক্ত প্রকল্পের উপ সহকারী প্রকৌশলী ও উপ বিভাগীয় প্রকৌশলী থেকে দায়িত্ব বদল করে উপ বিভাগীয় চারকে হস্তান্তর করা হয়েছে। এতে তিনি তার টার্গেট ফিলাপ করেন। যা গণপূর্ত’র বিধানে সাইড ডিস্টিভিশন করার এখতিয়ার শুধু মাত্র পারেন প্রধান প্রকৌশলী। বিষয় টি অনুসন্ধানে উঠে আসে যে, উপ বিভাগ চার এর উপ বিভাগীয় প্রকৌশলীর সাথে তার ছিলো সখ্যতা এবং সব কাজের ভাগাভাগি সম্পর্ক। এমনকি অধিকাংশ কাজেই তাদের দুজনের ঠিকাদার ছিলো নামে মাত্র। পূর্ত ভবন বেইলি রোডের ভবনের কাজ উপ বিভাগীয় প্রকৌশলী নিজেই করেছেন বলে অভিযোগ রয়েছে।
খবর নিয়ে আরো জানা গেছে , যেকোন কাজের বিল দেয়ার আগে দায়িত্বরত প্রকৌশলীদের সাথে জাহাঙ্গীর আলম এর বুনিবোনা না হলে তার পছন্দের প্রকৌশলীকে অর্ডার করে বিল প্রস্তাবের নির্দেশ দিতেন। সময়ের ব্যবধানে দায়িত্ব বদল করতে না পারলে দায়িত্বরত প্রকৌশলীর স্বাক্ষর ব্যতি রেখেই নিজ ক্ষমতা বলে ঠিকাদারকে বিল প্রদান করতেন। তার প্রমাণ হিসেবে রায়ের বাজার বৌদ্ধ ভূমির উপকেন্দ্র সহ আনুষাঙ্গিক চতুর্থ আর/ এ বিলের উপ প্রকৌশলীর স্বাক্ষর ব্যতি রেখে ও ঝিগাতলা প্রকল্পের উপ সহকারী প্রকৌশলী এবং উপ-বিভাগীয় প্রকৌশলীর স্বাক্ষর ব্যতি রেখেই বিল প্রদান করা হয়েছে। এরকম অসংখ্য বিলই দায়িত্বগত কর্মকর্তাদের স্বাক্ষর ছাড়াই প্রদান করা হয়েছে বলে অভিযোগ আছে।
অনুসন্ধানে আরো বেরিয়ে আসে, দুর্নীতিবাজ জাহাঙ্গীর আলম দীর্ঘ নয় বছর সরকারের বিশেষ বিশেষ স্থাপনা পরিচালনা করতেন উপর মহল ঠিক রেখে। ওই মহল কে ঠিক রাখতে খরচ করতে হয়েছে কোটি কোটি টাকা। এই অর্থ আসতো ভূয়া পাক্কলন এবং ভূয়া বিলের মাধ্যমে। অথচ ভবনের সমস্যা সমস্যাই থেকে যেতো। বিল প্রদান করার জন্য হিসাব শাখাটি ছিলো তার আনুগত্য। তাদের খুশি রাখার জন্য সর্বাত্মক চেষ্টা করতেন তিনি। চেষ্টার অংশ হিসেবে হাজার হাজার ভূয়া ভাউচারে লাখ লাখ টাকার সুবিধা দিয়েছেন। এমনকি একাউন্ট শাখার কর্মচারীদের বাসায় এসির ব্যবস্থাও করে দিয়েছেন এই দুর্নীতিবাজ নির্বাহী প্রকৌশলী। কাজ শেষ হবার আগেই ঠিকাদারের সাথে যোগসাজশ করে নিজের ক্ষমতা বলে বিল দিয়েছেন। এছাড়াও নারী সহকর্মীরা তার সাথে কাজ করতে নিরাপদ নয় এমন অভিযোগও আছে। জাহাঙ্গীর এর ক্ষমতার দাপটে অফিসের সকাল কর্মকর্তা কর্মচারী মুখ বন্ধ করে কাজ করতেন। তার অনিয়ম দুর্নীতির বিরুদ্ধে প্রতিবাদ করার মতো কেউ না থাকায় একতছত্র অধিপত্য কায়েম করে ছিলেন তিনি।
একটি বদলির আদেশ অনুযায়ী জানা গেছে, নির্বাহী প্রকৌশলী জাহাঙ্গীর আলমকে গত ৩ ফেব্রুয়ারি গণপূর্ত ইএম বিভাগ-২, ঢাকা থেকে ইএম পিএন্ডডি বিভাগ, রাজশাহীতে পোস্টিং দেয়া হয়েছে। ওই প্রজ্ঞাপনে তাকে সহ আরো দুইজন নির্বাহী প্রকৌশলী রাজু আহম্মেদ ও মোঃ কামরুজ্জামানকে পোস্টিং দেয়া হয়েছে।
জাহাঙ্গীর আলমের স্থলে স্থলাভিষিক্ত করা হয়েছে রাজু আহম্মেদকে। অভিযোগ উঠেছে, জাহাঙ্গীর আলম ফের ঢাকায় পোস্টিং নিতে সংশিষ্ট দপ্তরের মন্ত্রী সহ সরকারের ক্ষমতাধর বিভিন্ন ব্যক্তির কাছে দৌড়ঝাপ শুরু করেন। মোটা টাকার বাজেট নিয়েই তিনি ঢাকার ওয়ার্কিং ডিভিশনে পোস্টিং পেতে বেশ মরিয়া উঠে ছিলেন। কিন্তু তার এই চেষ্টা এবং স্বপ্ন বাস্তবায়ন হয়নি বলে বিশ্বস্ত সূত্রে খবর জানা গেছে।
এদিকে জাহাঙ্গীর আলমের ঢাকায় আবার বদলীর খবর শুনে গণপূর্তের কর্মকর্তা-কর্মচারীদের মধ্যে আতংক বিরাজ করছিলো। তাদের অভিযোগ, জাহাঙ্গীর আলম এর অত্যাচারে ডিভিশনের কেউ শান্তি মতো কাজ করতে পারেনি। তাকে ছাড়া ডিভিশনের সবাই ক্ষতিগ্রস্থ। একমাত্র তিনি এবং তার দুই আনুগত্য অফিসার লাভবান হয়েছেন। তিনি ছিলেন একক আধিপত্য’র অধিকারী।
গণপূর্ত’র ইএম বিভাগের একাধিক সূত্রে জানায় , দুই কোটি টাকা খরচ করে হলেও ঢাকার ওয়ার্কিং ডিভিশনে পোস্টিং নিতে সব ধরনের চেষ্টা চালিয়ে ছিলেন নির্বাহী প্রকৌশী জাহাঙ্গীর আলম।
ডিভিশনে ঘটা করে সবার মুখে আলাপ শোনা গেছে, মাত্র চার মাস আগে জাহাঙ্গীর আলমকে ঢাকা থেকে রাজশাহীতে বদলির অন্যতম কারণ ছিলো প্রধান বিচার পতির বাস ভবনে কাজের গাফিলতি এবং নারী সহকর্মীরা তার সাথে কাজ করতে নিরাপদ নয়। তবে ঢাকায় আলাদিনের চেরাগ থাকায় জাহাঙ্গীর মোটা টাকা খরচ করে হলেও সচিবালয়ে বা অন্য কোন ডিভিশনে পোস্টিং পেতে মরিয়া। এজন্য তিনি সংশ্লিষ্ট মন্ত্রীর দপ্তর সহ সম্ভাব্য সব জায়গায় দৌড়ঝাপ পাড়ছেন।
