বিশেষ প্রতিবেদক :
বাংলাদেশে অনলাইনভিত্তিক ক্যাসিনো ব্যবসার মূল হোতা সেলিম প্রধানকে গত ৩০ সেপ্টেম্বর শাহজালাল বিমানবন্দরে ফ্লাইট থেকে আটক করা হয়। গ্রেফতারের পর জুয়াসহ তার নানা অপরাধ সম্পর্কে চাঞ্চল্যকর তথ্য উঠে আসছে। আন্ডারওয়ার্ল্ডে ‘থাই ডন’ হিসেবে পরিচিত ছিলেন সেলিম প্রধান।
র্যাব জানায়, গুলশান ২-এর ৯৯ নম্বর সড়কের ১১/১ নম্বরে বিলাসবহুল ফ্ল্যাট ভাড়া করে ‘রঙ্গমহল’ বানিয়েছিলেন সেলিম প্রধান। সেই রঙ্গমহলে প্রভাবশালী রাজনীতিক, মন্ত্রী, শিল্পপতি, ব্যবসায়ী ও উচ্চপদস্থ সরকারি কর্মকর্তাগণের যাতায়াত ছিল। সেখানে নানা অনৈতিক কাজ হতো চার দেয়ালের আড়ালে। আর এসব কুকর্মের ভিডিও গোপন ক্যামেরায় ধারণ করতেন সেলিম।
অনলাইনভিত্তিক ক্যাসিনো ব্যবসার মূল হোতা সেলিম প্রধানের তিনটি মেমোরি কার্ডে পাওয়া গেছে অনেক উচ্চপদস্থ ব্যক্তিবর্গ ও রাজনীতিবিদদের আপত্তিকর ছবি।
গত ৩০ সেপ্টেম্বর শাহজালাল বিমানবন্দরে ফ্লাইট থেকে তাকে গ্রেপ্তার পর জুয়াসহ তার নানা অপরাধ সম্পর্কে চাঞ্চল্যকর তথ্য উঠে আসছে।
গ্রেপ্তারের পর এ সময় তার লাগেজ তল্লাশি করে তিনটি মেমোরি কার্ড পাওয়া যায়। পরে ওই কার্ড তিনটি পরীক্ষা করে সেখান থেকে দেশি-বিদেশি তরুণীদের সঙ্গে বাংলাদেশি অনেক উচ্চপদস্থ ব্যক্তিবর্গ ও রাজনীতিবিদদের আপত্তিকর ছবি উদ্ধার করা হয়।
গোয়েন্দা সূত্র জানিয়েছে, এ বিষয়ে র্যাবের জেরায় নিশ্চুপ ছিলেন সেলিম প্রধান। তাকে জিজ্ঞাসা করা হয়, কেন ওই মেমোরি কার্ডগুলো থাইল্যান্ডে নিয়ে যাচ্ছিলেন? জবাবে কোনো সদুত্তর দিতে পারেননি সেলিম।
র্যাবের দাবি, নিজের রঙ্গমহলে এসব ভিআইপিতের মনোরঞ্জনের ব্যবস্থা করে দিয়ে তাদের আপত্তিকর সব ছবি ও ভিডিও বানাতেন সেলিম। পরে বিভিন্ন সময় এসব ছবি ও ভিডিও দেখিয়ে তাদের ফাঁসাতেন।
ভিআইপিদের ভয় দেখিয়ে কোটি কোটি টাকা হাতিয়ে নেয়ার পরিকল্পনা ছিল সেলিম প্রধানের।
একই তথ্য দিয়েছেন গুলশানের সেই বাড়ির মালিক ও সেলিমের সহযোগী মাসুম।
এরই মধ্যে অনলাইন ক্যাসিনোর মূল হোতা সেলিম প্রধানসহ তিনজনকে মাদক মামলায় চার দিনের রিমান্ডে পাঠিয়েছেন আদালত। ঢাকা মহানগর আদালতের হাকিম মইনুল ইসলাম বৃহস্পতিবার দুপুরে এ আদেশ দেন।
১/২