নিজস্ব প্রতিনিধি : দুর্নীতিকে দেশের জন্য সব থেকে বড় সমস্যা উল্লেখ করে আইনমন্ত্রী আনিসুল হক বলেছেন, শিক্ষিত লোকের মাধ্যমে বেশি অপরাধ হচ্ছে। তাই শিক্ষার্থীদের মাদক ও অন্যায়ের বিরুদ্ধে প্রতিবাদ করতে হবে। তাহলেই দেশের দুর্নীতি কমে আসবে।
শনিবার রাজধানীর বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক সম্মেলন কেন্দ্রে আনুষ্ঠানিকভাবে বৃত্তিপ্রাপ্ত ছাত্র-ছাত্রীদের বৃত্তিপত্র দেয় ডাচ বাংলা ব্যাংক। সেই অনুষ্ঠানে যোগ দিয়ে আইনমন্ত্রী এসব কথা বলেন।
পরিচালনা পর্ষদের চেয়ারম্যান সায়েম আহমেদের সভাপতিতে অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি ছিলেন বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নর ফজলে কবির।
এ বছর এসএসসি ও সমমান পরীক্ষায় উত্তীর্ণ দুই হাজার ৩৮ জন মেধাবী ছাত্র-ছাত্রীকে বৃত্তি দিয়েছে ডাচ-বাংলা ব্যাংক।
অনুষ্ঠানে জানানো হয়, শিক্ষার্থীদেরকে মাসিক ভিত্তিতে সাড়ে পাঁচ হাজার টাকা দেওয়া হয়। ডাচ-বাংলা ব্যাংক এই শিক্ষা বৃত্তির শতকরা ৯০ ভাগ দেওয়া হয় গ্রামাঞ্চলের শিক্ষার্থীদের, এর মধ্যে শতকরা ৫০ ভাগই দেওয়া হয় ছাত্রীদের।
আইনমন্ত্রী বলেন, ‘আজকের শিক্ষার্থীরাই আগামীতে দেশ গড়ায় অর্থনীতিসহ বিভিন্ন খাতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবে। ২০৪১ সালে উন্নত দেশ গড়তে সরকার বদ্ধপরিকর। এজন্য সরকার বিভিন্ন পদক্ষেপ নিয়েছে। কিন্তু সরকারের পক্ষে একাই সবকিছু করা সম্ভব নয়। এজন্য বেসরকারি খাতকে এগিয়ে আসতে হবে।’
ডাচ-বাংলা ব্যাংকের ধারাবাহিক সামাজিক ও জনকল্যাণমূলক কাজের প্রশংসা করে, বৃত্তি প্রকল্পকে দেশের দরিদ্র ও মেধাবী ছাত্র-ছাত্রীদের কল্যাণে আর্থিক খাতের অনন্য দৃষ্টান্ত বলে মন্তব্য করেন আইনমন্ত্রী। দেশের অন্যান্য করপোরেট প্রতিষ্ঠানগুলো সমাজের কল্যাণে এ ধরণের কর্মসূচি নেবে বলে তিনি আশা করেন।
সুবিধাবঞ্চিত ছাত্র-ছাত্রীদের ভবিষ্যৎ গঠনে এই অনন্য চেষ্টার জন্য ডাচ-বাংলা ব্যাংকের প্রশংসা করেন গভর্নর ফজলে কবির। এই উদ্যোগ দেশের মানবসম্পদ উন্নয়নে বিশেষ ভূমিকা রাখবে বলেও তিনি আশা করেন।
ডাচ-বাংলা ব্যাংকের চেয়ারম্যান সায়েম আহমেদ বলেন, ডাচ-বাংলা ব্যাংক যখন দেখল অসংখ্য শিক্ষার্থী শিক্ষা ক্ষেত্রে সমান সুযোগ থেকে বঞ্চিত, তখনই ব্যাংক এই শিক্ষাবৃত্তি চালু করে। মেধাবী হওয়া সত্ত্বেও আর্থিক সংকটের জন্য মেধাকে কাজে লাগানোর সুযোগ পাচ্ছে না তারা।