নিজস্ব প্রতিবেদক : এলজিইডির গুরুত্বপূর্ণ নগর অবকাঠামো উন্নয়ন প্রকল্প (২য় পর্যায়ে) এর টাকা সংগ্রহের মূল নায়ক সহকারি প্রকৌশলী আউটসোসিং রাকিবুল ইসলাম বলে জানা গেছে।

সূত্রমতে, প্রকল্পভূক্ত ২৮১ পৌরসভায় যোগাযোগ করলে জানা যায় রাকিব প্রকল্প পরিচালকের টাকা সংগ্রহ এবং বিভিন্ন যায় পৌঁছে দেওয়ার হাতিয়ার।

তাহলে কি আউট সোসিং কর্মচারী আইনের উর্ধে?
অনুসন্ধানে জানা যায় এই রাকিবুল ইসলাম সাবেক ছাত্রলীগের ক্যাডার। সে ফরিদপুর ন্যাশনালপলিটেকনিক থেকে ডিপ্লোমা পাশ করেন।ছাত্রলীগের রাজনীতির সাথে জড়িত থাকার কারণে সাবেক স্থানীয় সরকার মন্ত্রী খন্দকার মোশারফ হোসেনের এপিএস ফুয়াদের সুপারিশে তৎকালীন গুরুত্বপূর্ণ পল্লী অবকাঠামো উন্নয়ন প্রকল্পের প্রকল্প পরিচালক কাজী মিজানুর রহমান মো: রাকিবুল ইসলাম কে এলকেএসএস এর মাধ্যমে উপ সহকারী প্রকৌশলী হিসেবে গুরুত্বপূর্ণ পল্লী অবকাঠামো উন্নয়ন প্রকল্পে নিয়োগ দেন।তার পোস্টিং ছিলো নাজিরপুর উপজেলায়।

এই ফুয়াদই সাবেক ভান্ডারিয়া উপজেলার চেয়ারম্যান মিরাজুল ইসলামের মাধ্যমে কাজী মিজানুর রহমানকে গুরুত্বপূর্ণ নগর অবকাঠামো উন্নয়ন প্রকল্পে প্রকল্প পরিচালক হিসেবে নিয়োগ দেন।
শুরু থেকেই মো: রাকিবুল ইসলাম কাজী মিজানের খুব কাছাকাছি চলে আছে খন্দকার মোশারফ হোসেনের লোক হিসেবে।কাজী মিজানুর রহমান সব নিয়ম নীতি তোয়াক্কা না করে মো: রাকিবুল ইসলাম কে দিয়ে সব ধরনের অবৈধ টাকা সংগ্রহ এবং সংগ্রহ করতে থাকেন।আউট সোসিং এ চাকরি করেও হয়ে উঠে অনেক ক্ষমতাধর।
অনুসন্ধানে জানা যায় ২০২২ সালে এই রাকিবুল ইসলাম ইউরোপীয়ান ইউনির্ভাসিটি থেকে একটা বিএসসি ইঞ্জিনিয়ারিং এর সার্টিফিকেট সংগ্রহ করে।একই সাথে গুরুত্বপূর্ণ নগর অবকাঠামো উন্নয়ন প্রকল্পের উপ সহকারী প্রকৌশলী লায়লাও বিএসসি ইঞ্জিনিয়ারিং সমাপ্ত করে।
প্রকল্প পরিচালক কাজী মিজানুর রহমান ২০২২ সালের মাঝামাঝি সময় গুরুত্বপূর্ণ পল্লী অবকাঠামো উন্নয়ন প্রকল্প(বরিশাল, ঝালকাঠি, পিরোজপুর) শীর্ষক প্রকল্পের দ্বায়িত্ব ছেড়ে দেন।প্রকল্পের দ্বায়িত্বে না থেকেও প্রকল্প পরিচালক কাজী মিজানুর রহমান এবং হিসাব রক্ষক কর্মকর্তা এবিএম তরিকুল ইসলাম সরকারি নোট দিয়ে রাকিবকে উপ সহকারী প্রকৌশলী কে সহকারী প্রকৌশলী আউট সোসিং হিসেবে নিয়োগ দেওয়ার সুপারিশ করেন যাহা চিফ ইন্জিনিয়ার এর অনুমোদন এর মাধ্যমে এলকেএসএস থেকে নিয়োগ দেওয়া হয়।এ ক্ষেত্রে একজন নারী হিসেবে উপ সহকারী লায়লাকে কোনো প্রকার প্রতিযোগিতা ও সুযোগ দেওয়া হয়নি।
আউট সোসিং নিয়োগ বিধিমালা ২০১৮ অনুযায়ী সব নিয়োগ টেন্ডারের মাধ্যমে হওয়ার কথা।এখানে সরকারের বিধিমালা লঙ্ঘন করা হয়েছে।অন্য প্রকল্প চলাকালীন সময় তার আউট সোসিং এর লোক সরকারি নোট দিয়ে নিয়োগ দেওয়া ক্ষমতার অপব্যবহার।
মো: রাকিবুল ইসলাম গুরুত্বপূর্ণ পল্লী অবকাঠামো উন্নয়ন প্রকল্পে অর্থাৎ বিজেপি প্রকল্পে থাকা অবস্থায় তার বেতন হিসাবে ২০১৯ থেকে ২০২২ পর্যন্ত ২৮১ টি পৌরসভা থেকে কোটি কোটি অবৈধ টাকা সংগ্রহ করে।সে আর একটি বিকাশ এজেন্ট নাম্বারে টাকা সংগ্রহ করতে থাকে।
সে সময় প্রকল্পের দ্বায়িত্বে থাকা সহকারী প্রকৌশলী তার অবৈধ
নিয়োগের ব্যপারে আপত্তি জানালে তাকে বাদ দিয়ে রাকিবুল কে সহকারী প্রকৌশলী আউট সোসিং হিসেবে নিয়োগ দেওয়া হয়।
এ ব্যপারে সাবেক সহকারী প্রকৌশলী কে,এম,নুরুল ইসলাম কতৃপক্ষের নিকট আবেদন করলে কতৃপক্ষ অপরাধী রাকিবকে বাঁচাতে চেস্টা করতে থাকে।
প্রকল্প পরিচালক কাজী মিজানুর রহমান ২০২৩ সালের শেষের দিকে প্রকল্পের দ্বায়িত্ব ছেড়ে দিলে সাতক্ষীরার সাবেক নির্বাহী প্রকৌশলী মো: সুজায়েত হোসেন প্রকল্প পরিচালকের দ্বায়িত্ব গ্রহন করেন। তিনি যোগদান করে রাকিবকে আরো ক্ষমতায়ন করেন।এমন কি সরকারি অফিসে র প্রাক্কলন, নোটে তাকে দিয়ে সই করাতেন।এই রাকিব মিরাজুল ইসলাম সিন্ডিকেটের লোক হওয়ার এবং এই সিন্ডিকেট প্রকল্প পরিচালক সুজায়েত হোসেন কে নিয়োগ দেওয়ার কারনে রাকিব আরও অপ্রতিরোধ্য হয়ে উঠে।
অনুসন্ধানে আরো জানা যায় রাকিবের নিয়োগ এবং অবৈধ অর্থ সংগ্রহ ব্যপারে সহকারী প্রকৌশলী কে,এম,নুরুল ইসলাম মন্ত্রনালয় এবং দুদকে আবেদন করেন।কিছুদিন পূর্বে দুদক উক্ত দপ্তরে অভিযান চালায় কিন্ত এখন পর্যন্ত রাকিবের দাপট সামান্য তম কমেনি। বর্তমান পিডি দুর্নীতির শিরোমণি খ্যাত সুজায়েত হোসেনের ছত্রছায়ায় অনিয়ম দুর্নীতি করে বহাল তবিয়তে আছেন বলে সংশ্লিষ্ট সূত্র দাবি করছেন।