নিজস্ব প্রতিবেদক : বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়ের (বুয়েট) দ্বিতীয় বর্ষের ছাত্র আবরার ফাহাদকে পিটিয়ে হত্যা করা হয়েছে। রক্তক্ষরণ ও ব্যথায় তিনি মারা গিয়েছেন বলে ময়নাতদন্ত প্রতিবেদনে জানানো হয়।
সোমবার দুপুরে আবরারের ময়নাতদন্ত শেষে ঢাকা মেডিকেল কলেজের ফরেনসিক বিভাগের প্রধান সোহেল মাহমুদ সাংবাদিকদের এ কথা জানান।
তিনি বলেন, ‘ময়না তদন্তের পর আমরা তার সমস্ত শরীরে মারধর ও আঘাতের চিহ্ন পেয়েছি।… মারের আঘাতের জন্যে সে মারা গিয়েছে। আঘাতগুলো দেখে আমাদের কাছে মনে হয়েছে তাকে ভোঁতা কোনো কিছু দিয়ে তাকে আঘাত করা হয়েছে। এটি বাঁশও হতে পারে বা ক্রিকেট খেলার স্ট্যাম্পও হতে পারে।… তার শরীরের হাতে, পায়ে এবং পিঠে আঘাতের চিহ্ন রয়েছে।’
তিনি আরো বলেন, ‘যে পরিমাণ আঘাতের চিহ্ন তার শরীরে পেয়েছি… এক্সটেনসিভ ব্রুইস ছিলো। আমাদের ধারণা সেই এক্সটেনসিভ ব্রুইসের জন্যে সে মারা গেছে। তার হাতে, পায়ে এবং পিঠে ব্লান্ট ফোর্স ইনজুরি ছিলো। এর জন্যে তার শরীরে রক্তক্ষরণ হয়েছে। রক্তক্ষরণ ও ব্যথায় সে মারা গিয়েছে।’
ঢামেক মর্গের সামনে নিহত আবরার ফাহাদের মামাতো ভাই জহুরুল ইসলাম সাংবাদিকদের বলেন, ফাহাদ কোনো রাজনৈতিক সংগঠনের সঙ্গে জড়িত ছিল না। সে কুষ্টিয়া জেলা স্কুল থেকে এসএসসিতে জিপিএ-৫ পেয়ে ঢাকায় নটর ডেম কলেজে ভর্তি হয়। সেখান থেকে এইচএসসিতেও জিপিএ-৫ পায়। পরে বুয়েটে ভর্তি হয়।
জহুরুল আরও বলেন, ফাহাদের মরদেহ গ্রামের বাড়ি কুষ্টিয়ায় নিয়ে যাওয়া হবে। সেখানে পারিবারিক কবরস্থানে মরদেহ দাফন করা হবে।
উল্লেখ্য, রোববার (০৬ অক্টোবর) দিনগত রাতে বুয়েটের শেরে বাংলা হলের দ্বিতীয় তলা থেকে আবরার ফাহাদের মরদেহ উদ্ধার করা হয়।