
অভয়নগর (যশোর) প্রতিনিধি : নানা দুর্নীতির দায় নিয়ে অবশেষে যশোরের অভয়নগর উপজেলার ইঞ্জিনিয়ার মোঃ নাজমুল হুদা ও প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তাকে গত ১৫ জুলাই বদলী করা হয়েছে। সাংবাদিক লাঞ্ছিত, সড়কের কাজে নানা অনিয়মের অভিযোগে তাকে খুলনার কয়রা উপজেলায় বদলী করা হয়।

অপরদিকে প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা মুশফিকুর রহমানকে চুয়াডাঙ্গায় শাস্তিমুলক বদলী করা হয়েছে। তার বিরুদ্ধে রয়েছে একাধিক অনিয়মের অভিযোগ। সে একাধারে অভয়নগর ও কেশবপুর উপজেলার দায়িত্ব পালন করেছেন। এছাড়া অভয়নগর উপজেলার শ্রীধরপুর ইউনিয়নের প্রশাসকের দায়িত্ব পালন করেন।

জানা যায়, যশোরের অভয়নগরে ডুমুরতলা টু বেতভিটা সড়কে নিম্নমানের খোয়া ব্যবহারের অভিযোগ আসে। বুধবার (১৯ মার্চ) দুপুরে অনিয়মের অভিযোগ ওঠা সেই সড়ক পরিদর্শন করেছেন যশোর জেলা নির্বাহী প্রকৌশলী অধিদপ্তরের সহকারী প্রকৌশলী মো. আবু ইউনুস। এসময় ডুমুরতলা টু বেতভিটা সড়কে নিম্নমানের খোয়া ব্যবহারের প্রমাণ পাওয়া যায়। বুধবার সকালে উপজেলা প্রকৌশলী নাজমুল হুদাকে সাথে নিয়ে তিনি পরিদর্শনে আসেন।

এদিকে মঙ্গলবার দুপুরে সড়ক নির্মানে অনিয়মের বিষয়ে বক্তব্য চাইলে এনটিভি অনলাইনের অভয়নগর-বাঘারপাড়া প্রতিনিধি তাওহীদ উসামার বুম ও পরিচয়পত্র কেড়ে নিয়ে লাঞ্চিত করেন, উপজেলা প্রকৌশলী নাজমুল হুদা। এ বিষয়ে সন্ধ্যায় এনটিভি অনলাইনে সংবাদ প্রকাশিত হয়। আর তাতেই নড়েচড়ে বসেন যশোর জেলা নির্বাহী প্রকৌশলী অধিদপ্তর। তবে শেষমেষ সাংবাদিককে লাঞ্চিত করার ঘটনায় দুঃখ প্রকাশ করেন দূর্নীতিগ্রস্থ কর্মকর্তা নাজমুল হুদা।

সড়কে নিম্নমানের ইট ব্যবহারের অভিযোগের সত্যতা শিকার করে জেলা সহকারী প্রকৌশলী আবু ইউনুস বলেন, সরেজমিনে এসে অভিযোগের সতত্যা পেয়েছি। ল্যাব টেস্টের জন্য আলামত সংগ্রহ করেছি, পরিক্ষা করে পরবর্তি ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
এব্যাপারে অভয়নগর উপজেলা নির্বাহী অফিসার পার্থ প্রতিম শীল ঘটনার সত্যতা স্বীকার করে জানান, পিআইও এখানে দীর্ঘদিন দায়িত্ব পালন করেছন তাছাড়া চুয়াডাঙ্গায় যিনি আছেন উনি এখানে আসবেন।