নিজস্ব প্রতিবেদক : সমাজের দুস্থ নারী ও শিশুদের মাঝে ত্রাণ বিতরণের সময় অজ্ঞাতনামা কয়েকজন দুষ্কৃতকারী লাঠি ও ধারালো অস্ত্র দিয়ে বিশিষ্ট ব্যবসায়ী, সমাজ সেবক ও মানবাধিকারকর্মী কাজী নাফিজ আলমের উপর অতর্কিত হামলা চালিয়েছে বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে। তিনি প্রাণে রক্ষা পেলেও ঘাড়ে ও পিঠে প্রচন্ড আঘাত পেয়েছেন বলে এ প্রতিবেদককে জানিয়েছেন তিনি। ঘটনাটি ঘটেছে টাঙ্গাইলের ঘাটাইল উপজেলার বাঘারা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে। এ ঘটনার প্রেক্ষিতে স্থানীয় কর্তৃপক্ষের কাছে লিখিত আবেদন করেও কোনো সুফল পাননি তিনি।
ঘটনার বিবরণে বলা হয়, গত সোমবার ২২ জুলাই ২০১৯ তারিখ সকালে বিশিষ্ট ব্যবসায়ী, সমাজ সেবক ও মানবাধিকারকর্মী কাজী নাফিজ আলম টাঙ্গাইলের ঘাটাইল উপজেলার বাঘারা সরকারি প্রাথমিক স্কুলে দুস্থ নারী ও শিশুদের মাঝে গ্রীষ্মকালীন ত্রাণ বিতরণ করতে গিয়ে স্থানীয় একদল দুষ্কৃতকারীদের হাতে লাঞ্ছিত ও হামলার শিকার হন। তাদের লাঠি ও ধারালো অস্ত্রের আঘাতে মারত্নকভাবে আহত হন তিনি। এক পর্যায়ে জ্ঞান হারিয়ে মাটিতে পড়ে গেলে দুবৃত্ত্বরা পালিয়ে যায়।এই ঘটনায় পরে জ্ঞান ফিরে এলে কেনোরকমে এক ভ্যান চালকের সহায়তায় ঐ স্থান ত্যাগ করেন তিনি।
এ প্রসঙ্গে কাজী নাফিজ আলম জানান, ওইদিন সকালে বাঘারা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে স্থানীয় এলাকার দুস্থ, হতদরিদ্র, অসহায় নারী ও শিশুদের মাঝে সহায়তা প্রদানের লক্ষ্যে কিছু নিত্য প্রয়োজনীয় খাদ্য সামগ্রী ও নগদ অর্থ বিতরণ শুরু করি। বিতরণ শেষে উপস্থিত এলাকাবাসীর উদ্দেশ্যে নারী ও শিশু অধিকার ও ধর্মনিরপেক্ষতা বিষয়ে কিছু বক্তব্য রাখছিলাম। হঠাৎ স্থানীয় অজ্ঞাতনামা কয়েকজন দুষ্কৃতকারী উত্তেজিত হয়ে লাঠি ও ধারালো অস্ত্র দিয়ে অতর্কিত হামলা চালায়। এতে আমি মারাত্নকভাবে আহত হই। মূলত: নারী ও শিশু অধিকার ও ধর্মনিরপেক্ষতা বিষয়ে বক্তব্য প্রদানের কারণেই তার উপর এই হামলা করা হয় বলে জানান তিনি। পরে তিনি স্থানীয় কর্তৃপক্ষকে বিষয়টি অবহিত করেন।
তিনি বলেন দীর্ঘদিন নারী ও শিশু অধিকার প্রতিষ্ঠায় দেশের বিভিন্ন স্থানে সভা সেমিনার ও সেবামূলক কার্যক্রমে নিয়মিতভাবে অংশগ্রহন ও নিজের সাধ্যমত সহযোগিতা করে আসছি। কিন্তু সেদিনের এ ঘটনায় আমি খুবই ভীত, মর্মাহত এবং নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছি।