নিজস্ব প্রতিনিধি ঃ বৃহস্পতিবার ২৫ আগস্ট ঔষধ প্রশাসন অধিদপ্তরের যশোরের দায়িত্বপ্রাপ্ত কর্মকর্তা সহকারী পরিচালক নাজমুল হাসান ঔষধ প্রশাসন অধিদপ্তর যশোর এবং নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মিস তামান্না ইয়াসমিন, ইউসুফ মিয়া, এবং আবু নাসির এর সমন্বয়ে মোবাইল কোর্ট পরিচালিত হয়।
ড্রাগ অ্যাক্ট ১৯৪০ অনুযায়ী মোবাইল কোর্ট পরিচালিত হয়। ধারা নং-১৮,৩৬,৩৭,এবং ২৭। উক্ত মোবাইল কোর্ট পরিচালনা কালে
মেসার্স অ্যারোগো নিকেতন নামক প্রতিষ্ঠানের মালিক জসিম উদ্দিন ফেসবুকে ও ইউটিউব চ্যানেলে গ্যাস্টিক আলসার সহ বিভিন্ন রোগের চিকিৎসা দেওয়ার নামে দীর্ঘদিন যাবত অবৈধ বিজ্ঞাপন প্রচার করে আসছেন, যাহা প্রচলিত ঔষধ প্রশাসন অধিদপ্তরের ঔষধ নিয়ন্ত্রণ অধ্যাদেশ আইন সিদ্ধ নয়। মেসার্স আর্গন ফার্মাসিউটিক্যাল (আয়ু) দীর্ঘদিন যাবত ডিপো লাইসেন্স ছাড়াই যশোর এলাকায় মেসার্স আর্গন ফার্মাসিউটিক্যালস (আয়ু) এর ঔষধের অবৈধ ডিপো করে অবৈধভাবে ওই ডিপোতে মেসার্স আর্গন ফার্মাসিউটিক্যালস (আয়ু) এর ঔষধ সামগ্রীর মজুদ ও বাজারজাত করছে। মেসার্স হামিমান হোমিও কমপ্লেক্স এর প্রপাইটর ড. এম.কে.বাসর বিভিন্ন প্রকার অপচিকিৎসা করে আসছে।
এসকল অভিযোগে মেসার্স আর্গন ফার্মাসিউটিক্যালস (আয়ু) এর ডিপো কে ৫০০০ টাকা, মেসার্স আরোগ্য নিকেতন এর মালিক কে অবৈধ বিজ্ঞাপন প্রচার করার দায়ে ১০০০ টাকা এবং মেসার্স হামিমান হোমিও কমপ্লেক্স এর প্রপাইটর ড. এম.কে.বাসর বিভিন্ন প্রকার অপচিকিৎসা করার অভিযোগে ৪০০০ টাকা জরিমানা করা হয়।
এবিষয়ে ঔষধ প্রশাসন অধিদপ্তরের যশোরের দায়িত্বপ্রাপ্ত কর্মকর্তা সহকারী পরিচালক নাজমুল হাসানের বক্তব্য জানতে চাইলে তিনি জানান, ডিপো লাইসেন্স ছাড়া ঔষধ সামগ্রীর মজুদ ও বাজারজাত সম্পুর্ন নিষিদ্ধ, এছাড়াও পত্র পত্রিকা, সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ও ইউটিউব চ্যানেলে ঔষধের বিজ্ঞাপন প্রচার করা সম্পুর্ন অবৈধ এবং চিকিৎসার নামে অপচিকিৎসা করে জনসাধারণের জনস্বাস্থ্যের ক্ষতি করা হচ্ছে যা কারোই কাম্য হতে পারে না। ভবিষ্যতে ও এধরণের মোবাইল কোর্ট পরিচালনা অব্যাহত থাকবে এটা একটা চলমান প্রক্রিয়া।
