সামরিক বিশ্লেষক ঃ ভারত থেকে সমরাস্ত্র ক্রয়ে বিশেষ অগ্রগতি ও বুদ্ধিমত্তার পরিচয় দিয়েছে বাংলাদেশ সশস্ত্রবাহিনী।আমরা সকলেই অবগত ভারত তাদের প্রতিবেশি দেশগুলোতে সমরাস্ত্র রপ্তানি করতে আগ্রহী।
কিন্তু প্রতিযোগিতার মাধ্যমে অনেকাংশেই সম্ভব না হওয়ায় তারা রাজনৈতিক ভাবেও চেষ্টা চালাচ্ছে। ভারতীয় সংবাদ মাধ্যম দি হিন্দুস্থান টাইমস এর দেওয়া তথ্যামতে বিশেষ অগ্রগতি হয়েছে এই সমরাস্ত্র ক্রয়ে।
ভারত বাংলাদেশকে ৫০০ মিলিয়ন লোন অব ক্রেডিট দিয়েছিল। বাংলাদেশ সরকার গ্রহন করার পরও কেনাকাটা না করায় ভারত থেকে চাপ দিয়েই যাচ্ছিল।
যেহেতু সরকার লোন গ্রহণ করেছে সেহেতু সমরাস্ত্র কেনাকাটা করতেই হতো। সেক্ষেত্রে আমাদের সশস্ত্র বাহিনী বুদ্ধিমত্তার ব্যবহার করেছে।
আমাদের সশস্ত্র বাহিনী এক্ষেত্রে ভারত থেকে স্ট্রাটেজিক সমরাস্ত্র না করে সাধারণত যে সমরাস্ত্র প্রয়োজন সেগুলো সিলেকশন করেছে।
এক্ষেত্রে হালকা সমরাস্ত্র প্রাধান্য পেয়েছে। কি সিলেকশন করা হয়েছে তালিকা দেখলেই আপনারা সকলেই বিষয়টি স্পষ্টভাবে বুঝতে পারবেন আশা করি।
ভারতীয় ঐ সংবাদ মাধ্যমের দেওয়া তথ্যমতে, বাংলাদেশ সেনাবাহিনী যে সকল সমরাস্ত্র ক্রয়ের কথা জানিয়েছে সেগুলো হচ্ছে, ৫টি ব্রিজ লেয়ার টাংক (BLT-72), ৭টি পোর্টেবল স্টিল ব্রিজ, ১১ টি মাইন প্রতিরোধী সাঝোয়া যান। এই তালিকায় সেনাবাহিনী আরও যুক্ত করেছে, XUB 500, হেভি রিকোভারী ভেহিকল, বুলেট প্রুফ হেলমেট।
বাংলাদেশ নৌবাহিনীর পক্ষ থেকে উল্লেখ করা হয়েছে, লজিস্টিক শীপ, ফ্লোটিং ডক, তেল পরিবহনকারী টাংকার ও সমুদ্রে চলাচলকারী টাগবোট।
প্রতিবেশি দেশ ভারতের সাথে বন্ধুত্বপূর্ন সম্পর্ক থাকলেও বেশ কিছু বিষয়ে সমস্যা রয়েছে। সবকিছু মিলিয়ে যদি ভারতের সাথে ভবিষ্যতে কখনো উত্তেজনার সৃষ্টি হয় তাহলে ভারত থেকে কেনা স্ট্রাটেজিক সমরাস্ত্র তেমন কাজে আসবেনা। কিন্তু এসব হালকা সমরাস্ত্র তাদের বিরুদ্ধে ব্যবহার করা সম্ভব হবে।
এখানে আমাদের সশস্ত্র বাহিনী ভারত থেকে লোন অব ক্রেডিট দিয়ে যেসব সমরাস্ত্র ক্রয় করতে চেয়েছে এতে আমাদেরও চাহিদা পূরন হবে এবং ভারতকেও শান্ত রাখা যাবে। অন্যদিকে স্ট্রাটেজিক সমরাস্ত্র আরও বিভিন্ন দেশ থেকে প্রয়োজনমত সংগ্রহ করা যাবে।
উল্লেখ্য, সংবাদ মাধ্যমে প্রকাশিত প্রতিবেদনে বিমানবাহিনীর পক্ষ থেকে কোনো উইশ লিস্ট হস্তান্তর করেছে কিনা তা উল্লেখ করা হয়নি।