বিশেষ প্রতিবেদক : খাল উদ্ধারে তৎপরতা নেই, চলছে দায়সারা সংস্কার। এভাবেই খরচ হচ্ছে গেল বছর একনেকে পাস হওয়া নগরীর ৫ খাল উদ্ধারে বরাদ্দ শত শত কোটি টাকা। এদিকে বর্ষা মৌসুমেও আবর্জনায় ভরাট ওয়াসার দায়িত্বে থাকা ২৬ খালের অধিকাংশ। এতে ফের জলাবদ্ধতার আশঙ্কায় আছেন নগরবাসী।
ঈদের দিনের এ জলাবদ্ধতাই বলে দেয় সেবা সংস্থাগুলোর প্রতিশ্রুতি আর বাস্তবতার ফারাক কতটা। মাত্র মিলিমিটার বৃষ্টিতেই রাজধানীর পল্টন, কাকরাইল, ধানমন্ডির বিভিন্ন এলাকায় অধিকাংশ সড়ক তলিয়ে যায় পানিতে, ফাঁকা ঢাকাতেও ভোগান্তি পোহাতে হয় নগরবাসীকে।
ওয়াসার দায়িত্বে থাকা বাকি খালগুলোর অবস্থাও একই রকম। এই যেমন মিরপুরের সাংবাদিক কলোনি খাল। সংস্কারের জন্য তোলা আবর্জনা জমছে পাড়েই। পলাশনগর পয়েন্টে বাইশটেকি খালের অবস্থা আরও শোচনীয়। অনেকের মনে প্রশ্ন জাগতে পারে এটি খাল না ড্রেন? যদিও অপরপ্রান্তেই চলছে ৫৫৩ কোটি টাকার খাল উদ্ধারযজ্ঞ।
খালগুলোর উদ্ধারকাজের জীর্ণ দশা নিয়ে মুখ খোলেননি ওয়াসার ভারপ্রাপ্ত এমডি, প্রধান প্রকৌশলী কিংবা অন্য কোনো কর্মকর্তা। অনানুষ্ঠানিকভাবে দখলদারদের পক্ষই দিলেন খাল সংস্কারের দায়িত্ব থাকা লাইন ডিরেক্টর।
এমন অবস্থায় নগরীর জলাবদ্ধতা নিরসনে নেয়া পদক্ষেপের কার্যকারিতা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন পরিবেশবাদীরা। বেলা’র নির্বাহী পরিচালক রিজওয়ানা হাসান বলেন, এগুলো যদি ব্যক্তিগত সম্পত্তিই হয় তবে তা খাল হিসেবে রেকর্ড হলো কীভাবে? দুর্নীতির মাধ্যমেই খাস খতিয়ান থেকে এগুলো ব্যক্তি মালিকানায় নিয়ে নেয়া হয়েছে।
প্রকল্প প্রণয়নে স্থানীয় জ্ঞান ও জনপ্রতিনিধিদের সম্পৃক্ত করার আহ্বান জানিয়েছেন পরিবেশ বিষয়ক এ আইনজীবী।