এম এ স্বপন : দেশে যোগাযোগের সবচেয়ে বড় মাধ্যম বাংলাদেশ রেলওয়ে। রেলওয়ের অনেক অরক্ষিত রেলক্রসিংয়ে দীর্ঘ কয়েক যুগেও গেট নির্মাণ করা হয়নি। এর ফলে প্রতিনিয়তই প্রাণহানি ঘটছে। রেলওয়ে কর্তৃপক্ষের কেন এই উদাসীনতা? রেল তো জনগণের সেবার জন্য। এগুলো রক্ষণাবেক্ষণের জন্য কেন জনবল নিয়োগ করা হয় না? কেনই বা রেলক্রসিংয়ে গেট নির্মাণ করা হয়নি? প্রতিটি রেলক্রসিংয়ে বেষ্টনী দেওয়া হলে হয়তো এত প্রাণহানি ঘটত না। সারা দেশে ২ হাজার ৮৭৭ কিলোমিটার রেলপথে ২ হাজার ৫৪১টি রেলক্রসিং রয়েছে। এর মধ্যে ২ হাজার ১৭০টি রেলক্রসিংয়ে প্রতিরক্ষামূলক ব্যবস্থা নেই। জনগণকে রাস্তা পারাপারের জন্য রেলক্রসিং ব্যবহার করতে হয়। রেলক্রসিং একটি বিপজ্জনক স্থান।
সারাদেশের রেলক্রসিংয়ের ৮৫ ভাগই অরক্ষিত। যা আছে সেগুলোর অর্ধেক আবার অবৈধ, বৈধগুলোর সবকটিতে নেই গেটম্যান। এভাবেই সড়কের মাঝখানে গড়ে ওঠা মৃত্যুফাঁদে প্রতিনিয়ত ঘটছে দুর্ঘটনা। লেভেল ক্রসিংগুলোতে প্রয়োজনীয় লোকবল নিয়োগসহ আধুনিক সিগন্যাল ব্যবস্থা চালুর তাগিদ দিয়েছেন বিশেষজ্ঞরা। বরাবরের মতো প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেয়ার আশ্বাস মিলেছে রেলওয়ের কাছ থেকে।
সারাদেশে ২ হাজার ৮০০ কিলোমিটার রেল লাইনে ক্রসিং রয়েছে প্রায় আড়াই হাজার। যার মধ্যে বৈধ ক্রসিংয়ের সংখ্যা মাত্র ১৪০০। রেলওয়ে বলছে, চলাচলের সুবিধার্থেই বিভিন্ন সময় স্থানীয়, সড়ক ও জনপথ অধিদপ্তর, ইউনিয়ন পরিষদ, জেলা পরিষদ, এমন কি বিভিন্ন বেসরকারি প্রতিষ্ঠানও নিজ প্রয়োজনে ক্রসিং বানিয়েছে, যেগুলো সম্পূর্ণ ঝুকিঁপূর্ণ জানিয়ে যোগাযোগ বিশেষজ্ঞরা বলছেন, এগুলোর কারণে বাড়ছে দুর্ঘটনা।
আবার রেলের বৈধ ক্রসিংগুলোও কোনো কোনো স্থানে মৃত্যুফাঁদে পরিণত হয়েছে। গেটম্যান আছে মাত্র ৪৬৬ টিতে আর গেট ম্যান ছাড়াই চলছে ৯৪৬টি। প্রয়োজনীয় লোকবল নিয়োগের পাশাপাশি আধুনিক সিগন্যালিং ব্যবস্থার দিকে নজর দেয়ার তাগিদ দিয়েছেন বিশেষজ্ঞরা। রেল বলছে, অবৈধ ক্রসিংগুলোকে বৈধ করার প্রক্রিয়া শুরু হয়েছে।
দুর্ঘটনা এড়াতে সাধারণ মানুষকে সচেতন করতে প্রচারণা চালানোর পরামর্শ বিশেষজ্ঞদের।