বিশেষ প্রতিবেদন : ময়লা বাণিজ্যের কথা জনপরিসরে ব্যারিস্টার ফুয়াদের আগে হয়তো কেউ বলেনি। বললেও আমার জানা নেই। তিনি ময়লার সাথে সাথে ডিশের লাইনের কথাও বলেছেন। এই খাতগুলো হচ্ছে রাজনৈতিক দলগুলোর তৃণমূলে কামকামড়ির অন্যতম একটা কারণ। আশাকরি বাকিগুলোও ধীরে ধীরে সামনে আসবে।

চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশনের ময়লা বাণিজ্য নিয়ে একটা রিপোর্ট করেছে। সেখানে দেখা যাচ্ছে চসিকের বিএনপির মেয়র শাহাদাত হোসেন সিটি কর্পোরেশনের ৪১৮ কোটি টাকার বাণিজ্য বিএনপির অর্থাৎ তার নিজ দলের লোকদের হাতে তুলে দিয়েছেন। এতে করে নগরবাসীর এখন ডাবল টাকা গুনতে হচ্ছে।
অথচ বর্জ্য অপসারণের এই কাজ পাওয়া বিএনপির প্রতিষ্ঠানগুলোর কারও না আছে অভিজ্ঞতা, না আছে সরঞ্জাম। কিন্তু যদি তাদের অভিজ্ঞতা থাকতো তাহলে কি এটা বৈধ হয়ে যেত? এর উত্তর হচ্ছে না।

কারণ বর্জ্য সংগ্রহের কাজ শুধুমাত্র সিটি কর্পোরেশনের। এই দায়িত্ব বেসরকারি প্রতিষ্ঠানের হাতে তুলে দেওয়া আইনিবিরুদ্ধ। আইনকে বৃদ্ধাঙ্গুলি দেখিয়ে একটা লোকদেখানো দরপত্র আহবান করে মেয়র সাহেব দলীয়করণ এবং স্বেচ্ছাচারিতা চালাচ্ছেন। এক ময়লা নিয়েই নগরবাসীর পকেট দুইবার কাটা হচ্ছে যেন বিএনপির নেতাকর্মীরা ওনেক ভাত খেতে পারে।
