আখাউড়া (ব্রাহ্মণবাড়িয়া) প্রতিনিধি : সড়কে নেই পিচ, খোয়া, স্থানে স্থানে বড় বড় গর্ত , সামান্য বৃষ্টিতে জমে থাকে হাটু পানি। সড়কে কোথাও কোথাও কাদামাটিতে আটকে যাচ্ছে গাড়ি, যাত্রী পেছন থেকে ধাক্কা দিয়ে করছে পারাপার। বেহাল দশা থাকায় এক ঘণ্টার জায়গায় সময় লাগছে দেড় ঘণ্টার উপর।

জানা যায়, আখাউড়া-চান্দুরা সড়কটি খুবই গুরুত্বপূর্ণ একটি সড়ক। এটি আখাউড়াসহ বিজয়নগর উপজেলার দুই লাখের অধিক মানুষর সড়ক পথে যাতায়াতের প্রধান সড়ক। আখাউড়া-চন্দুরা সড়কটি প্রায় ২৭ কিলোমিটারের মধ্যে প্রায় ১৫ কিলোমিটার বেহালদশা পরিণত হয়ে আছে।
সরেজমিন গিয়ে দেখা যায়, বিজয়নগর উপজেলার সিঙ্গারবিল থেকে শুরু করে খিরাতলা, আটখোলা, পত্তন, শ্রীপুর, নোয়াগাঁও, চম্পকনগর, পেটুয়াজুরি ও সাটিরপাড়াসহ কমপক্ষে ২০টি পয়েন্টে স্থানে স্থানে পিচ, খোয়া,ইট উঠে স্থানে স্থানে বড় বড় গর্ত সৃষ্টি হয়ে আছে।

সামান্য বৃষ্টিতে পানি আটকে ছোট ডোবায় পরিণত হয়ে আছে। কোথাও কোথাও কাদামাটি জমে থাকায় আটকে যাচ্ছে গাড়ি। চালক এবং যাত্রী মিলে পেছন থেকে ধাক্কা দিয়ে গাড়ি পার করছেন। সড়কের বেহাল দশার কারণে অসুস্থ রোগীসহ সাধারণ পথচারীরা প্রতিনিয়ত ভোগান্তি নিয়ে যাতায়ত করছেন। তাছাড়া বেহাল এ সড়কে চলতে গিয়ে প্রায়ই দুর্ঘটনা ঘটছে। ভাঙাচোরা সড়ক হওয়ার কারণে যাত্রীদের গুনতে হচ্ছে অতিরিক্ত ভাড়াও।

এই সড়কটি স্থানীয় সরকার ও প্রকৌশল অধিদপ্তরের (এলজিইডি) অধীনে। সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ বলছে, সড়কটি মেরামতে প্রকল্প হাতে নেওয়া হয়েছে। তবে কাজ শুরু হতে প্রায় তিন মাসের মতো লাগতে পারে।
ক্ষোভ প্রকাশ করে বলেন, আখাউড়া-চান্দুরা সড়কটি বড় বড় গর্ত হয়ে খুবই বেহাল দশায় পরিণত হয়ে আছে। বেহাল দশার কারণে এই সড়কটি দিয়ে চলাচল করতে খুবই ভয় করে। এক ঘন্টার জায়গায় এখন দেড় ঘন্টার উপর বেশী সময় লাগছে। সেইসাথে যানবাহনের ভাড়াও অতিরিক্ত দিতে হচ্ছে।
মো: দেলোয়ার হোসেন বলেন, আখাউড়া- বিজয়নগর উপজেলার খুবই গুরুত্বপূর্ণ একটি সড়ক। প্রতিদিন এই সড়ক দিয়ে শতশত সিএনজি , ব্যাটারি চালিত অটোরিক্সা,ট্রাক, ট্রাক্টর, মইক্রো, প্রাইভেটকারসহ ছোট বড় নানা ধরনের যানবাহন চলাচল করছে।
বর্তমানে সড়কের বেশীভাগ অংশই গর্ত আর খানাখন্দে ভরা। যেন দেখার কেউ নেই। আমরা খুব কষ্ট করে ভোগান্তি নিয়ে এ সড়ক দিয়ে চলাচল করছি। তবে সব চাইবে বেশী কষ্ট করছে অসুস্থরা। দুর্ভোগ লাগবে দ্রুত সড়টি মেরামতের দাবি জানান।
পত্তন বাজারের ফল ব্যবসায়ী লিয়াকত বলেন, মালামাল আনতে প্রায় সময় মাধবপুর কিংবা ব্রাহ্মণবাড়িয়া যেতে হয়। কিন্তু রাস্তার উপর থেকে ইট সুরকি,বিটুমিন উঠে বেহাল দশায় পরিণত হয়ে আছে। এই রাস্তা দিয়ে চলাচল করতে এখন খুবই ভয় করে।
বিজয়নগর উপজেলা প্রকৌশলী (এলজিইডি) মুহাম্মদ আশিকুর রহমান ভূঁইয়া বলেন, সড়কটি মেরামতে একটি প্রকল্পের খসড়া তৈরি করা হয়েছে। সব প্রক্রিয়া শেষে সড়কের কাজ শুরু করতে আরো তিনমাস লাগতে পারে।