আখাউড়ায় সবজির দাম আকাশছোঁয়া

Uncategorized গ্রাম বাংলার খবর জাতীয় বানিজ্য বিশেষ প্রতিবেদন সারাদেশ

আখাউড়া (ব্রাহ্মণবাড়িয়া) প্রতিনিধি  :   বৃষ্টির অজুহাতে ব্রাহ্মণবাড়িয়ার আখাউড়ায় সর্বত্র হাট বাজারে সবজির দাম হু হু করে বাড়ছে। এ অবস্থার ফলে মধ্য ও  নিন্ম আয়ের লোকজনরা অনেকটাই বিপাকে পড়েছে। গত এক সপ্তাহের ব্যবধানে প্রায় প্রতিটি সবজির দাম কেজিতে ১৫-২০ টাকা পর্যন্ত বেড়েছে। একমাত্র পেঁপে আর আলু ছাড়া বেশিরভাগ  সবজি ৬০ টাকার কমে মিলছে না। বাজার ঘুরে সাধারণ ক্রেতাদের সাথে কথা বলে এ তথ্য পাওয়া গেছে।


বিজ্ঞাপন

এদিকে স্থানীয় বিক্রেতারা বলছেন টানা বৃষ্টির কারণে দেশের বিভিন্ন জায়গাতে সবজির অনেক ক্ষতি হয়েছে। তাই আগের মতো সবজি পাওয়া যাচ্ছে না। চাহিদানুযায়ী সরবরাহ কম থাকায় প্রতিটি সবজির দামই বেড়েছে। তবে এ অবস্থা বেশী দিন থাকবে না। আশা করছি সরবরাহ বৃদ্ধি পেলে দ্রুত দাম কমে আসবে।

সরেজমিনে পৌর শহরের সড়ক বাজার এলাকায় সবজি বাজার ঘুরে দেখা যায়, প্রতিকেজি শিম ১৯০-২০০- টমেটো ১৪০-১৫০, বেগুন ৮০-৯০, কাঁচা মরিচ ২৫০-২৬০,শসা ৬০-৬৫, করলা ৯০-১১০, পেপে ২৫-৩০ মুলা ৬০-৬৫, লাউ প্রতি পিচ ৯০-১২০ গাজর ১১০-১২০, চিচিঙ্গা ৬০-৬৫,কাকরোল ৮০-৯০, মুখি ৪০-৫০  বরবটি ৮০-৯০, আলু ২৫, মিষ্টি কুমড়া ৪০-৪৫ কেজি বিক্রি হচ্ছে। এছাড়া কাঁচ কলা প্রতি হালি ৩০-৩৫ টাকা বিক্রি হচ্ছে।


বিজ্ঞাপন

এদিকে বাজারে দিন দিন সবজির দাম বাড়তে থাকায় সব শ্রেণির মানুষের মধ্যে অনেকটাই অস্বস্তি বিরাজ করছে। ক্রেতা সবুজ মিয়া বলেন, কিছুদিন আগে সবজির দাম অনেক কম ছিল। ১০০ টাকায় দুই তিন ধরনের সবজি কেনা যেত। কিন্তু এখন তা আর কেনা যাচ্ছে না। এ অবস্থায় আমাদের মতো সীমিত আয়ের লোকদের সবজি খাওয়া খুবই কষ্টকর হয়ে উঠেছে।


বিজ্ঞাপন

রিকশা চালক মিলন মিয়া বলেন,পরিবারে স্ত্রী,২ ছেলে ১ মেয়েসহ ৫ জন সদস্য রয়েছে। ভাড়ায় রিকশা চালানো হয়। দৈনিক রিকশা চালিয়ে ভাড়ার টাকা দিয়ে ৩শ থেকে ৪ শ টাকার উপর আয় হয় না। নিত্য পণ্যের দাম বৃদ্ধি পাওয়ায় চলতে খুবই কষ্ট হচ্ছে। সীমিত আয়ের সংসার হওয়ায় সবজি ক্রয় করলে মাছ কেনা যায় না। আর মাছ ক্রয় করলে সবজি কেনা যায় না।   রিপন মিয়া বলেন, বেশ কিছু দিন ধরে বাজারে সবজির দাম বেশ চড়া।  ইচ্ছে করলে কোন কিছু কিনে খাওয়া যায় না।

পৌর শহরের কলেজ পাড়া এলাকার মো: ইয়াছিন মিয়া বলেন বাজারে প্রায় সব সবজির দাম ৬০ টাকার ওপরে। আমাদের মতো সাধারণ লোকজনের সবজি খাওয়ার দিন শেষ হয়ে গেছে। যে টাকা নিয়ে বাজার করতে এসেছি এখন দেখছি দু-তিন রকম সবজি কিনলেই টাকা শেষ হয়ে যায়।

অন্যান্য জিনিসতো আর কেনা যায় না। মোটকথা আমাদের মতো নিম্ন আয়ের মানুষ খুব কষ্টে আছে। ক্ষুদ্র ব্যবসায়ী সিরাজ মিয়া বলেন, আমাদের মতো গরিবদের জীবন ধারন খুবই কঠিন হয়ে পড়েছে।

কোন জিনিসের দাম কম নেই। দাম বৃদ্ধি পাওয়ায় মাছ মাংস তেমন কেনা হয় না। খাওয়া হতো একটু সবজি তাও এখন আমাদের পক্ষে কেনা সম্ভব না।

সবজি বিক্রেতা আজিজ মিয়া বলেন, অতিরিক্ত বৃষ্টির কারণে সবজি নষ্ট হয়ে বাজারে সরবরাহ তুলনামূলক অনেক কমে গেছে।

তাছাড়া যে সমস্ত সবজি পাওয়া যাচ্ছে তা ও আবার বেশী দামে ক্রয় করে বেশী দামে বিক্রি করতে হচ্ছে। এ অবস্থা বেশী দিন থাকবেনা সবজির সরবরাহ বৃদ্ধি পেলে দাম কমে আসবে।


Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *