ভোলা প্রতিনিধি : দুই মাস বন্ধ থাকার পর নদীতে আজ থেকে আবারো শুরু হয়েছে মাছ ধরা। কিন্তু প্রয়োজনীয় সরঞ্জামের অভাবে মাছ ধরা নিয়ে নতুন সংকটে পড়েছেন ভোলার জেলেরা।
করোনার কারণে অনির্দিষ্টকালের জন্য হাট বাজার বন্ধ থাকায় জাল, ইঞ্জিনসহ প্রয়োজনীয় মৎস্য সরঞ্জাম পাওয়া যাচ্ছে না। এ অবস্থায় কিছু জেলে নদীতে নামলেও সংকট সমাধানের উপায় না পেয়ে হতাশ অনেকে। অবশ্য এ সমস্যা সমাধানে দ্রুত কার্যকরী ব্যবস্থা নেয়ার কথা জানিয়েছে মৎস্য বিভাগ।
জাটকা সংরক্ষণে গত পহেলা মার্চ মেঘনা ও তেঁতুলিয়া নদীর ১৯০ কিলোমিটার অভায়াশ্রমে মাছ ধরার উপর নিষেধাজ্ঞা শেষ হয়েছে ৩০ এপ্রিল। দীর্ঘদিনের অলস সময় কাটানোর পর আবার নতুন উদ্যোমে মাছ শিকারে নেমেছেন জেলেরা।
তবে সদর উপজেলার ইলিশা, রাজাপুর, তুলাতুলি, ও শিবপুর মাছঘাটের ২শতাধিক জেলের অভিযোগ, লকডাউনে দোকান পাট বন্ধ থাকায় জালসহ প্রয়োজনীয় সরঞ্জামাদি কিনতে পারছেন না। ফলে প্রস্তুতি থাকা সত্বেও নদীতে নামতে পারছেন না অনেকে।
এদিকে করোনার প্রভাবে এবারের অভিযান ছিল অনেকটা ঢিলেঢালা। তারপরও নিষেধাজ্ঞা শেষে জীবনের তাগিদে নদীতে ছুটছে অনেক নৌকা- ট্রলার। এ অবস্থায় চলমান সংকট কাটাতে সহযোগিতার দাবি জানিয়েছে মৎসজীবী সমিতি।
ক্ষুদ্র মৎস্যজীবী সমিতি সভাপতি মো. এরশাদ ফরাজি বলেন, জেলেরা এখন নৌকা, জাল সব টৈরি করতে পারেনি। তাদের যে চাল দেয়া হচ্ছে তার সঙ্গে যদি আরো কিছু দেয়া হত তাহলে ভালো হত।
আর মাছ শিকারে জেলেদের প্রয়োজনীয় সরঞ্জামাদি সহজলভ্য করার দাবি বিশেষজ্ঞের।
ওয়াল্ডফিস বাংলাদেশ ইকোফিস প্রকল্প গবেষণা সহযোগী অংকুর ইমতিয়াজ বলেন, জেলেরা যদি মাছ ধরতে পারে, তাদের জন্য তখন ত্রাণ সীমিত করা হলেও কোন সমস্যা নেই।
মৎস্য কর্মকর্তা জানান, জেলেদের সরঞ্জাম সরবরাহ সহজ করতে কার্যকরী ব্যবস্থা নেয়া হচ্ছে।
জেলা মৎস্য কর্মকর্তা এস. এম. আজহারুল ইসলাম বলেন, জেলা প্রশাসন ও উপজেলা প্রশাসনের সঙ্গে আলোচনা করে সব কিছু ঠিক করার চেষ্টা চালাচ্ছি।
এ বছর জেলায় ইলিশ উৎপাদনের লক্ষ্যমাত্রা ১ লাখ ৬০ হাজার মেট্রিক টন। গত ১০ মাসে আহরিত ইলিশের পরিমাণ ১ লাখ ৫৫ হাজার মেট্রিক টন।