পুলিশে কোনো অপরাধীর জায়গা নেই

অপরাধ

নিজস্ব প্রতিবেদক : বাংলাদেশ পুলিশের মহাপরিদর্শক ড. বেনজীর আহমেদ বলেছেন, কোনো পুলিশ সদস্য যদি অপরাধের সঙ্গে জড়িত থাকে তাহলে তাকে তা বন্ধ করতে হবে। পুলিশে কোনো অপরাধীর জায়গা নেই। তিনি বলেন, আমরা যতই ভালো কাজ করিনা কেনো, একটি খারাপ কাজ সব অর্জন নষ্ট করে দেয়। শনিবার ঢাকা রেঞ্জের আগস্ট মাসের মাসিক অপরাধ পর্যালোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তৃতাকালে এ কথা বলেন। রেঞ্জের ডিআইজি হাবিবুর রহমান সভায় সভাপতিত্ব করেন।


বিজ্ঞাপন

পুলিশ মহাপরিদর্শক ড.বেনজীর আহমেদ বলেন, থানার ওসি চাইলেই হ্যামিলনের বাঁশিওয়ালা হতে পারেন‌। মানুষের জন্য কাজ করে তাদের হৃদয় ও মন জয় করা যায়। এটা টাকা দিয়ে কেনা যায় না।


বিজ্ঞাপন

সমাজকে একটি বহতা নদীর সাথে তুলনা করে আইজিপি বলেন, যেহেতু সমাজ পরিবর্তন হয় সেহেতু সমাজ পরিবর্তনের সাথে সাথে আইন-শৃঙ্খলা ও অপরাধ পরিস্থিতি পরিবর্তন হয়। তাই সর্বদা সমাজের পরিবর্তনশীল চাহিদার প্রতি লক্ষ্য রেখে পুলিশিং কার্যক্রম চালু রাখতে তিনি মাঠ পর্যায়ের কর্মকর্তাদের নির্দেশ দেন।

ড. বেনজীর আহমেদ বলেন, বঙ্গবন্ধু প্রতিটি ইউনিয়নে থানা করার যে স্বপ্ন দেখেছিলেন মূলত বিট পুলিশং সে লক্ষ্যে কাজ করে যাচ্ছে।

তিনি বলেন, প্রধানমন্ত্রী নির্বাচনী ইশতেহারে ঘোষণা করেছিলেন, প্রতিটি গ্রামে শহরের সুবিধা পৌঁছে দেয়া হবে। এক্ষেত্রে প্রতিটি ইউনিয়নে অপরাধ ও আইন-শৃঙ্খলা রক্ষায় বিট পুলিশং কার্যকর অবদান রাখতে পারে। তিনি জনগণের মাঝে বিট পুলিশিং কার্যক্রম ছড়িয়ে দেয়ার জন্য পুলিশ কর্মকর্তাদের নির্দেশনা প্রদান করেন।

পুলিশ মহাপরিদর্শক বলেন, কোনো পুলিশ সদস্য যদি কোন ধরনের অপরাধের সঙ্গে জড়িত থাকে তাহলে তাকে তা বন্ধ করতে হবে। পুলিশে কোন অপরাধীর জায়গা নেই। তিনি বলেন, আমরা যতই ভালো কাজ করি না কেন, একটি খারাপ কাজ সব অর্জন নষ্ট করে দেয়।

জুনিয়রদের যোগ্য করে গড়ে তোলা সিনিয়রদের দায়িত্ব উল্লেখ করে আইজিপি বলেন, জুনিয়রদের জন্য ভালো উদাহরণ তৈরি করতে হবে। ভালো কাজে তাদেরকে মোটিভেট করতে হবে। তাদেরকে সুপারভাইজ করতে হবে।

আইজিপি বলেন, চাকরিতে ‘প্যাশন’ আনতে হবে। প্রত্যেক পুলিশ সদস্যের সম্মান ও মর্যাদাবোধ থাকতে হবে। পেশাদারিত্বের সঙ্গে দায়িত্ব পালন করতে হবে।

আইজিপি ঢাকা রেঞ্জের বিভিন্ন ইনোভেশন কার্যক্রমে সন্তোষ প্রকাশ করেন। তিনি অন্যান্য ইউনিটেও এ ধরনের ইনোভেশনের চর্চার ওপর গুরুত্বারোপ করেন।