প্রধানমন্ত্রীর বেশিরভাগ সফরসঙ্গীই নিজ খরচে গেছেন: তথ্যমন্ত্রী

জাতীয়

নিজস্ব প্রতিবেদক : বিশ্বময় ভূমিকা, বাংলাদেশকে দেওয়া নেতৃত্ব এবং করোনাকালীন দেশকে বিশ্বের তৃতীয় সর্বোচ্চ অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধির স্থানে উন্নীত করার গল্প শুনতেই প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে জাতিসংঘ ও বিশ্বনেতারা আমন্ত্রণ জানিয়ে জাতিসংঘে নিয়ে গেছেন বলে জানিয়েছেন আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক এবং তথ্য ও সম্প্রচারমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ।


বিজ্ঞাপন

তিনি বলেছেন, বঙ্গবন্ধুকন্যা জননেত্রী শেখ হাসিনাকে জাতিসংঘ ও বিশ্বনেতারা বিশেষ আমন্ত্রণে জাতিসংঘে নিয়ে গেছেন। প্রধানমন্ত্রীর যে বিশ্বময় ভূমিকা, বাংলাদেশকে যেভাবে তিনি নেতৃত্ব দিয়ে চলেছেন, এমনকি করোনার মধ্যেও অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধি ধরে রেখে দেশকে যেভাবে বিশ্বের তৃতীয় সর্বোচ্চ প্রবৃদ্ধির স্থানে নিয়েছেন, এসব গল্প বিশ্বনেতারা তার কাছে শুনতে চেয়েছেন।

শনিবার (২৫ সেপ্টেম্বর) দুপুরে ঢাকায় নিজ সরকারি বাসভবন থেকে সিরাজগঞ্জের এনায়েতপুর থানা আওয়ামী লীগের ত্রি-বার্ষিক সম্মেলনে ভার্চুয়ালি যুক্ত হয়ে প্রধান অতিথির বক্তব্য শেষে প্রধানমন্ত্রীর জাতিসংঘ সাধারণ অধিবেশনে যোগদান নিয়ে বিএনপির সাম্প্রতিক মন্তব্য বিষয়ে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে মন্ত্রী এসব কথা বলেন।

ড. হাছান মাহমুদ বলেন, দেশের উন্নয়নে বিশ্বনেতাদের প্রশংসা বিএনপির সহ্য হচ্ছে না। তাই তারা সমালোচনা করছে। প্রধানমন্ত্রীর বেশিরভাগ সফরসঙ্গীই যে নিজ খরচে গেছেন, সেটা রিজভী আহমেদ সাহেবের জানা উচিত ছিল অথবা তিনি জেনেও না জানার ভান করছেন।

এর আগে সম্মেলনে দেওয়া বক্তব্যে তিনি বলেন, যেভাবে তাদের একেকজন বক্তব্য দিচ্ছেন, তাতে বিএনপির সিরিজ বৈঠকের ‘ফলাফল শূন্য’ মনে হচ্ছে। জনবিচ্ছিন্ন বিএনপি সিরিজ বৈঠক করে কোনো দিশা-কূল-কিনারা পায়নি। কিন্তু তারা ষড়যন্ত্রেই লিপ্ত।

এনায়েতপুর থানা আওয়ামী লীগের সভাপতি অধ্যক্ষ মো. বজলুর রশীদের সভাপতিত্বে সম্মেলনে আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক এসএম কামাল হোসেন, স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ বিষয়ক সম্পাদক ডা. রোকেয়া সুলতানা, কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য নূরুল ইসলাম ঠান্ডু, অধ্যাপক মেরিনা জাহান কবিতা, আব্দুল আওয়াল শামীম, সিরাজগঞ্জ-৫ আসনের সংসদ সদস্য আলহাজ আব্দুল মমিন মণ্ডল বক্তব্য দেন।

এর আগে সকালে সম্মেলন উদ্বোধন করেন জেলা আওয়ামী লীগের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি আলহাজ অ্যাডভোকেট কে এম হোসেন আলী হাসান এবং প্রধান বক্তা ছিলেন সাধারণ সম্পাদক আব্দুস সামাদ তালুকদার।