চট্টগ্রাম প্রতিনিধি : চট্রগ্রামে সাংবাদিকদের ওপর পরিকল্পিত ভাবে হামলা চালানোর দায়ে আটক হওয়া ব্যক্তি ১২ দিন পর উল্টো মামলা ঠুকে দিয়েছেন চট্টগ্রামের ২৭ জন শীর্ষ সারির সাংবাদিকসহ ৩৮ জনের নাম উল্লেখ করে।

জানা যায় ঘটনার দিন, মে দিবস উপলক্ষে চট্টগ্রামে কর্মরত সাংবাদিকরা আনোয়ারার পারকি বিচে পিকনিকের আয়োজন করে। এ উপলক্ষে বৃহস্পতিবার সকাল ৯টার দিকে চট্টগ্রাম নগরীর জমিয়তুল ফালাহ মসজিদের সামনে সাংবাদিকদের পরিবহনের জন্য বেশ কয়েকটি বাস এসে অবস্থান করছিল। এ সময় রেজাউল ইসলামের নেতৃত্বে একদল দুর্বৃত্ত বাসচালকদের কাছ থেকে চাবি কেড়ে নেয়। এর প্রতিবাদ করলে তারা সাংবাদিকদের ওপর হামলা চালায়। ফটোসাংবাদিক প্রদীপ শীলকে এ সময় তারা একটি সিএনজিচালিত ট্যাক্সিতে জোর করে তুলে অপহরণের চেষ্টা করে। এ সময় স্থানীয় লোকজন এসে দুর্বৃত্তদের কবল থেকে সাংবাদিকদের উদ্ধার করে এবং হামলাকারী দুজনকে ধরে পুলিশের হাতে তুলে দেয়। আটক ওই দুজনের নাম রেজাউল ইসলাম (৩২) ও শহীদ ওরফে কোরবান আলী (২৬)। হামলাকারী অন্যরা পালিয়ে যায়।

দুর্বৃত্তদের হামলায় তিন সাংবাদিক আহত হন। তারা হলেন— ডেইলি লাইফ পত্রিকার ফটো সাংবাদিক প্রদীপ কুমার শীল, দৈনিক যায়যায়দিনের চট্টগ্রাম ব্যুরো চিফ খোরশেদুল আলম শামীম এবং দৈনিক পূর্বদেশের সহ-সম্পাদক শফিকুল ইসলাম খান।

এ ঘটনায় বাংলাদেশ মফস্বল সাংবাদিক ইউনিয়ন (বিএমইউজে)’র কেন্দ্রীয় কমিটির সভাপতি আলহাজ্ব সোহেল আহমেদ, সাধারণ সম্পাদক শিবলী সাদিক খান, সাংগঠনিক সম্পাদক সোহাগ আরেফিন যুক্ত বিবৃতিতে তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানিয়ে বলেন, আইন পেশায় যুক্ত মামলার বাদী রেজাউল আটক অবস্থা থেকে মুক্ত হয়ে ১২ দিন পর সাজানো মামলাটি করে, ঘটনার বর্ণিত সংক্ষুব্ধ মিথ্যাচার থেকে বেড়িয়ে এসে শিক্ষার মান রক্ষায় সত্যের পথে এগিয়ে এসে অনুতপ্ত হয়ে মামলাটি প্রত্যাহার করতে হবে। নেতৃবৃন্দ আরো বলেন কারো সাথে প্রতিহিংসা বা আক্রোশ নয়, আইনের শিক্ষা জ্ঞানের পরিধিকে বিতর্কিত বা খাটো না করে, পিবিআই তদন্তে প্রকৃত সত্য উম্মোচন হলে মানুষের আড়ালে মূখোস পড়া পেশার মান মর্যাদা ক্ষুন্ন হওয়ার সম্ভাবনা থেকে যায়, এর আগেই সহনশীল মেজাজে ভূলত্রুটি শুধরে শান্তিপূর্ণ সমাধানের লক্ষ্যে সত্য ও ন্যায় প্রতিষ্ঠায় ঘটনার দ্রুত নিষ্পত্তির আহবান জানিয়ে প্রকৃত শিক্ষা জ্ঞান সম্পন্ন মানুষ হওয়ার আহবান জানিয়েছেন বিএমইউজে নেতৃবৃন্দ।