নিজস্ব প্রতিবেদক : ঢাকার চারপাশের নদী দখলমুক্তের অভিযানের মধ্যেই তীর রক্ষায় সীমানা পিলার বসানো নিয়েই প্রশ্ন উঠেছে। সদরঘাট এলাকার শ্যামবাজারে নদীর ২০ ফুট জায়গা না ছেড়েই স্থায়ী সীমানা পিলার বসানোর এমন অভিযোগ উঠেছে বিআইডব্লিউটিএর সার্ভেয়ারদের বিরুদ্ধে। এদিকে উচ্ছেদ অভিযানের মধ্যেই ফের নদী দখল করে ইট ভাটা ও নদী ভরাটের প্রমাণ মিলেছে তুরাগের সাভার অংশে। বিআইডব্লিউটিএর চেয়ারম্যান বলছেন, সীমানা পিলার নিয়ে কোন অনিয়ম হলে কাউকেই ছাড় দেয়া হবে না।
সদরঘাটের পাশেই শ্যামবাজারের ফরাসগঞ্জে উচ্ছেদ অভিযানের আগেই এখানে স্থায়ী সীমানা পিলার বসানো হয়। কিন্তু উচ্ছেদ অভিযানে এসে আরো ২০ থেকে ২৫ ফুট ভিতরে গিয়ে নতুন করে ওই জায়গা পর্যন্ত সীমানা পুনঃচিহ্নিত করা হয়।
নতুন দাগে, গত ১৫ ফেব্রুয়ারি ওই ভবনে উচ্ছেদ চালায় বিআইডব্লিউটিএর ঢাকা বন্দর কর্তৃপক্ষ। গুঁড়িয়ে দেওয়া হয় স্থায়ী সীমানা পিলার থেকে আরো প্রায় ২০ ফুট বাইরের অংশও। উচ্ছেদের নেতৃত্বে থাকা কর্মকর্তা সেদিন জানান, সার্ভেয়ার ও ঠিকাদাররা নদী থেকে ৫৬ ফুটের পরিবর্তে ভুল করে ২০ ফুট কম দূরত্বে পিলার বসিয়েছে।
বিআইডব্লিউটিএ যুগ্ম পরিচালক গুলজার আলী বলেন, এখানে সামান্য ভুল হয়েছে। আমরা নকশা অনুযায়ী উচ্ছেদ অভিযান পরিচালনা করছি।
সীমানা নির্ধারণ ও পিলার বসানো প্রকল্পের নির্বাহী প্রকৌশলী মতিউল ইসলাম অবশ্য ভুল স্বীকার করতে নারাজ। কিছুটা অবাক করে তিনি দাবি করে বলেন, লোকালয়ের পিলারটি সঠিক জায়গাতেই রয়েছে। বরং নদীর জায়গা আরও কমবে।
সার্ভেয়ার আর ঢাকা বন্দর কর্তৃপক্ষের রশি টানাটানিতে ক্ষতিগ্রস্তরা ক্ষোভ জানালেন।
তারা জানান, পিলার দিয়েছে এক জায়গায়। ভাঙছে অন্য জায়গা। আমাদেরকে শেষ করে দিচ্ছে।
শ্যামবাজারে যখন এ দুরবস্থা তখন রাজধানীর বসিলা ও ঢাকা উদ্যানের অপর পাশ সাভার অংশে গিয়ে দেখা যায় স্থায়ী সীমানা পিলারের মধ্যে নদী দখল করে চলছে ইট ভাটার ব্যবসা। পাশেই আবার নতুন করে চলছে বালু ভরাটের কাজও। অনিয়মের চিত্র সংস্থাটির চেয়ারম্যানের নজরে আনলে তিনি ব্যবস্থা নেয়ার আশ্বাস দেন।
বিআইডব্লিউটিএর চেয়ারম্যান জানান, ম্যাপ নিয়ে যাচাই-বাচাই করে পিলারগুলো বসানো হয়েছে। এর মধ্যে যদি কোন ভুল হয়ে থাকে তাহলে তদন্ত করে ব্যবস্থা নেয়া হবে।
২০২২ এর জুনের মধ্যে ঢাকার চারপাশের নদী তীরে স্থায়ী সীমানা পিলার বসানোর কাজ শেষ হবার কথা।