অভিযোগে আরো জানা যায়, পিডব্লিউডির ইএম-২ ডিভিশনে চাকরি করে জাহাঙ্গীর আলম শত কোটি টাকার মালিক বুনেগেছেন। তিনি কাউকে তোয়াক্কা করেন না। তার ইচ্ছেমতো বা মনমতো কোন কর্মকর্তা না হলে তাদের বিরূদ্ধে বেনামে অভিযোগ দায়ের করে পত্রিকায় খবর প্রকাশ করিয়ে ফায়দা লুঠতেন। আরো অভিযোগ হলো, জিগাতলা প্রকল্পের এক হাজার বর্গফুট এর দুই টি ভবনের ৮ কোটি টাকার কাজের বিল ঠিকাদারের সাথে যোগসাজশ করে ভাগাভাগি করে নিয়েছেন জাহাঙ্গীর আলম। ওই কাজের মেয়াদ শেষ হলেও মাহবুব কনস্ট্রাকশন এখনো কাজ বুঝিয়ে দিতে পারেনি। একই ভাবে সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে গ্লাস টাওয়ারের লাইট এর মূল্য তিন গুণ বেশি দেখিয়ে এনার্জি প্লাস এর সাথে যোগসাজশ করে সেখানেও ৮ কোটি টাকা হাতিয়ে নিয়েছেন এই কর্মকর্তা। এরকম অসংখ্য কাজ ঠিকাদারকে দিয়ে কখনো অর্ধেক আবার কখনো কাজ না করিয়েই বিল উত্তলন করেছেন অহরহ।
মাত্র নয় বছর পিডাব্লিউতে চাকরি করে বিভিন্ন প্রকারের অনিয়ম ও দুর্নীতি চালিয়ে সাবেক আওয়ামী ফ্যাসিবাদী সরকারের প্রেতাত্মা খ্যাত উর্ধতন কর্তৃপক্ষের আস্থাভাজন হিসেবে নিজেকে জাহির করে সুকৌশলে জাহাঙ্গীর আলম এখন শত কোটি টাকার মালিক বনে যান।
গণপূর্ত’র ঊর্ধ্বতনও কর্তৃপক্ষের এক কর্মকর্তা জানান , নির্বাহী প্রকৌশলী জাহাঙ্গীর আলম এর বিরুদ্ধে ডিভিশনে নানা অনিয়ম, দুর্নীতি এবং নারী সহকর্মীরা তার সাথে কাজ করতে নিরাপদ নয় এরকম বেশ কিছু ইস্যু নিয়ে তদন্ত চলছে। গুরুতর অভিযোগ পাওয়া গেলে বিষয় টি দুদক পর্যন্ত গড়াতে পারে বলে তিনি মন্তব্য করেন।
বিআইডব্লউটিএ তে সহকারী প্রকৌশলী হিসেবে কর্মরত থাকা অবস্থায় ২০১২ সাল থেকে ২০১৬ সাল নাগাদ বিআইডব্লিউটিএ তে ডিউটি না করে সহকারী প্রকৌশলী হিসেবে বেতন তুলেছেন বলে অভিযোগও আছে। আলাদিনের চেরাগের মতো প্রমোশনের পাশাপাশি শত কোটি টাকার ধন সম্পদের মালিকও হয়েছেন দুর্নীতিবাজ এই নির্বাহী প্রকৌশলী ।
জাহাঙ্গীর আলম ধন সম্পদ এর খবর নিয়ে জানা যায়, ঢাকার মোহাম্মদপুরে আলিশান বাড়ি, কুয়াকাটায় ও কক্সবাজারে রিসোর্স এবং ফ্ল্যাট রয়েছে। গ্রামের বাড়িতে বিঘা জমি ক্রয় করেছেন। তার সহকর্মীদের মুখ থেকে শোনা যায়, জাহাঙ্গীর এর নিজ এলাকায় এমন কোন জমির খতিয়ান নাই যে, তার জমি নেই।
জাহাঙ্গীর আলম বিলাসীতা জীবন যাপন সম্পর্কে খবর নিয়ে জানা যায়, উচ্চবিলাসী এবং মনোরঞ্জন ব্যক্তি। সরকারি ছুটির দিন তার জন্য ঈদ। ঢাকা থাকা অবস্থায় একেক ঠিকাদার একেক রিসোর্টে সুন্দরী, রমনী দিয়ে অবকাশ যাপনে ডুবসাঁতার কেটেছেন সুন্দরীদের নরম দেহের গরম ভাজে কারন, শরাব শাবাব ও কাবাবের প্রতি ছিল তার অসম্ভব দুর্বলতা । যে কারণে তিনি বোড ক্লাবে দশ লাখ টাকা খরচ করে মেম্বারশিপ নিয়েছেন এমন খবরও চাউর হয়েছিল।
হিসাব শাখার সুবিধা বঞ্চিত একজন নাম প্রকাশ না করার শর্তে জানান, নির্বাহী প্রকৌশলী জাহাঙ্গীর আলমের বাধ্যগত একজন প্রকৌশলী যে পরিমাণ আর্থিক সুবিধা পেয়েছে তার ১০ গুন সুবিধা দিয়েছে হিসাব শাখার একজন কর্মচারীকে । তদন্তে এর কিছু নজির পাওয়া গেছে। কিন্তু বিন্দুমাত্র তথ্য্ও প্রদান করতে রাজি নয় সংঘবদ্ধ দুর্নীতিবাজ চক্র। দুর্নীতিবাজ জাহাঙ্গীর আলমের ডিভিশনে দুই জন এস্টিমেটরের পদ থাকলেও দায়িত্বে ছিল একজন। তার অতিরিক্ত দুর্নীতির বিরুদ্ধে যাওয়াতে উপ বিভাগ ৪ এর দায়িত্ব প্রদান করেন উক্ত উপবিভাগের সেকশনে নিয়োজিত জুনিয়র উপ-সহকারী প্রকৌশলী মো. ফারুক হোসেন। এতে সুবিধা হয়েছে যে, সাইটে প্রাকলন প্রস্তুত করেন তিনি এবং তিনিই চেক করেন যাতে করে বেশি পরিমাণ দুর্নীতি করা যায় ।
গণপূর্ত অধিদপ্তরে খোজ নিয়ে জানা যায়, অসংখ্য নির্বাহী প্রকৌশলী আছেন এ দপ্তরে । কিন্তু কারো অফিস কক্ষের সামনে এত পরিমান ঠিকাদার অপেক্ষমান থাকতে দেখা যায়নি যা, জাহাঙ্গীর আলম সময় দেখা গেছে। অধিদপ্তরের প্রধান প্রকৌশলীর কক্ষের সামনে নেও ভিড় করতেন না ঠিকাদাররা। অনুসন্ধানে বেরিয়ে আসে, নির্দিষ্ট কিছু দুর্নীতিবাজ, নারী সাপ্লাই ঠিকাদারেরাই রুম দখল করে রাখতেন। তার অফিস কক্ষের দরজা খোলার দায়িত্বে রাখতেন একাধিক লাঠিয়াল অফিস কর্মচারী, এক হাজার টাকা বকশিশ দিয়েও সারাদিনেও ভিতরে ঢোকার অনুমতি মিলতো না সাধারণ, সৎ ও যোগ্যতা সম্পন্ন ঠিকাদারের।
নির্বাহী প্রকৌশলী জাহাঙ্গীর আলম এর বিরুদ্ধে আনিত অভিযোগ সম্পর্কে তার বক্তব্য জানতে তার মোবাইলে একাধিক বার কল করা হলে ও তিনি মোবাইল রিসিভ না করায় তার কোন প্রকার বক্তব্য প্রকাশিত হলো না।