নিজস্ব প্রতিবেদক : ফ্যাসিস্ট আওয়ামী দোসর ও সাবেক মন্ত্রী দীপু মনির ঘনিষ্ঠ সহচর কানাডিয়ান ট্রিলিনিয়াম স্কুলের এমডি মাহমুদুর রহমানের আয়কর- ভ্যাট ফাঁকি, সরকারের অনুমোদন ছাড়া অবৈধভাবে বিদেশি শিক্ষক নিয়োগ,শিক্ষা বোর্ডের অনুমোদন ছাড়া ক্যাম্পাস পরিচালনাসহ সকল কেলেংকারি ছাপিয়ে এখন নারী কেলেঙ্কারি সামনে এসেছে।

সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা গেছে, গুলশানস্থ কানাডিয়ান ট্রিলিনিয়াম স্কুলের এমডির বিরুদ্ধে নারী শিক্ষক ও কর্মকর্তাদের যৌন হয়রানির অভিযোগ অনেক আগে থেকেই স্কুল ক্যাম্পাসে চাউর ছিল। স্কুলের ভাইস প্রিন্সিপাল পাকিস্তানী নাগরিক আয়েশার সাথে মাহমুদুর রহমানের অনৈতিক সম্পর্ক ছিল অনেকটা ওপেন সিক্রেট। এই ভাইস প্রিন্সিপাল আয়েশা দীর্ঘদিন সরকারি ওয়ার্ক পারমিট ছাড়া অবৈধভাবে কর্মরত ছিলেন।
মাহমুদুর রহমানের যৌন হয়রানির বিরুদ্ধে কেউ মুখ খোলার সাহস পেতেন না। সাবেক মন্ত্রী দীপু মনিসহ আওয়ামী লীগের নেতাদের সাথে সখ্যতা থাকার কারণে নির্যাতিতরা মুখ খোলার সাহস পেতেন না।

কিন্তু সম্প্রতি একজন নারী শিক্ষক সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে মাহমুদুর রহমানের যৌন হয়রানির বিষয়ে একটি পোস্ট করলে ব্যাপক চাঞ্চল্যের সৃষ্টি হয়।

ইংলিশ মিডিয়াম স্কুল এসোসিয়েশন অফ বাংলাদেশ নামের একটি ফেসবুক গ্রুপে ঐ নারী শিক্ষক দীর্ঘ পোস্টে , কৌশলে স্কুলের এইচ আর ম্যানেজার শুভ্রা কিভাবে মাহমুদুর রহমানের বাসায় নিয়ে যায় এবং শুভ্রা তাকে একা বাসায় রেখে আসলে , মাহমুদুর রহমান কিভাবে যৌন হয়রানি করেন তার নাতি দীর্ঘ বিবরণ তুলে ধরেন। কিন্তু ফ্যাসিস্ট আওয়ামী দোসর মাহমুদুর রহমান বড় অংকের অর্থের বিনিময়ে এ্যাডমিন কে ম্যানেজ করে পোস্টটি ডিলিট করিয়ে দেয়। এমনকি মাহমুদুর রহমানের কালো টাকার জোরে ঐ ফেসবুক গ্রুপে এখন আর তার বিরুদ্ধে দেয়া পোস্ট অনুমোদন করেনা।
উল্লেখ্য, এইচ আর ম্যানেজার শুভ্রা হচ্ছেন আওয়ামী লীগের দোসর ও দেশ টিভির কারাবন্দী এমডি আরিফ এর বান্ধবী।নাম প্রকাশ না করার একান্ত শর্তে কানাডিয়ান ট্রিলিনিয়াম স্কুলের বর্তমান ও সাবেক একাধিক কর্মকর্তা ও শিক্ষক এই প্রতিবেদক কে বলেন, মাহমুদুর রহমানের যৌন হয়রানির বিষয় নতুন কিছু নয়। তার অত্যাচারে ভালো পরিবারের মেয়েদের কাজ করা কঠিন। তার আবদারে সায় দিলে পদোন্নতি ও বেতন বৃদ্ধি হয়। সায় না দিলে চাকরিচ্যুত বা নানা ভাবে মানসিক নির্যাতনের শিকার হতে হয়।
ভাইস প্রিন্সিপাল পাকিস্তানী আয়েশা ও ফ্যাসিস্ট দোসর আরিফের বান্ধবী শুভ্রার সাথে মাহমুদুর রহমানের অনৈতিক সম্পর্ক ওপেন সিক্রেট ছিল। এখন আয়েশা ও শুভ্রা দালালের ভূমিকায় অবতীর্ণ হয়েছে। তারা এখন মাহমুদুর রহমানের জন্য মেয়ে ম্যানেজ করার মিশনে নেমেছে। যা আমাদের সহকর্মীর সাহসী ফেসবুক পোস্টে স্পষ্ট ভাবে ফুটে উঠেছে।