শেখ কামালের বেদনার্ত শৈশব

Uncategorized অন্যান্য

জুনায়েদ আহমেদ পলক (এমপি) ঃ বাংলা ভাষা ও বাঙালি জাতির মুক্তির জন্য বঙ্গবন্ধু যেমন নিজের জীবন উৎসর্গ করেছেন, তেমনি বঙ্গবন্ধুর পরিবারের সদস্যরাও নীরবে-নিভৃতে অনেক ত্যাগ স্বীকার করেছেন এই জাতির কল্যাণের জন্য। শিশু শেখ কামালের সঙ্গে পিতা মুজিবের এরকম একটি ঘটনা এখনো যেকোনো মানবিক মানুষের হৃদয়কে ভিজিয়ে দিয়ে যায়।

দেশ ভাগের পরের কথা। বাংলা ভাষা আন্দোলনের বৃহত্তর পটভূমি সৃষ্টির নেতৃত্ব দিচ্ছিলেন তরুণ নেতা শেখ মুজিবুর রহমান। ভাষা আন্দোলনের নেতৃত্ব দেওয়ার কারণে বিভিন্ন অজুহাতে তরুণ নেতা শেখ মুজিবকে জেলে নিতো পাকিস্তানিরা। ভাষা আন্দোলনের সূচনাপর্বে বঙ্গবন্ধুর সাহসী নেতৃত্বে যখন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের আন্দোলন তীব্র হয়ে ওঠে, তখনও তাকে দীর্ঘমেয়াদে জেলে রাখা হয়। এরকম একটি সময়ে ১৯৪৯ সালে জন্ম হয় শেখ কামালের। কিন্তু এরপর ১৯৫২ সালের ২৬ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত দুই দফায় মোট ৮৫০ দিন জেল খাটেন বঙ্গবন্ধু। ততদিনে একটু একটু করে বেড়ে উঠেছে শেখ কামাল, আলতো আলতো করে শিখেছে কথা বলতে। কিন্তু এই সময়টায় কখনোই তার সুযোগ হয়নি পিতা শেখ মুজিবুর রহমানকে কাছে থেকে দেখার।

ফলে দীর্ঘদিন পর জেল থেকে বাড়ি আসার পর আড়াই বছরের ছোট্ট কামাল তার বাবা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে চিনতেই পারেনি। বাবাকে সে দূরে থেকে দেখে। সেসময় বঙ্গবন্ধুকন্যা শেখ হাসিনা দীর্ঘদিন পর পিতাকে ফিরে পেয়ে বাবা বাবা বলে ডেকে গলা জড়িয়ে ধরে থাকে। ছোট্ট কামাল তা অবাক হয়ে দেখতে থাকে। সে দেখতো যে- বড় বোন শেখ হাসিনা (তার হাঁসু আপা) বঙ্গবন্ধুকে বাবা বলে ডাকছে। তাই সে বোনের কাছে আবদার করে বলতো- ‘হাচু আপা, হাচু আপা, তোমার বাবাকে আমি একটু বাবা ডাকি!’

এরপর হতবিহ্বল হয়ে শিশু-পুত্র শেখ কামালকে কোলে নিয়ে কান্নায় ভেঙে পড়েন বাঙালির বলিষ্ঠ পুরুষ শেখ মুজিবুর রহমান। বঙ্গবন্ধুকন্যা শেখ হাসিনার ‘মুজিব আমার পিতা’ গ্রন্থে উঠে এসেছে পিতা বঙ্গবন্ধুকে দেখার পর শিশু পুত্র শেখ কামালের এই মর্মস্পর্শী ঘটনা।(ফেসবুক থেকে নেওয়া)


বিজ্ঞাপন

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *