বেনাপোলে সৃজনশিখার শুভ উদ্বোধন করলেন,উপজেলা নির্বাহী অফিসার কাজী নাজিব হাসান

Uncategorized খুলনা গ্রাম বাংলার খবর জাতীয় বিশেষ প্রতিবেদন সংগঠন সংবাদ সারাদেশ

শাহাবুদ্দিন আহামেদ (বেনাপোল)   :   বেনাপোল পৌরসভায় সৃজনশিখার জুলাই জাগরণ চিত্র অঙ্কন প্রতিযোগিতা অনুষ্ঠান টি শুভ উদ্বোধন করেন,শার্শা উপজেলা নির্বাহী অফিসার ডাঃ কাজী নাজিব হাসান।


বিজ্ঞাপন

শনিবার(২৩ আগষ্ট) সকাল ১১টার দিকে বেনাপোলের ঐতিহ্যবাহী পৌর বিয়েবাড়ী কমিউনিটি সেন্টারে উক্ত প্রতিযোগীতা অনুষ্ঠিত হয়। এতে সভাপতিত্ব করেন ‘সৃজনশিখা’র প্রতিষ্ঠাতা মোঃ নাজমুল হুসাইন জয়। অনুষ্ঠানটি উদ্বোধণ করেন- শার্শা উপজেলা নির্বাহী অফিসার ডাঃ কাজী নাজিব হাসান,

জুলাই-আগষ্ট/২০২৪ ছাত্র-জনতার গণঅভ্যুত্থানের চেতনায় এসো বাংলাদেশ গড়ি”। জুলাই জাগরণ স্মৃতি স্মরণে “এসো আলোকিত হই” সৃজনশিখা’র এমন প্রতিপাদ্যে বেনাপোলে অনুষ্ঠিত হল স্কুল-শিক্ষার্থীদের চিত্রাংকণ,কবিতা আবৃত্তি এবং উপস্থিত বক্তব্য উপস্থাপণ প্রতিযোগীতা-২০২৫। বেনাপোল পৌর এলাকায় অবস্থিত কিন্ডারগার্ডেন, প্রাথমিক ও মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা ছাড়াও পৌর এলাকার বাইরের শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের শিক্ষার্থীরাও এই প্রতিযোগীতায় অংশ নেন।


বিজ্ঞাপন

প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন-সৃজনশিখা উপদেষ্টা ও সামাজিক ব্যাক্তিত্ব আলহাজ্ব নুরুজ্জামান লিটন।


বিজ্ঞাপন

বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন, বেনাপোল পৌর বিএনপির সাংগঠনিক সম্পাদক আলহাজ্ব আক্তারুজ্জামান আক্তার, উপজেলা যুবদলের আহবায়ক মোস্তাফিজ্জোহা সেলিম।

আরও উপস্থিত ছিলেন, উপজেলা কৃষকদল এর সভাপতি আমিরুল ইসলাম, উপজেলা বিএনপির শ্রম বিষয়ক সম্পাদক ও বেনাপোল স্থলবন্দর হ্যান্ডেলিং শ্রমিক ইউনিয়ন ৯২৫ এর সাধারণ সম্পাদক মোঃ সহিদ আলী, বেনাপোল পৌর বিএনপির আহবায়ক মফিজুর রহমান বাবু,বেনাপোল বন্দর হ্যান্ডেলিং শ্রমিক ইউনিয়ন ৮৯১এর সভাপতি মাকসুদুর রহমান রিন্টু, পৌর স্বেচ্ছাসেবক দলের সদস্য সচিব ওমর ফারুক, পৌর ছাত্রদলের আহবায়ক আরিফুল ইসলাম আরিফ।

এছাড়াও এলাকার,লেখক,কবি,সাহিত্যিক, শিক্ষানুরাগী, সুশীলসমাজের  বিশেষ ব্যাক্তিবর্গ, স্থানীয় সাংবাদিকবৃন্দ সহ বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের শিক্ষক-শিক্ষিকাগণ উৎসব মূখর এ অনুষ্ঠানে অংশ নেন।

অনুষ্ঠান শুরুতে বেলুণ ও পায়রা উড়িয়ে প্রতিযোগী অনুষ্ঠানের শুভ উদ্বোধণ ঘোষনা করেন সংগঠনটির সভাপতি সহ উপস্থিত অতিথিবৃন্দ।

উদ্বোধক ডা. কাজী নাজিব হাসান বলেন,”জুলাই গণঅভ্যুত্থান আমাদের জাতির এক গুরুত্বপূর্ণ অধ্যায়। এই বিপ্লবে শহীদদের অবদান কখনো ভুলে যাওয়া যাবে না। ইতিহাসের এই গৌরবোজ্জ্বল অধ্যায়কে নতুন প্রজন্মের মাঝে ছড়িয়ে দিতে হবে। জুলাই যেন বিস্মৃত না হয়, সেজন্য সমাজের প্রতিটি মানুষকে সজাগ থাকতে হবে”।

প্রধান অতিথি মো.নুরুজ্জামান লিটন বলেন,”জুলাই গণ-অভ্যুত্থানের পর বদলে যাওয়া বাংলাদেশের ভবিষ্যৎ কাদের হাতে থাকবে, তা গুরুত্বপূর্ণ। এই সময়ের বর্ণনা লিখে রাখা যেমন জরুরি, তেমনি শাসনব্যবস্থার ওপর নজরদারিও প্রয়োজন। সেখানে ভরসার জায়গা আজকের তরুণেরা। তবে,বিনোদন শিক্ষার পাশাপাশি মনোযোগ দিয়ে লেখাপড়া শিখতে হবে,সন্ধ্যার পর কোন স্কুল শিক্ষার্থী যেন বাড়ীর বাইরে না যায় সেদিকে কঠোর নজরদারীতে রাখার আহবান জানান অবিভাবকদেরকে”।

প্রতিযোগিতায় পৃথক তিনটি গ্রুপ থেকে প্রথম, দ্বিতীয় ও তৃতীয় স্থান অর্জনকারী প্রতিযোগীদের হাতে পুরস্কার ও সনদপত্র তুলে দেওয়া হয়।

অনুষ্ঠানটি’র সার্বিক সহযোগীতা ও কৃতজ্ঞতা প্রকাশে যারা ছিলেন-হ্যান্ডলিং শ্রমিক ইউনিয়ন-৯২৫,হ্যান্ডলিং শ্রমিক ইউনিয়ন-৮৯১,তানজীর মহসিন সহ আরও অনেকে।

অনুষ্ঠানটি’র উপস্থাপনার দায়িত্বে ছিলেন-মোহসিন হোসেন হৃদয়(উপদেষ্টা,সৃজনশিখা)।


Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *