বিপিসির আমদানি কার্যক্রম স্বাভাবিক রাখতে বাংলাদেশে জ্বালানী তেলের মূল্য সমন্বয় করা হয়েছে

Uncategorized জাতীয়

অর্থনৈতিক প্রতিবেদক ঃ বিশ্ববাজারের সাথে সামঞ্জস্য রেখে বিপিসির আমদানি কার্যক্রম স্বাভাবিক রাখতে বাংলাদেশে জ্বালানী তেলের মূল্য সমন্বয় করা হয়েছে, এ খবর সংশ্লিষ্ট সুত্রের।


জানা গেছে, জনবান্ধব আওয়ামী লীগ সরকার সব সময় জনগণের স্বস্তি ও স্বাচ্ছন্দ্য বিবেচনা করে সিদ্ধান্ত নেয়। যতদিন সম্ভব ছিল ততদিন সরকার জ্বালানি তেলের মূল্য বৃদ্ধির চিন্তা করে নাই। ইউক্রেন রাশিয়া যুদ্ধের কারণে অবস্থার প্রেক্ষিতে অনেকটা নিরুপায় হয়েই জ্বালানী তেলের মূল্য এডজাস্টমেন্টে যেতে বাধ্য হচ্ছে সরকার।
২০১৬ সালের এপ্রিল মাসে সরকার জ্বালানি তেলের মূল্য কমিয়ে দিয়েছিল। পরিস্থিতি স্বাভাবিক হলে সে অনুযায়ী জ্বালানি তেলের মূল্য রি-এডজাস্টমেন্ট করবে সরকার।
বাংলাদেশ পেট্টোলিয়াম কর্পোরেশন বিগত ছয় মাসে (ফেব্রুয়ারি ২২ থেকে জুলাই ২০২২ পর্যন্ত) জ্বালানি তেল বিক্রয়ে ৮০১৪.৫১ কোটি টাকা লোকসান দিয়েছে। বর্তমানে, আন্তর্জাতিক তেলের বাজার পরিস্থিতির কারণে বিপিসির আমদানি কার্যক্রম স্বাভাবিক রাখতে মূল্য সমন্বয় করতে বাধ্য হয়েছে সরকার ।
বিশ্ববাজারে জ্বালানি তেলের উর্ধ্বগতির কারণে পার্শ্ববর্তী দেশ সহ বিভিন্ন দেশে নিয়মিত তেলের মূল্য সমন্বয় করে থাকে।
২২ মে, থেকে কলকাতায় ডিজেলের মূল্য প্রতি লিটার ৯২.৭৬ রুপি এবং পেট্রোল লিটার প্রতি ১০৬.০৩ রুপি নির্ধারণ করেছে।
এই মূল্য বাংলাদেশী টাকায় যথাক্রমে ১১৪.০৯ টাকা এবং ১৩০.৪২ টাকা। ( ১ রুপি = গড় ১.২৩ টাকা)।
বাংলাদেশে কলকাতার তুলনায় ডিজেলের মূল্য লিটার প্রতি ৩৪.০৯ এবং পেট্টোল লিটার প্রতি ৪৪.৪২ টাকা কমে বিক্রয় হচ্ছিল। মূল্য কম থাকায় তেল পাচার হওয়ার আশঙ্কা শতভাগ।
এশিয়ার অনান্য দেশ যেমন
নেপালে ডিজেল ১২৭ টাকা, ইন্দোনেশিয়া ১৩৮, সিঙ্গাপুর ১৮৯ টাকা ও হংকং এ ২৬০ টাকা।
সমন্বয়কৃত ভোক্তা পর্যায়ে খুচরা মূল্য যথাক্রমে, ডিজেল ১১৪ টাকা/ লিটার, কেরোসিন ১১৪ টাকা/ লিটার, অকটেন ১৩৫ টাকা/ লিটার ও পেট্টোল ১৩০ টাকা/ লিটার।


বিজ্ঞাপন

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *