বসবাসের অযোগ্য পুরান ঢাকা কবে পুনর্গঠন হবে?

অর্থনীতি এইমাত্র জাতীয় জীবন-যাপন ঢাকা রাজধানী

বিশেষ প্রতিবেদক : নিমতলী থেকে শুরু করে চুড়িরহাট্টা। রাজধানীর পুরান ঢাকা রীতিমতো মৃত্যুফাঁদ। অধিক সংখ্যক জীবনহানির পরে বারবার উঠে এসেছে এর সরু গলির প্রসঙ্গ। সরকার প্রধানের নির্দেশনা সত্ত্বেও অগ্রগতি নেই গলি প্রশস্তের। জমির মালিকরা আস্থা রাখতে পারছেন না সেবাদানকারী সংস্থার উপর।
বুড়িগঙ্গার তীরে পুরান ঢাকা কয়েকশ বছর ধরে গড়ে উঠেছে বাণিজ্যিক এলাকা হিসেবে। অপরিকল্পিত নগরায়নের স্রোতে আসা বাড়তি মানুষের চাপ তাকে করেছে অসহায়। বহু আগেই বসবাসের অযোগ্য অংশে পরিণত হয়েছে পুরান ঢাকা।
স্থানীয়রা বলছেন, গলির মধ্যে মধ্যে আসলে যাওয়া আসা করাটা খুব কষ্টকর। কারণ পাশাপাশি দুইটা রিকশা চলে না। রাস্তাঘাট যেন বড় করা হয়।
স্বাধীনতার পরেও দেশের ঐতিহ্যবাহী শহরকে ঘিরে নেয়া হয়নি কার্যকরী কোনো পরিকল্পনা।
পরিবহন বিশেষজ্ঞ ড. শামসুল হক বলেন, অপরিকল্পিত যায়গায় পরিকল্পিত করার জন্য টোটালি নতুন করে ভেঙ্গে আবার করতে হবে। আর সেটি হতে হবে যৌথ; প্রাইভেট-পাবলিক পার্টারশিপের মধ্যে। জনগণ দেয় সম্পত্তি আর সরকার দেয় উন্নয়ন।
অলি-গলি প্রশস্তের মূল সমস্যা জায়গা। নগর প্রশাসন বা সরকারি সংস্থাগুলোর আশ্বাসে নির্ভরতা পাচ্ছেন পুরান ঢাকাবাসী।
স্থানীয় ব্যক্তিরা বলছেন, আমি যে যায়গাটা সরকারকে দেব এটার যদি আমি মালিক হই তাহলে সরকারের উচিৎ আমাকে কিছু অর্থ দিয়ে সহায়তা করা।
স্থানীয় আরেক বাসিন্দা বলেন, একটা দুর্ঘটনা হলে সরকার একদম সিরিয়াস। কিন্তু কিছুদিন পরে আস্তে করে এটা ভাটা পড়ে যায়।
সিটি করপোরেশনের আন্তরিকতা থাকলেও, দ্রুতই এ সমস্যার সমাধান সম্ভব নয় বলে জানালেন নগরপিতারা।
ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের মেয়র সাঈদ খোকন বলেন, এখানে হাজার হাজার বাড়ি ঘর হয়ে গেছে। তাদের পুনর্বাসন করার একটা বিষয় রয়েছে। অনেক বেশি শতর্কতার সঙ্গে আমাদের সবকিছু করতে হবে।
আস্থাহীনতার এই সংকটের রাজনৈতিক সমাধানের পরামর্শ বিশেষজ্ঞদের।
পরিবহন বিশেষজ্ঞ ড. শামসুল হক বলেন, রাজউক অনেক সময় ক্ষেপণ করে এখন যখন শুরু করেছে পুনর্গঠন করার কাজ তখন জনগণের আবার রাজউকের ওপর আস্থা নেই।


বিজ্ঞাপন

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *