মোঃ সাইফুর রশিদ চৌধুরী : গোপালগঞ্জে জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) ১৬ জুলাইয়ের ঘোষিত সমাবেশকে কেন্দ্র করে সহিংসতার ঘটনায় কাশিয়ানী থানায় ৮৭ জনের নামোল্লেখ করে নতুন একটি মামলা দায়ের হয়েছে।

এ নিয়ে সংঘর্ষ ও সহিংসতা-সংক্রান্ত মামলার সংখ্যা বেড়ে দাঁড়াল ১১টিতে। মোট আসামির সংখ্যা পৌঁছেছে ১০,১৮৩ জনে। শুক্রবার ২৫ জুলাই কাশিয়ানী থানার উপ-পরিদর্শক এসআই নাসির উদ্দিন বাদী হয়ে সন্ত্রাস দমন আইনে মামলাটি দায়ের করেন। এতে ৮৭ জন ছাড়াও অজ্ঞাতনামা আরও ২০০ থেকে ২৫০ জনকে আসামি করা হয়েছে।

কাশিয়ানী থানার অফিসার ইনচার্জ ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা কামাল হোসেন বিষয়টি নিশ্চিত করে বলেন, “এনসিপির সমাবেশে পরিকল্পিতভাবে বাধা সৃষ্টি, সড়ক অবরোধ, যান চলাচলে বিঘ্ন, সরকারবিরোধী কার্যক্রম এবং জনমনে আতঙ্ক সৃষ্টির অভিযোগে মামলাটি হয়েছে।

থানা সূত্রে জানা গেছে, ১৬ জুলাই কাশিয়ানী উপজেলার মাজড়া এলাকায় ঢাকা-খুলনা মহাসড়কে গাছ কেটে অবরোধ, দেশীয় অস্ত্র নিয়ে হামলা এবং যান চলাচলে প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টি করা হয়।

প্রত্যক্ষদর্শী ও স্থানীয় সূত্রের দাবি, এসব হামলার নেতৃত্বে ছিলেন স্থানীয় আওয়ামী লীগ, নিষিদ্ধ ঘোষিত ছাত্রলীগ এবং তাদের সহযোগী সংগঠনের নেতাকর্মীরা।
এনসিপির পক্ষ থেকে বলা হয়েছে, তাদের শান্তিপূর্ণ সমাবেশ বানচাল করতেই এই পূর্বপরিকল্পিত হামলা চালানো হয়েছে।
এনসিপির কেন্দ্রীয় কমিটি এক বিবৃতিতে হামলার তীব্র নিন্দা জানিয়ে দোষীদের দ্রুত গ্রেফতার ও দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি জানিয়েছে।
পুলিশ জানিয়েছে, ঘটনার ভিডিও ফুটেজ ও স্থিরচিত্র বিশ্লেষণ করে অভিযুক্তদের শনাক্ত করা হচ্ছে এবং গ্রেফতার অভিযান চলছে।
উল্লেখ্য, ১৬ জুলাই সংঘর্ষে ৫ জন নিহত হয় । ইতিপূর্বে গোপালগঞ্জ সদর, টুঙ্গিপাড়া, কোটালীপাড়া ও মুকসুদপুর থানায় সহিংসতার ঘটনায় দায়েরকৃত ১০টি মামলায় ৯,৮৪৬ জনকে আসামি করা হয়। এর মধ্যে পাঁচ শতাধিককে ইতোমধ্যে গ্রেফতার করা হয়েছে এবং অভিযান চলমান আছে মর্মে পুলিশ সূত্রে জানা যায়।