নিজস্ব প্রতিবেদক : ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের গোয়েন্দা বিভাগের একাধিক টিম গত ২৪ ঘণ্টায় বিশেষ অভিযান চালিয়ে অজ্ঞান পার্টির ৪০ জন সদস্যকে গ্রেফতার করেছে। গত বুধবার রাজধানীর বিভিন্ন এলাকায় অভিযান পরিচালনা করে গোয়েন্দা দক্ষিণ বিভাগ ১৯ জনকে, গোয়েন্দা পশ্চিম বিভাগ সাতজনকে এবং সিরিয়াস ক্রাইম বিভাগ ১৪ জনকে গ্রেফতার করেছে। বৃহস্পতিবার দুপুরে ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের (ডিএমপি) মিডিয়া সেন্টারে অতিরিক্ত কমিশনার আবদুল বাতেন এক সংবাদ সম্মেলনে এ তথ্য জানান। তিনি বলেন, অজ্ঞান পার্টির সদস্যদের কাছ থেকে চেতনানাশক ট্যাবলেট, ট্যাবলেট মিশ্রিত খেজুর, হালুয়া ও জুস উদ্ধার করা হয়েছে। তিনি বলেন, প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে আটককৃতরা জানিয়েছে- ঈদকে সামনে রেখে তারা ঢাকা শহরের বিভিন্ন মার্কেট, পশুর হাট, বাসস্ট্যান্ড, সদরঘাট ও রেলস্টেশন এলাকা টার্গেট করে বিভিন্ন ব্যক্তির সঙ্গে সখ্যতা গড়ে তোলে। এরপর তাদের অপর সদস্যরা টার্গেট করা ব্যক্তিদের ট্যাবলেট মিশ্রিত খাবার খাওয়ানোর চেষ্টা করে। টার্গেট করা ব্যক্তি রাজি হলে কৌশলে ট্যাবলেট মিশ্রিত খাবার খাওয়ানো হয়। তাদের অন্য সদস্যরা খাবার খেলেও শুধুমাত্র টার্গেট ব্যক্তির খাবারে অজ্ঞান করার ট্যাবলেট মেশানো থাকে। এরপর অজ্ঞান হওয়া ব্যক্তির সঙ্গে থাকা টাকাসহ মূল্যবান মালামাল নিয়ে পালিয়ে যায়। অজ্ঞান পার্টির সদস্যরা খাবার হিসেবে চা, কফি, জুস, ডাবের পানি, পান, ক্রিম জাতীয় বিস্কুট ইত্যাদি ব্যবহার করে।
জাল টাকা তৈরির সরঞ্জামসহ ৭জন গ্রেফতার: ভারতীয় জাল রুপি ও টাকা তৈরির সরঞ্জামসহ সাত জনকে গ্রেফতার করেছে মহানগর গোয়েন্দা পুলিশের দুটি টিম। গত বুধবার রাজধানীর যাত্রাবাড়ী থানার মাতুয়াইল এলাকা থেকে ২৬ লাখ জাল রুপির নোট ও তা তৈরির সরঞ্জামসহ তিন জনকে গ্রেফতার করেছে গোয়েন্দা পুলিশের উত্তর বিভাগ। গ্রেফতার ব্যক্তিরা হলো -লিয়াকত হোসেন ওরফে জাকির, শান্তা আক্তার ও মমতাজ বেগম। তাদের কাছ থেকে জাল রুপি ছাড়াও রুপি তৈরির কাজে ব্যবহৃত একটি ল্যাপটপ, একটি কালার প্রিন্টার, একটি লেমিনেশন মেশিন, জাল মুদ্রা তৈরির বিপুল পরিমাণ কাগজ, বিভিন্ন কালারের কার্টিজ, সিকিউরিটি সিলসহ স্ক্রিন বোর্ড, গাম ও ফয়েল পেপার উদ্ধার করা হয়েছে। ডিবি পূর্ব বিভাগের একটি টিম গত বুধবার ফকিরাপুল এলাকা থেকে ৫০ লাখ জাল টাকাসহ মো. লাল মিয়া ও শহিদুল ইসলাম নামে দুই ব্যক্তিকে গ্রেফতার করেছে। ডিবি পশ্চিম বিভাগের একটি টিম সবুজবাগ এলাকা থেকে আবিদা সুলতানা ও আল আমিন নামে দুজনকে গ্রেফতার করে। তাদের কাছ থেকে ৪০ লাখ ২০ হাজার টাকার জাল নোট উদ্ধার করা হয়েছে। বৃহস্পতিবার দুপুরে ডিএমপি মিডিয়া সেন্টারে অতিরিক্ত কমিশনার আবদুল বাতেন এক সংবাদ সম্মেলনে গ্রেফতারের বিষয়টি জানান। তিনি বলেন, ঈদকে কেন্দ্র করে গরুর হাটে জাল টাকার নোটগুলো ছাড়ার পরিকল্পনা ছিল। এ ছাড়া জাল রুপিগুলো ব্যবহার করা হতো সীমান্ত এলাকা ও ভারতের ভেতরে। জাল টাকা ও রুপির মাধ্যমে প্রতারকরা যাতে সাধারণ মানুষকে প্রতারিত করতে না পারে, সেজন্য আরও অভিযান চালানো হবে বলে জানান তিনি।