নিজস্ব প্রতিবেদক: দেশের স্থিতিশীলতা নষ্টে বিএনপি-জামায়াত উস্কানি দিচ্ছে বলে মন্তব্য করেছেন সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের।
সোমবার সচিবালয়ে সড়ক পরিবহন ও সেতু মন্ত্রণালয়ের সম্মেলন কক্ষে সমসাময়িক ইস্যুতে সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে তিনি এ মন্তব্য করেন।
আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক বলেন, ‘দেশের স্থিতিশীলতা নষ্ট করতে উস্কানি দিচ্ছে বিএনপি-জামায়াত। বিএনপি মুখে মুখে গণতন্ত্র নষ্ট হয়ে যাচ্ছে বলে অভিযোগ করে, সরকার নাকি দেশের স্থিতিশীলতা নষ্ট করতে চায়। দেশে স্থিতিশীলতা না থাকলে ক্ষতি তো আমাদের। আমরা কেন স্থিতিশীলতা নষ্ট করতে যাব।’
তিনি বলেন, ‘বিএনপি দেশের স্থিতিশীলতা যাতে নষ্ট হয় সে ব্যাপারে উস্কানি দিচ্ছে। তারা তো ভর করে বিভিন্ন আন্দোলনের ওপর। তারা কোটা আন্দোলন, নিরাপদ সড়ক আন্দোলনের ওপর ভর করে। এখন তারা আর কিছু না পেয়ে হেফাজতের ইস্যুতে ভর করছে কি না সেটা খতিয়ে দেখার বিষয়। কারণ নিজেদের কিছু করার সামর্থ্য তাদের নেই। এ যাবত সেটা প্রমাণিত।’
বঙ্গবন্ধুর ভাস্কর্য ভাঙার পেছনে বিএনপি-জামায়াতের উস্কানি আছে কি না জানতে চাইলে তিনি বলেন, ‘বিএনপি জামায়াতের উস্কানি আছে কি না সেটি আমরা খতিয়ে দেখছি।’
বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেছেন কুষ্টিয়ায় বঙ্গবন্ধুর ভাস্কর্য ভাঙার ঘটনাটি সরকার নিজেই ঘটিয়েছে এমন প্রশ্নের জবাবে কাদের বলেন, ‘আমি যদি বলি, ঘটনাটি বিএনপিই ঘটিয়েছে। বিএনপি এখানে উস্কানিতে আছে কি না আমরা দেখছি। তারা তো কোনো আন্দোলন নিজেরা করতে পারে না। তাদের নেত্রীর জন্য দেখার মতো বিশেষ কোনো একটি বিক্ষোভ মিছিল আজ পর্যন্ত করতে পারেনি তারা।’
তিনি বলেন, ‘প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা মহানুভবতা দেখিয়ে শারীরিক বা মানবিক কারণে বেগম জিয়াকে প্রথমে ছয় মাস, পরে আরও ছয় মাস তার সাজা স্থগিত করে তাকে মুক্তি দিয়েছেন। এগুলো শেখ হাসিনার মানবিকতার বিষয়। এখানে বিএনপি আন্দোলন করে চাপ দিয়ে সরকারকে বাধ্য করেছে এ কথা মির্জা ফখরুলের বলার কোনো সুযোগ নেই। তারা এই যে বড় বড় কথা বলে, পৃথিবীর বিভিন্ন দেশে বিক্ষোভ হয়। আজ পর্যন্ত বিএনপি এক হাজার লোক দিয়ে নিজেদের নেতার জন্য একটা বিক্ষোভ মিছিল করতে পারেনি। এটা তাদের অক্ষমতা, দুর্বলতা।’
সেতুমন্ত্রী বলেন, ‘গণতন্ত্র এভাবে আসে না। গণতন্ত্রের নানা দিক আছে। গণতন্ত্র শৃঙ্খলমুক্ত, কিন্তু গণতন্ত্রকে প্রাতিষ্ঠানিক রূপ দেয়াটা এখন খুবই গুরুত্বপূর্ণ। গণতন্ত্রে বিরোধীদল অপরিহার্য। কিন্তু মির্জা ফখরুল সাহেব নির্বাচন করে নির্বাচিত হয়ে পদত্যাগ করলেন। অথচ তাদের দলের আর একজনকে মনোনয়ন দিলেন সেখানে। এটা কেমন গণতন্ত্র? এর মাধ্যমে নিজেদের ভিতরে দ্বিচারিতার দৃষ্টান্ত স্থাপন করলেন। আজকে মির্জা ফখরুল যদি সংসদে থাকতেন তাহলে বিরোধী দলের কণ্ঠস্বর আরও উঁচু ও জোরালো হতো। তিনি পার্লামেন্টে গেলে আরও অনেক ভূমিকা রাখতে পারতেন।