স্পোর্টস ডেস্ক : বাংলাদেশ দলের প্রধান কোচ হিসেবে স্টিভ রোডসের দায়িত্ব শেষ হয়েছে চুক্তির মাঝপথেই। বিশ্বকাপ শেষেই তাকে বিদায় জানিয়ে দিয়েছে বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ড। প্রধান কোচ স্টিভ রোডসের পাশাপাশি চাকরি হারান পেস বোলিং কোচ কোর্টনি ওয়ালশ ও স্পিন কোচ সুনিল জোশি। আগামী বছর টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপকে সামনে রেখে সাকিব আল হাসান ও মোস্তাফিজদের বোলিং কোচ হিসিবে ড্যানিয়েল ভেট্টরি এবং চার্ল ল্যাঙ্গেভেল্ট নিয়োগ দিয়েছে বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ড।
বোলিং কোচ নিশ্চিত হলেও হেড কোচ হিসেবে এখনও কারো সঙ্গে কথা পাকাপোক্ত করতে পারেনি বিসিবি। ঘনিষ্ঠ সুত্র থেকে টাইগারদের হেড কোচ নিয়োগে দেরি হওয়ার দুই কারণ জানা গেছে। প্রথমত একই সময়ে হেড কোচ নিয়োগের বিজ্ঞপ্তি দিয়েছে ভারতীয় ক্রিকেট বোর্ড ও দ্বিতীয়ত শ্রীলঙ্কার ক্রিকেটে হাথুরুসিংহের ভবিষ্যৎ।
টাইগারদের যখন নতুন হেড কোচের প্রয়োজন হয়েছে ঠিক তখনই পার্শ্ববতী দেশ ক্রিকেটের মোড়ল ভারতেরও নতুন হেড কোচের প্রয়োজন পড়েছে। বিশ্ব ক্রিকেটের ধনী এই দুই ক্রিকেটের বোর্ডের কোচ হওয়ার ইচ্ছে প্রকাশ করেছে বহু সাবেক ক্রিকেটার। ইতিমধ্যে ভারতের কোচ হওয়ার আবেদন করেছেন প্রায় দুই হাজার সাবেক ক্রিকেটার ও কোচ।
তাদের মধ্যে টম মুডি, মাহেলা জয়াবর্ধনে, সৌরভ গাঙ্গুলিদের নাম উঠে এলেও চূড়ান্তভাবে কেউই আবেদন করেননি। কারণ ইতিমধ্যেই ভারতের অধিনায়ক কোহলির পছন্দে কোচ হওয়া একদম নিশ্চিত হয়ে গেছে সাবেক কোচ রবি শাস্ত্রিরই। তাই ভারতের কোচ হওয়ার আবেদন করলেও সেই পথ থেকে পিছে ফিরে এসেছেন মুডি, জয়াবর্ধনেরা।
তবে ভারতের এই কোচ বাছাই প্রায় চূড়ান্ত হওয়ায় এক প্রকার সুবিধাই পেয়েছে টাইগাররা। কারণ এখন বহু কোচই মুখিয়ে আছে টাইগারদের ডেরায় ভিড়তে। ইতিমধ্যেই টাইগারদের নতুন কোচ হতে আবেদন জানিয়েছেন শ্রীলঙ্কার কিংবদন্তী মাহেলা জয়াবর্ধনে।
এ ব্যাপারে বিসিবির সিইও নিজামউদ্দিন বলেন, ‘ভারতের কোচ হওয়ার দৌড়ে আছেন অনেকে। ভারত কোচ নিয়োগ দেওয়ার পর আমরা জোরেশোরে নামব। অনেকের সঙ্গেই কথাবার্তা হয়ে আছে। আমরা পূর্ণ সময়ের জন্য কোচ চাই, যার আন্তর্জাতিক পরিচিতিও রয়েছে।’ এই দৌড়ে মাহেলা জয়াবর্ধনেও আছেন।
টাইগারদের কোচ হতে মাসে ৫৫ হাজার ডলার চেয়েছেন মাহেলা। কিন্তু শর্ত দিয়েছিলেন, ফ্র্যাঞ্চাইজি লীগের জন্য ছাড় চান তিনি। মাহেলাকে টাইগারদের কোচ হিসেবে নিয়োগ দেওয়া হবে টাইগারদের ইতিহাসে সর্বোচ্চ বেতনে কোচ নিয়োগ। কারণ এখন পর্যন্ত বাংলাদেশের বিদেশী কোচদের মধ্যে সবচেয়ে বেশি বেতন নিয়েছেন চন্ডিকা হাথুরুসিংহে। প্রতি মাসে তার বেতন ছিল ২৬ হাজার ডলার। বাংলাদেশি মুদ্রায় যার পরিমাণ ২১ লাখ ৮৮ হাজার টাকা।
সে হিসেবে মাহেলার এই শর্ত মেনে নিলে মাস প্রতি প্রায় বাংলাদেশি মুদ্রায় প্রায় ৪৫ লাখ টাকা বেতনে নিয়োগ দিতে হবে তাকে।