জাফলংয়ে স্থানীয় প্রভাবশালী বিএনপি নেতৃবৃন্দের নামে কামরুল সিন্ডিকেটের চাঁদাবাজি  !

Uncategorized অনিয়ম-দুর্নীতি অপরাধ আইন ও আদালত গ্রাম বাংলার খবর জাতীয় বিশেষ প্রতিবেদন রাজনীতি সংগঠন সংবাদ সিলেট

নিজস্ব প্রতিবেদক :: সিলেটের গোয়াইনঘাট উপজেলার জাফলং এলাকায় চলছে অবৈধভাবে বালু-পাথর উত্তোলন। ফলে দৈনিক লাখ টাকা চাঁদাবাজি করছে কামরুল সিন্ডিকেট চক্র।


বিজ্ঞাপন

একের পর এক চাঁদাবাজ চক্রের মধ্যে পরিবর্তন আনা হচ্ছে।এ ধারাবাহিকতায় গোয়াইনঘাট থানা পুলিশ ও ইউএনও’ এর নাম ভাঙ্গিয়ে স্থানীয় প্রভাবশালী বিএনপি’র নেতৃবৃন্দের একান্ত পাহারায় কামরুল ও পরিবেশ অধিদপ্তরের বদরুল সিন্ডিকেটের নিয়ন্ত্রণে চলছে জাফলংয়ের চাঁদাবাজি!


বিজ্ঞাপন

স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, পূর্ব জাফলং ইউনিয়নের বাংলা বাজার, বালির হাওর, জাফলংয়ের জুমপার, ইসিএভুক্ত এলাকায় চলছে অবৈধভাবে বালু পাথর উত্তোলনের মহোৎসব। জাফলংয়ের ঐতিহাসিক ও প্রাকৃতিক সৌন্দর্য্যবেষ্টিত জাফলং জুমপার, স্থানীয়ভাবে পরিচিত ‘বরুনের জুং’ আজ ধ্বংসের দ্বারপ্রান্তে।


বিজ্ঞাপন

সরেজমিন ঘুরে দেখা গেছে, গ্রাম রক্ষা বাঁধের দুই পাশে বোমা মেশিন, শ্যালো মেশিন ও ফেলুডার (বালু তোলার পাইপ মেশিন) দিয়ে দিনে রাতে অবৈধভাবে চলছে বালু ও পাথর উত্তোলন। এর মধ্যে জাফলং জুমপাড় বরুনের জুং, পূর্ব জাফলং ইউনিয়নের বাংলা বাজার, বালির হাওর, জাফলং ডাউকী নদীর ইসিএভুক্ত এলাকাসহ আশেপাশে অবৈধভাবে শ্যালো মেশিন ও ফেলুডার দিয়ে বালু পাথর উত্তোলন করা হচ্ছে। এতে ধ্বংস হচ্ছে জাফলংয়ের পরিবেশ। এসকল এলাকায় প্রায় ৩০টিরও বেশি গর্ত রয়েছে।

এ সকল গর্তে বোমা মেশিন, শ্যালো মেশিন, এক্সেভেটর ও ফেলুডার ব্যবহার করা হচ্ছে। প্রতি বোমা মেশিন থেকে দৈনিক ১৫ হাজার, গর্ত থেকে ১০ হাজার, এক্সেভেটর থেকে ১৫ হাজার, শ্যালো মেশিন থেকে ২ হাজার ফেলুডার থেকে ২ হাজার এবং প্রতি নৌকায় লোড করা বালু থেকে তিন টাকা ফুটে হিসেবে টাকা আদায় করেন স্থানীয় থানা পুলিশের নামে লাইনম্যান ইস্টালিং, শাহ পরান, ৩নং পূর্ব জাফলং ইউনিয়ন ছাত্রদলের সভাপতি সোহেল, কামাল মেম্বার, জাহিদ,কামরুল ও পরিবেশ অধিদপ্তরের বদরুল।

স্থানীয়রা জানান, এসব কার্যক্রমের পেছনে রয়েছে কিছু রাজনৈতিক প্রভাবশালী মহল, যারা প্রশাসনের নাকের ডগায় এ ধরনের কর্মকাণ্ড চালিয়ে যাচ্ছে।ইস্টালিং, শাহ পরান, ৩নং পূর্ব জাফলং ইউনিয়ন ছাত্রদলের সভাপতি সোহেল, কামাল মেম্বার, জাহিদ,কামরুল তাদের বিরুদ্ধে পরিবেশবাদীরা বলছেন, এখনই শক্ত পদক্ষেপ না নিলে জাফলংয়ের প্রাকৃতিক ভারসাম্য পুরোপুরি ধ্বংস হয়ে যাবে।

এই চক্র গত আগস্টের পর থেকেই ইসিএভুক্ত এলাকা জাফলং,বাংলা বাজার, বালির হাওর, পিয়াইন ও ডাউকী নদীর উৎসমুখ হয়ে জাফলং সেতু পর্যন্ত অবৈধভাবে বালু-পাথর উত্তোলন করছে। এতে মাঝেমধ্যে স্থানীয় প্রশাসনের তরফ থেকে দায়সারা অভিযান পরিচালনা করা হলেও অভিযানের কয়েক ঘণ্টা পর সেই আগের রূপ ফিরে পায় জাফলং নদী।

স্থানীয়রা আরো জানায়, প্রশাসনের এমন দায়সারা অভিযান স্থানীয়দের মাঝে সন্দেহের সৃষ্টি করে। প্রতিদিন শত শত ট্রাক চলে যাচ্ছে বালু ও পাথর নিয়ে। নদী আর বাঁধের অস্তিত্ব নেই বললেই চলে বলেন নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক স্থানীয় বাসিন্দা। এই ট্রাক থেকে আরেকটি চক্র চাঁদাবাজি করে। সবমিলিয়ে চাঁদাবাজদের স্বর্গরাজ্য জাফলং।

পরিবেশবাদীদের দাবি, স্থানীয় প্রশাসন ও পরিবেশ অধিদপ্তরের দ্রুত হস্তক্ষেপ ছাড়া জাফলংয়ের অস্তিত্ব রক্ষা সম্ভব নয়। এ ব্যাপারে জানতে গোয়াইনঘাট থানা পুলিশের এস আই ওবায়দুল্লাহর মুঠোফোনে একাধিকবার কল দেওয়া হলে তিনি ফোন রিসিভ করে কথা বলেননি।

এদিকে গোয়াইনঘাট থানা অফিসার ইনচার্জ সরকার তোফায়েল এর সরকারি মুঠো ফোনে কল দিলে ফোন রিসিভ না করে কল কেটে দেন এতে বক্তব্য নেওয়া সম্ভব হয়নি।


Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *