কুমিল্লার  দেবিদ্বার বড়শালঘর ইউনিয়নের সচিব নেপাল চন্দ্র পালের বিরুদ্ধে অনিয়ম ও দূর্নীতির অভিযোগ

Uncategorized অনিয়ম-দুর্নীতি অপরাধ আইন ও আদালত গ্রাম বাংলার খবর জাতীয় বিশেষ প্রতিবেদন সারাদেশ

মো: তোফায়েল আহমেদ (কুমিল্লা) :  কুমিল্লার দেবিদ্বার উপজেলার ১ নং বড়শালঘর ইউনিয়ন পরিষদের প্রশাসনিক কর্মকর্তা (সচিব) নেপাল চন্দ্র পালের বিরুদ্ধে অনিয়ম ও দূর্নীতির অভিযোগ উঠেছে। এ বিষয়ে স্থানীয় এক ইউপি সদস্য কুমিল্লা জেলা প্রশাসক ও দেবিদ্বার উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা বরাবর লিখিত অভিযোগ পত্র দাখিল করেছেন।


বিজ্ঞাপন

লিখিত অভিযোগ সুত্রে জানা যায়, নেপাল চন্দ্র পাল দীর্ঘদিন যাবৎ আইন ও বিধি বহিঃর্ভূত ভাবে কর্মরত আছে৷ দীর্ঘ ৭ বছর একই জায়গায় কর্মরত থাকার কারণে স্থানীয় দালালদের সাথে নিয়ে একটি চক্র গড়ে উঠেছে৷ চক্রের সদস্যদের নিয়ে জনগনের নিকট হতে জন্ম নিবন্ধন, মৃত্যু সনদ, নাগরিক সনদ এবং ওয়ারিশ সনদ সহ বিভিন্ন নাগরিক সেবা নিতে ৩০০/- টাকা হতে ১,০০০/- টাকা পর্যন্ত প্রকাশ্যে ঘুষ নেয়। কোন নাগরিক সচিবের ধার্য্য কৃত অতিরিক্ত টাকা (ঘুষ) না দিলে ইউনিয়ন পরিষদের সেবা হতে বঞ্চিত হতে হয়,সেই সাথে দীর্ঘদিনের ভোগান্তি তো আছেই৷


বিজ্ঞাপন

নাম প্রকাশ্যে অনুচ্ছুক একাধিক ব্যাক্তিরা প্রতিবেদক কে জানান, দীর্ঘ সাত বছর একই কর্মস্থলে অবস্থান করার কারনে স্থানীয় দালালদের মাধ্যমে পুরো ইউনিয়ন জুড়ে প্রভাব বিস্তার করে বিভিন্ন নাগরিক সনদ থেকে লোক বুঝে দালালদের মাধ্যমে অর্থ নিয়ে থাকে সে। সদর উপজেলা থেকে প্রায় ১৬ কিলোমিটার দূরে হওয়ার কারনে প্রশাসনিক উর্ধতন কর্মকর্তারা তেমন নজরে নেন। মহাসড়ক থেকে অনেকটা দূরে ইউনিয়ন পরিষদ হওয়ায় কার্যক্রম কারো চোখে পড়ে না৷ আমরা ইউনিয়ন বাসী চাই দ্রুত সময়ের মধ্যে তাদের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা হউক।


বিজ্ঞাপন

অভিযোগ কারী নজরুল ইসলাম সাংবাদিকদের বলেন,সাবেক চেয়ারম্যান এবং বর্তমান চেয়ারম্যান তাকে একাধিক বার জনগনের সম্মুখে বিচার-সালিশ করার পরও সে তার অবৈধ কার্যক্রম বন্ধ করেনি। তার কার্যক্রমে ক্ষিপ্ত জনগন৷ নাগরিকগণ তার প্রতি ক্ষুব্ধ ও অসন্তুষ্ট। এমতাবস্থায় এলাকার ক্ষুব্ধ জনগন যেকোনো সময় তার আচরনে অসন্তুষ্ট হয়ে যেকোনো ধরনের অপ্রীতিকর ঘটনা বা আইন শৃঙ্খলা পরিস্থিতির অবনতির আশংঙ্খা রয়েছে।

অত্র এলাকার নাগরিক হইতে তার কর্মকালীন সময়ে আনুমানিক দুই থেকে তিন কোটি টাকার স্থাবর সম্পত্তির সন্ধান পাওয়া যায়।
অভিযোগের বিষয়ে প্রশাসনিক কর্মকর্তা নেপাল পাল বলেন, পাবলিক ফাংশানে কাজ করলে কিছু বদনাম হবে এটাই স্বাভাবিক! “নিউজ টিউজ লাগত না এই ধরেন(টাকা) এ সময় মোটা অংকের অর্থের বিনিময়ে সাংবাদিকদের ম্যানেজ করার ব্যার্থ চেষ্ঠা করেন।

এ বিষয়ে দেবিদ্বার উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মোহাম্মদ আবুল হাসনাত খাঁন জানান, অভিযোগ পেয়েছি, তদন্তের জন্য দেওয়া হবে৷ সতত্যা পেলে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহন করা হবে।


Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *