নিজস্ব প্রতিবেদক : বাংলাদেশ জাতীয় মানবাধিকার সমিতি গভীর উদ্বেগ ও তীব্র নিন্দা প্রকাশ করছে জাতীয়তাবাদী স্বেচ্ছাসেবক দলের সাবেক কেন্দ্রীয় নির্বাহী অর্থ সম্পাদক সৈয়দ রফিকুল ইসলামের বড় ছেলে, সৈয়দ তরিকুল ইসলাম রাব্বী (৩০)-এর উপর গত ১৭ জুলাই সংঘটিত বর্বরোচিত সন্ত্রাসী হামলার ঘটনায়।

ঘটনাটি ঘটে গত বৃহস্পতিবার ১৭ জুলাই, রাত ১০টার দিকে, যখন রাব্বী অফিস শেষে হেঁটে বাসায় ফিরছিলেন। উত্তরার সেক্টর ৪, রোড ১০ এর শেষ প্রান্তে পৌঁছালে ৮-১০ জন অজ্ঞাতনামা সন্ত্রাসী তার পথরোধ করে কিছু বুঝে ওঠার আগেই অতর্কিতে আক্রমণ শুরু করে। তারা তাকে এলোপাতাড়ি কিল-ঘুষি, লাথি ও মাথায় পাথর দিয়ে আঘাত করে এবং দুইজন তার গলা চেপে ধরারও চেষ্টা করে। একপর্যায়ে তিনি রেললাইনের পাশে লুটিয়ে পড়েন। পথচারীরা এগিয়ে এলে সন্ত্রাসীরা পালিয়ে যায়।

তাৎক্ষণিকভাবে তার পিতা ও এলাকার লোকজন তাকে উদ্ধার করে কুয়েত-বাংলাদেশ মৈত্রী সরকারি হাসপাতালে, উত্তরা-য় ভর্তি করেন। প্রায় ৪-৫ ঘণ্টা চিকিৎসা নেওয়ার পর বিষয়টি সংশ্লিষ্ট থানায় অভিযোগ আকারে দায়ের করা হয়।

উল্লেখ্য, এ ঘটনার পূর্বে তার বাবা সৈয়দ রফিকুল ইসলাম নিজেও রাজনৈতিক কর্মকাণ্ডে যুক্ত থাকার কারণে সিটি করপোরেশন নির্বাচনের সময় আওয়ামী শাসনামলের সন্ত্রাসী বাহিনীর নগ্ন হামলার শিকার হয়েছিলেন। বর্তমান হামলাটিও রাজনৈতিক প্রতিহিংসা ছাড়া আর কিছু নয়।

সৈয়দ রফিকুল ইসলাম ক্ষোভের সাথে বলেন, “আমার অপরাধ কী? শুধু কি বিএনপির রাজনীতির সঙ্গে জড়িত থাকা? আমি আর কতবার নিগৃহীত হবো? আমাদের কি এই রাষ্ট্রে নিরাপদে বাঁচার অধিকার নেই?”
বাংলাদেশ জাতীয় মানবাধিকার সমিতি এই বর্বরোচিত ঘটনার তীব্র প্রতিবাদ ও নিন্দা জানাচ্ছে। সংগঠনের পক্ষ থেকে জোর দাবি জানানো হচ্ছে।
দাবিসমুহ যথাক্রমে , বিলম্বে ঘটনার পুঙ্খানুপুঙ্খ তদন্ত করে জড়িত দুষ্কৃতকারীদের চিহ্নিত ও গ্রেফতার করতে হবে। দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি নিশ্চিত করে দেশের জনগণের মধ্যে নিরাপত্তার আস্থা ফিরিয়ে আনতে হবে। ভুক্তভোগী পরিবারকে প্রয়োজনীয় নিরাপত্তা, চিকিৎসা সহায়তা ও আইনি সহায়তা দিতে হবে।
বাংলাদেশ জাতীয় মানবাধিকার সমিতি আরও জানায়, যদি এ ঘটনায় যথাযথ বিচার ও শাস্তির ব্যবস্থা না হয়, তাহলে দেশব্যাপী মানববন্ধন ও প্রতিবাদ কর্মসূচির ঘোষণা দেওয়া হবে।