৩ টি অভিযোগের ভিত্তিতে দুদকের  এনফোর্সমেন্ট অভিযান পরিচালনা 

Uncategorized অনিয়ম-দুর্নীতি অপরাধ আইন ও আদালত গ্রাম বাংলার খবর জাতীয় প্রশাসনিক সংবাদ বিশেষ প্রতিবেদন সারাদেশ

নিজস্ব প্রতিবেদক  : করদাতা কোম্পানির আয়কর নথি গায়েব করে ১৪৬,৫৭,৪৬,৫৫৩/- (একশত ছেচল্লিশ কোটি সাতান্ন লক্ষ ছেচল্লিশ হাজার পাঁচশত তেপ্পান্ন টাকা) সরকারের রাজস্ব ক্ষতিসাধনের অভিযোগের প্রেক্ষিতে দুর্নীতি দমন কমিশন প্রধান কার্যালয়, ঢাকা হতে কর অঞ্চল-৫, সার্কেল-৯০ (কোম্পানী)-তে আজ একটি এনফোর্সমেন্ট অভিযান পরিচালিত হয়।


বিজ্ঞাপন

অভিযান পরিচালনা কালে  সংশ্লিষ্ট কর সার্কেলের রেকর্ডপত্র পর্যালোচনায় দেখা যায় যে ২০২২-২০২৩ করবর্ষের মাসিক কর নির্ধারণ রেজিস্ট্রার (রেজিস্ট্রার-০৪) এর পৃষ্ঠা নং ৩ এর ৪৪ ও ৪৫ নং ক্রমিকে টিআইএন নং- ৩৪************২০ ধারী প্রতিষ্ঠানের যথাক্রমে ২০২০-২০২১ ও ২০২১-২০২২ করবর্ষের মামলা দুটির বিপরীতে তৎকালীন উপকর কমিশনার কর্তৃক নিরুপিত আয়ের বিপরীতে করদাবির পরিমাণ যথাক্রমে ৭২,৯৬,০৬,৮৬২/- ও ৭৩,৬১,৩০,৯৯০/-, তথা মোট ১৪৬,৫৭,৪৬,৫৫৩/- টাকা নির্ধারণ করা হয়।


বিজ্ঞাপন

পরবর্তীতে উক্ত মামলা দুটি জাতীয় রাজস্ব বোর্ড কর্তৃক অডিটের জন্য নির্বাচিত হয় এবং তৎকালীন বদলী হয়ে আসা নতুন দায়িত্বপ্রাপ্ত কর্মকর্তা কর্তৃক নথিতে রক্ষিত করনির্ধারণী আদেশ মোতাবেক কর মামলা দুটিতে করদাবির পরিমাণ নির্ধারণ করা হয় যথাক্রমে ০ (শূন্য) টাকা ও ১,২৯৯ টাকা। তবে, অভিযান পরিচালনা কালে  ১৪৬,৫৭,৪৬,৫৫৩ টাকা কম কর নির্ধারণকারী কর্মকর্তার কর নির্ধারণী আদেশের সংশ্লিষ্ট মূল ফাইলগুলো খুঁজে পাওয়া যায়নি এবং তা উদ্দেশ্যমূলকভাবে গায়েব করা হয়েছে মর্মে টিমের নিকট প্রতীয়মান হয়। প্রাপ্ত ব্যাপক অনিয়মের এ তথ্যাবলির আলোকে কমিশনের পরবর্তী সিদ্ধান্তের নিমিত্ত পূর্ণাঙ্গ প্রতিবেদন দাখিল করা হবে।


বিজ্ঞাপন

জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের অসাধু কর্মকর্তার বিরুদ্ধে অভিযান : জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের অসাধু কর্মকর্তার বিরুদ্ধে ঘুসের বিনিময়ে বিভিন্ন ব্যক্তি ও প্রতিষ্ঠানের কর মওকুফ করে সরকারের রাজস্ব ক্ষতিসাধন এবং জ্ঞাত আয় বহির্ভূত সম্পদ অর্জন করার অভিযোগের প্রেক্ষিতে দুর্নীতি দমন কমিশন, প্রধান কার্যালয়, ঢাকা হতে এনফোর্সমেন্ট অভিযান পরিচালনা করা হয়।


বিজ্ঞাপন

অভিযান পরিচালনা কালে  অভিযোগের সত্যতা যাচাইয়ের লক্ষ্যে এনফোর্সমেন্ট টিম কর্তৃক সাব-রেজিস্ট্রারের অফিস, মোহাম্মদপুর-কে দলিল যাচাইয়ের নিমিত্ত অনুরোধ করা হয়। পরবর্তীতে ভূমি অফিস, মোহাম্মদপুর হতে সংশ্লিষ্ট রেকর্ডপত্র সংগ্রহ করা হয়। পরবর্তীতে অবৈধ সম্পদ অর্জন সংক্রান্ত অভিযোগ যাচাইয়ের নিমিত্ত সংশ্লিষ্ট এলাকা পরিদর্শন করে দুদক টিম।

অভিযানকালে সংগৃহীত রেকর্ডপত্র পূর্ণাঙ্গরূপে পর্যালোচনাপূর্বক এনফোর্সমেন্ট টিম কমিশন বরাবর বিস্তারিত প্রতিবেদন দাখিল করবে।

পটুয়াখালী জেলার মির্জাগঞ্জ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে অভিযান  :  চিকিৎসাসেবা প্রদানে হয়রানি ও অনিয়মের অভিযোগের প্রেক্ষিতে দুর্নীতি দমন কমিশন, সমন্বিত জেলা কার্যালয়, পটুয়াখালী হতে অপর একটি এনফোর্সমেন্ট অভিযান পরিচালিত হয়।

অভিযানকালে এনফোর্সমেন্ট টিম ছদ্মবেশে বর্ণিত স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে উপস্থিত হয়ে চিকিৎসকদের উপস্থিতি, পরিষ্কার-পরিচ্ছন্নতা, ওষুধ বিতরণ, চিকিৎসা কার্যক্রম এবং রোগীদের খাবারের মান সরেজমিনে পর্যবেক্ষণ করে। রোগীদের সঙ্গে কথা বলে অতিরিক্ত অর্থ আদায়সহ হয়রানির অভিযোগসমূহ যাচাই করা হয় এবং ওষুধ বিতরণ রেজিস্ট্রার ও স্টক রেজিস্ট্রার পর্যালোচনা করা হয়।

অভিযান পরিচালনা কালে  বেশ কয়েকটি ক্ষেত্রে অনিয়ম ও ব্যবস্থাপনার ঘাটতির প্রমাণ পাওয়া যায়। তৎপ্রেক্ষিতে চিকিৎসাসেবা, ওষুধ বিতরণ, পরিষ্কার-পরিচ্ছন্নতা এবং পরীক্ষার সকল সুবিধা কমপ্লেক্সে নিশ্চিতকরণে উপজেলা স্বাস্থ্য কর্মকর্তাকে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ গ্রহণের জন্য অনুরোধ জানানো হয়। অভিযানকালে প্রাপ্ত তথ্যাবলির আলোকে কমিশন বরাবর পূর্ণাঙ্গ প্রতিবেদন দাখিল করা হবে।


Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *