লায়ন আসলাম চৌধুরী ও ব্যারিস্টার শাকিলা। ফারজানা।

নিজস্ব প্রতিনিধি (চট্টগ্রাম) : চট্টগ্রাম উত্তর জেলা কমিটিতে আলোচনার শীর্ষে লায়ন আসলাম চৌধুরী ও ব্যারিস্টার শাকিলা ফারজানা।
অপেক্ষা প্রত্যাশায় সকল নেতাকর্মীরা। উত্তর উত্তর জেলা কমিটিতে দীর্ঘদিন ধরেই নানা গুঞ্জন, আলোচনা ও সমীকরণে উত্তপ্ত ছিল উত্তর জেলার রাজনৈতিক পরিমণ্ডল। তবে সাম্প্রতিক সময়ে আলোচনার কেন্দ্রবিন্দুতে চলে এসেছেন দুই বিশিষ্ট নেতা -লায়ন আসলাম চৌধুরী ও ব্যারিস্টার শাকিলা ফারজানা।

বিশ্লেষক ও স্থানীয় রাজনৈতিক নেতাদের মতে, এই দুই নেতার মধ্য থেকে যেকোনো একজনকে আগামী উত্তর জেলা কমিটির গুরুত্বপূর্ণ নেতৃত্বে আনা হতে পারে। তবে সবদিক বিবেচনায় লায়ন আসলাম চৌধুরীর সম্ভাবনাই বেশি বলে মনে করা হচ্ছে।

লায়ন আসলাম চৌধুরী: জনপ্রিয়তার শীর্ষে। লায়ন আসলাম চৌধুরী দীর্ঘদিন ধরে চট্টগ্রাম উত্তর জেলায় দলের কার্যক্রমে সক্রিয় রয়েছেন। তৃণমূল পর্যায় থেকে শুরু করে কেন্দ্রীয় নেতৃবৃন্দের সঙ্গেও রয়েছে তাঁর সুসম্পর্ক। সংগঠনের প্রতি তাঁর নিষ্ঠা, নিরবচ্ছিন্ন উপস্থিতি ও কার্যকর নেতৃত্বের জন্য সাধারণ নেতাকর্মীদের আস্থা অর্জন করতে পেরেছেন তিনি।
তৃণমূলে ব্যাপক জনসংযোগ ও জনপ্রিয়তা এখন তার সবচেয়ে বড় শক্তি। বিশেষ করে তরুণ কর্মীদের মধ্যে তার গ্রহণযোগ্যতা অনেক বেশি। স্থানীয় বিভিন্ন রাজনৈতিক ও সামাজিক ইস্যুতে তাঁর সক্রিয় ভূমিকা এবং দায়িত্বশীল অবস্থান তাঁকে নিয়ে গেছে আলোচনার কেন্দ্রে।
ব্যারিস্টার শাকিলা ফারজানা: মেধা ও প্রজ্ঞার প্রতীক
অন্যদিকে ব্যারিস্টার শাকিলা ফারজানাও একজন শিক্ষিত, মেধাবী ও দক্ষ সংগঠক হিসেবে পরিচিত। তাঁর আইনজীবী পরিচয়ের পাশাপাশি রাজনৈতিক দূরদর্শিতাও তাঁকে সম্ভাব্য নেতৃত্বে আনার ক্ষেত্রে আলোচনায় রেখেছে। নারী নেতৃত্ব প্রসারে দলীয়ভাবে তাঁর গুরুত্বও অস্বীকার করার উপায় নেই।
তবে মাঠ পর্যায়ের উপস্থিতির তুলনায় তাঁর কার্যক্রম তুলনামূলকভাবে কিছুটা সীমিত—এই বিষয়টি তাঁকে কিছুটা পিছিয়ে রাখছে বলেই মত রাজনৈতিক পর্যবেক্ষকদের একাংশের।
চূড়ান্ত সিদ্ধান্তের অপেক্ষায় নেতাকর্মীরা। দলের কেন্দ্র থেকে এখনো কোনো আনুষ্ঠানিক ঘোষণা না এলেও, সংশ্লিষ্ট সূত্রগুলো বলছে, খুব দ্রুতই উত্তর জেলা কমিটির নাম ঘোষণা করা হতে পারে। আর সব দিক বিবেচনায় লায়ন আসলাম চৌধুরীর নামই বর্তমানে সবচেয়ে বেশি আলোচিত ও গ্রহণযোগ্য।
নতুন কমিটিতে যারা আসবেন, তাদের নেতৃত্বে চট্টগ্রাম উত্তর জেলার রাজনৈতিক কাঠামো আরও শক্তিশালী হবে এমনটাই প্রত্যাশা করছেন সাধারণ নেতাকর্মীরা।