নিজস্ব প্রতিনিধি : বাণিজ্য মন্ত্রণালয়াধীন জাতীয় ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তর কর্তৃক ঢাকা মহানগরসহ সারাদেশে এ অভিযান পরিচালিত হয়।
বাণিজ্যমন্ত্রী টিপু মুনশি এমপি এর সার্বিক নির্দেশনায় ও বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের সম্মানিত সচিব ড. মোঃ জাফর উদ্দীন এর পরামর্শ এবং জাতীয় ভোক্তা-অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তরের মহাপরিচালক কর্তৃক প্রদত্ত ক্ষমতাবলে ঢাকা মহানগরীর ভাটারা থানার বিভিন্ন বাজারে অভিযান পরিচালনা করেন প্রধান কার্যালয়ের উপপরিচালক বিকাশ চন্দ্র দাস, ঢাকা জেলা কার্যালয়ের সহকারী পরিচালক মোঃ আব্দুল জব্বার মন্ডল, প্রধান কার্যালয়ের সহকারী পরিচালক রজবী নাহার রজনী।
এছাড়াও ঢাকার বাইরে বিভাগীয় কার্যালয়ের উপপরিচালক ও জেলা কার্যালয়ের সহকারী পরিচালকের নেতৃত্বে বিভিন্ন বাজারে তদারকি ও সচেতনতামূলক কার্যক্রম পরিচালনা করে।
তদারকিকালে ভোজ্যতেল, চালসহ অন্যান্য নিত্য প্রয়োজনীয় পণ্য যৌক্তিক মূল্যে বিক্রয় হচ্ছে কিনা তা মনিটরিং করা হয়। এছাড়া পণ্যের মূল্য তালিকা প্রদর্শন না করা, মূল্য তালিকার সাথে বিক্রয় রশিদের গরমিল, পণ্যের ক্রয় রসিদ সংরক্ষণ না করা, অনিবন্ধিত ঔষধ, মেয়াদ উত্তীর্ণ ঔষধ ও পণ্য, নকল পণ্য, ওজনে কারচুপি ও ইট পরিমাপে কারচুপিসহ ভোক্তাস্বার্থ বিরোধী বিভিন্ন অপরাধে সারাদেশ ১০৬ টি প্রতিষ্ঠানকে ৮,১১,৫০০/- টাকা জরিমানা আরোপ ও আদায় করা হয়।
তদারকিকালে ভোজ্যতেল, চাল ,আলু ও পেঁয়াজের মূল্য নিয়ে কারসাজি না করা এবং বাধ্যতামূলকভাবে পণ্যের ক্রয় রসিদ ও মূল্যতালিকা প্রদর্শনের বিষয়ে ব্যবসায়ীদের সচেতন ও সতর্ক করা হয়।
এ প্রসঙ্গে অধিদপ্তরের মহাপরিচালক বাবলু কুমার সাহা বলেন, নিয়মতান্ত্রিক ও নৈতিকতার সাথে ব্যবসা পরিচালনাকারী সকল ব্যবসায়ীকে এ অধিদপ্তর সবসময় সাধুবাদ জানায়। ভোক্তা ও ব্যবসাবান্ধব একটি সুশৃঙ্খল বাজারব্যবস্থা গড়ে তোলার জন্য ব্যবসায়ীগণের প্রতি উদাত্ত আহবান জানান তিনি।
এছাড়াও মাস্ক পরার প্রতি গুরুত্ব আরোপ করে সংশ্লিষ্ট সকলকে মাস্ক পরিধান ও স্বাস্থ্যবিধি মেনে পণ্য ক্রয়- বিক্রয়ের অনুরোধ জানান তিনি।
মঙ্গলবার মন্ত্রণালয়ের সার্বিক তত্ত্বাবধানে এবং জাতীয় ভোক্তা-অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তরের মহাপরিচালক মহোদয়ের অর্পিত ক্ষমতাবলে মুন্সীগঞ্জ জেলা কার্যালয়ের সহকারী পরিচালক এর নেতৃত্বে সিরাজদিখান এর ইছাপুরা বাজার এলাকায় অভিযান পরিচালনা করা হয়।
একটি রেস্টুরেন্টে অভিযান পরিচালনা করা হয়। রেস্টুরেন্টের রান্না ঘরে দেখা যায়, নোংরা অস্বাস্থ্যকর পরিবেশে খাদ্য তৈরি করা হচ্ছে। গ্রীল মুরগী কে আকর্ষণীয় করার জন্য টেক্সটাইল কালার ব্যবহার করা হচ্ছে। খাবারে টক স্বাদ আনার জন্য সাইট্রিক এসিড ব্যবহার করতে দেখা যায়। এছাড়া খাদ্য পন্যের মূল্য তালিকা প্রদর্শন করা হচ্ছে না। ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ আইন, ২০০৯ অনুযায়ী প্রতিষ্ঠানটিকে ১০০০০/- জরিমানা করা হয়।
অভিযানে সহায়তা করেন সিরাজদিখান থানা পুলিশের একটি টিম ও উপজেলা স্যানিটারি ইন্সপেক্টর।
জনস্বার্থে অভিযান অব্যাহত থাকবে।