নিজস্ব প্রতিবেদক : বিএনপিকে পাপের ফল ভোগ করতে হচ্ছে বলে মন্তব্য করেছেন জাতীয় পার্টির চেয়ারম্যান জিএম কাদের। তিনি বলেছেন, দুর্নীতির দায়ে বিএনপির নেত্রীকে এখন সাজা ভোগ করতে হচ্ছে। এখন ২৪ মার্চের কথা বলে নিজেদের পাপ ঢাকার চেষ্টা করে কোনো লাভ হবে না। এদেশের মানুষ বিএনপিকে প্রত্যাখ্যান করেই যাবে।
বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরের ২৪ মার্চ উপলক্ষে দেওয়া বক্তব্যের প্রতিক্রিয়ায় এসব বলেন তিনি।
জিএম কাদের বলেন, ওই সময়কার অবস্থা এবং প্রেক্ষাপটের কথা মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরের মনে রাখা উচিত ছিল। কোনো দেশে সামরিক আইন প্রত্যাশিত নয়, কিন্তু সামরিক আইন নিয়ে আসতে যারা বাধ্য করে, প্রকৃতপক্ষে তারাই অপরাধী। ১৯৮২ সালের ২৪ মার্চ বিএনপির চেয়ারম্যান এবং দেশের রাষ্ট্রপতি সাত্তার জাতির উদ্দেশে ভাষণ দিয়ে নিজের দুর্নীতিবাজ মন্ত্রিসভা বাতিল ঘোষণা করে সেনাবাহিনীর হাতে ক্ষমতা হস্তান্তর করেছিলেন। তখন সেনাপ্রধান হিসেবে দায়িত্বভার গ্রহণ করেছিলেন হুসেইন মুহম্মদ এরশাদ। ওই সময় যিনিই সেনাপ্রধান থাকতেন, তাকেই রাষ্ট্রপতির দেওয়া দায়িত্বভার গ্রহণ করতে হতো। তার জন্য যদি কারো অপরাধ হয়ে থাকে, সেই অপরাধী হবেন তৎকালীন রাষ্ট্রপতি সাত্তার। ১৯৮২ সালের ২৪ মার্চের ওই পরিবর্তনকে দেশের আপামর জনগণ এবং অধিকাংশ রাজনৈতিক দল প্রত্যক্ষ ও পরোক্ষভাবে স্বাগত জানিয়েছিল।
হুসেইন মুহম্মদ এরশাদের আমলে নির্যাতন-নিপিড়নের কথা বলতে বিএনপির লজ্জা হওয়া উচিত। দেশের মানুষ এখনো ভুলে যায়নি, বিএনপির শাসনামলের দুর্নীতি-দুঃশাসন-অরাজকতা-খুন ও হত্যার মহোৎসবের কথা। জনগণ এখনো ভুলে যায়নি বিএনপির শাসনামলে তৎকালীন বিরোধীদলীয় নেতা শেখ হাসিনার জনসভায় গ্রেনেড হামলা চালিয়ে ২২ জন মানুষ হত্যা, পল্টনের জনসভায় বোমা হামলা, যশোরের সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানে বোমা হামলা চালিয়ে মানুষ হত্যা, গাইবান্ধা ও কানসাটের গণহত্যা, রাজনৈতিক নেতা ও ছাত্র হত্যার কথা। বিএনপিকে এখন তার ফল ভোগ করতে হচ্ছে, যোগ করেন তিনি।
জাতীয় পার্টির চেয়ারম্যান আরো বলেন, মির্জা ফখরুলের স্মরণ থাকা উচিত যে তার পিতা মরহুম মির্জা রুহুল আমিন ছিলেন হুসেইন মুহম্মদ এরশাদের মন্ত্রিসভার সদস্য এবং তার দলের এমপি।