জামালপুরের  মাদারগঞ্জে সরকারী চাল কেনা বেচা করেন আওমীলীগের উপদেষ্টা মন্ডলীর সদস্য ও  ব্যবসায়ী শহিদ হাজী  

Uncategorized অনিয়ম-দুর্নীতি অপরাধ আইন ও আদালত গ্রাম বাংলার খবর জাতীয় বিশেষ প্রতিবেদন সংগঠন সংবাদ সারাদেশ

জামালপুরের  মাদারগঞ্জের  আওমীলীগের উপদেষ্টা মন্ডলীর সদস্য ও  ব্যবসায়ী শহিদ হাজী।


বিজ্ঞাপন

নিজস্ব প্রতিনিধি (জামালপুর) : জামালপুরের মাদারগঞ্জে উপজেলা আওমীলীগের উপদেষ্টা মন্ডলীর সদস্য ও  ব্যবসায়ী শহিদ হাজী মাদারগঞ্জের ৭ টি ইউনিয়নের  সরকারি খাদ্যবান্ধব কর্মসূচির চাল ক্রয় করে মজুদ করে আসছেন । এসব সরকারি চাল তিনি বিভিন্ন মিল মালিকদের কাছে বিক্রি করেন । দামি ও সরু চালের মধ্যে মেশানোর জন্য শহিদ হাজীর সিন্ডিকেটের সদস্যরা সক্রিয়। তবে ভিজিডি, ভিজিএফ সহ সরকারী প্রকল্পের চাল কেনা বেচার বিষয়টি নিয়ে স্থানীয় সচেতন মহল প্রশাসনের হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন।


বিজ্ঞাপন

জানা গেছে,  মাদারগঞ্জ শহরের ৫ নং ওয়ার্ডের বালিজুরী মেসাব পাড়া এলাকার শহিদ হাজী দীর্ঘদিন ধরে সরকারের ভিজিএফ, ভিজিডি সহ বিভিন্ন প্রণোদনার চাল ক্রয় বিক্রয় করেছেন উপজেলা আওয়ামীলীগের উপদেষ্টা মন্ডলীর সদস্য শহিদ হাজী।  তিনি বাংলাদেশ আওয়ামীলীগের সাংগঠনিক সম্পাদক আলহাজ্ব মির্জা আজম এমপির ফুফাত ভাই।  তার সাথে আত্মীয়তার সম্পর্ক থাকায় তিনি দীর্ঘদিন ধরে চাল সিন্ডিকেটের ব্যবসা করে কোটি কোটি টাকার মালিক বনে গেছেন।


বিজ্ঞাপন

২০২৪ সালের ৫ আগস্ট আওয়ামীলীগের নেতাকর্মীরা গা ডাকা দিলেও শহিদ হাজী বিভিন্ন বিএনপির নেতাকর্মীদের আত্মীয় পরিচয় দিয়ে আগের মতোই চাল কেনা বেচা করে আসছে।  সেই চালের বস্তা পরিবর্তন করে বিভিন্ন নুরজাহান নামক বস্তা সহ বিভিন্ন নামী দামী কোম্পানির বস্তায় সেই চাল ভরে জামালপুরে নামধারী কিছু সাংবাদিকদের বিকাশের মাধ্যমে ৪/৫ হাজার টাকা পাঠিয়ে তাদের নিরাপত্তায় মাদারগঞ্জ থেকে পার্শবর্তী উপজেলা সরিষাবাড়ী,  শেরপুর জেলা ও টাঙ্গাইল জেলার বিভিন্ন মিল মালিকদের কাছে পাঠাচ্ছে।

নাম প্রকাশ না করার শর্তে কয়েকজনে জানান,  শহিদ হাজী আওয়ামীলীগ সরকারের ক্ষমতা কালীন সময়ে ক্ষমতার অপব্যবহার করে অনেক অন্যায় অপকর্ম জড়িয়ে পড়েছে।  সরকারের উন্নয়ন প্রকল্পের চাল গুলো তিনি কেনা বেচা করেন।  বর্তমানেও ভিজিএফ, ভিজিডি,  ওএমএস সহ বিভিন্ন প্রকল্পের চাল কিনে আসছে।  এগুলা বন্ধের জন্য প্রশাসনের হস্তক্ষেপ কামনা করছি।  সেই সাথে চাল কালোবাজারীকে অতি দ্রুত গ্রেফতার করে আইনের আওতায় আনার জোর দাবী জানাই।

কথা হলে চাল ব্যবসায়ী শহিদ হাজী জানান, আমি কোন রাজনৈতিক দল করি না।  আত্মীয় বিএনপি ও আওয়ামীলীগ সবাই রয়েছে।  আপনারা যদি লেখালেখি করেন তাহলে লাভ কি?  চায়ের দাওয়াত রইল আসবেন। সবাই আসে।

এদিকে কথা হলে মাদারগঞ্জ থানার অফিসার ইনচার্জ মো: হাসান আল মামুন জানান, চাল সিন্ডিকেটের কোন সংবাদ পেলেই পুলিশ পাঠিয়ে তাৎক্ষনিক উপজেলা নির্বাহী অফিসার ও এসিল্যান্ড মহোদয়কে অবগত করা হয়। এ বিষয়ে কোন অভিযোগ এখনো পায়নি।  অভিযোগ পেলে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।

এ বিষয়ে মাদারগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী অফিসার নাদির শাহ এ প্রতিবেদক মাসুদুর রহমানকে বলেন, সরকারের বিভিন্ন উন্নয়ন মুলক বরাদ্দের চাল বিতরণ চলমান রয়েছে।  সুবিধাভোগীদের হাতে যেন প্রণোদনা গুলো যায়,এর কারণেই আমরা সর্বোচ্চ পরিশ্রম করে যাচ্ছি। আর চাল কালোবাজারীদের বিরুদ্ধে সব সময় মাদারগঞ্জ উপজেলা প্রশাসন কঠোর অবস্থানে রয়েছে।  সরকারী চাল কেনা বেচা হচ্ছে, এমন অভিযোগ পেলে ব্যবস্থা নেওয়া হবে৷


Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *