!! দুদক এনফোর্সমেন্ট ইউনিট হতে ৪ টি অভিযোগের বিষয়ে পদক্ষেপ গ্রহণ করা হয়েছে এবং ১ টি দপ্তরে অভিযান পরিচালনা করা সহ ৩ টি দপ্তরে পত্র প্রেরণ করা হয়েছে !!
নিজস্ব প্রতিবেদক ঃ সিলেট ফেঞ্চুগঞ্জের শাহজালাল ফার্টিলাইজার কোম্পানী, কর্তৃপক্ষের বিরুদ্ধে ডিলারদের নিকট তরল এ্যামোনিয়া বিক্রয়ের ক্ষেত্রে চাঁদা আদায়ের অভিযোগের ভিত্তিতে দুর্নীতি দমন কমিশন, সমন্বিত জেলা কার্যালয়, সিলেট এর সহকারী পরিচালক মো: আশরাফ উদ্দিনের নেতৃত্বে বৃহস্পতিবার ২২ সেপ্টেম্বর, একটি এনফোর্সমেন্ট অভিযান পরিচালনা করা হয়েছে।
অভিযান পরিচালনা কালে টিম শাহজালাল ফার্টিলাইজার কোম্পানীর ব্যবস্থাপনা পরিচালকের সাথে কথা বলে সংশ্লিষ্ট বিষয়ে রেকর্ডপত্র সংগ্রহ করে। রেকর্ডপত্র পর্যালোচনায় দেখা যায় যে, শাহজালাল ফার্টিলাইজার কোম্পানী, ফেঞ্চুগঞ্জ, সিলেট এর নিবন্ধিত ডিলারের সংখ্যা ১২৩টি। কোম্পানীর নিবন্ধিত ডিলারদের যে কেউ এ্যামোনিয়া সিলিন্ডার ক্রয়ের জন্য আবেদন করলে আবেদন মঞ্জুর হওয়ার পর নির্ধারিত প্রক্রিয়ায় কোম্পানীর সংশ্লিষ্ট হিসাবে টাকা জমাদান সাপেক্ষে কোম্পানী থেকে সিলিন্ডার সরবরাহ করা হয়।
তবে অভিযানকালে সিলিন্ডার ক্রয়-বিক্রয়ের ক্ষেত্রে কোন সমিতির প্রমাণ পাওয়া যায়নি। এছাড়া পর্যালোচনায় আরও দেখা যায় যে, বাংলাদেশ কেমিক্যাল ইন্ডাস্ট্রিজ কর্পোরেশন (বিসিআইসি) কর্তৃক প্রণীত তরল এ্যামোনিয়া বিক্রয়ের নীতিমালা ২০২১ অনুসারে ভ্যাটসহ কোম্পানী প্রদত্ত প্রতি ৫০ কেজি সিলিন্ডারের বিক্রয় মূল্য ২০৩০ টাকা। অভিযান পরিচালনা কালে একাধিক ডিলারের সাথে যোগাযোগ করে জানা যায় যে, ডিলার কর্তৃক প্রতি ৫০ কেজি সিলিন্ডারের বিক্রয় মূল্য ৪৫০০ টাকা হতে ৫৭৫০ টাকা। মূলত ডিলাররা অবস্থান ভেদে একেক ধরণের মূল্য নির্ধারণ করেন। এক্ষেত্রে ডিলার কর্তৃক অত্যাধিক মূল্যে সিলিন্ডার বিক্রয়ে সত্যতা পাওয়া যায়। তবে এবিষয়ে শাহজালাল ফার্টিলাইজার কোম্পানী কর্তৃক কোন ধরণের চাঁদা আদায়ের প্রমাণ পাওয়া যায়নি।
এনফোর্সমেন্ট অভিযান পরিচালনাকারী টিম রেকর্ডপত্র পর্যালোচনা করে শীঘ্রই কমিশন বরাবর বিস্তারিত প্রতিবেদন দাখিল করবে।
এছাড়াও দুদক অভিযোগ কেন্দ্রে (হটলাইন- ১০৬) আগত অভিযোগের প্রেক্ষিতে ব্যবস্থা গ্রহণপূর্ক কমিশনকে অবহিত করার জন্য ৩টি দপ্তরে দুদক এনফোর্সমেন্ট ইউনিট থেকে পত্র প্রেরণ করা হয়েছে।