আজকের দেশ ডেস্ক ঃ ইসরাইলের গোয়েন্দা সদস্য সাফাদি জানুয়ারির ১ তারিখে ফেসবুক লাইভ করেন দুবাই থেকে। ছবি: ফেসবুক গণ অধিকার পরিষদের সদস্য সচিব নুরুল হক নুরের সঙ্গে ইসরাইলের গোয়েন্দা সংস্থা মোসাদ-এর সদস্য মেন্দি এন সাফাদির একটি ছবি নিয়ে প্রথম শুরু হয় আলোচনা। গণমাধ্যমে দেয়া বক্তব্য ও ফেসবুক পোস্টে এই ছবিটিকে ‘এডিটেড’ বলেছেন নুর। কিন্তু সোমবার (২ জানুয়ারি) ছবিটি নিয়ে প্রথম সংবাদ প্রকাশের পর একাধিক সূত্র বলছে এটি এডিটেড নয় প্রকৃত ছবি। এমনকি যিনি ছবিটি তুলেছেন তার বরাত দিয়ে এই দাবি করা হয়েছে। সেই সঙ্গে নতুন করে যুক্ত হলো দুবাই থেকে সাফাদির লাইভ।
প্রকাশিত ছবিটি এডিটেড দাবি করে মেন্দি এন সাফাদিকে চেনেন না বলে জানান ঢাবি ডাকসুর সাবেক ভিপি নুর। তার দাবিটি সঠিক কিনা জানতে বর্তমানে সাফাদি কোথায় রয়েছেন তা খুঁজে বের করার চেষ্টা করা হয়। সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে সাফাদির পরিচয় হিসেবে ব্যবহার করা হয়েছে, ‘সাফাদি সেন্টারের প্রধান’।
এই সাফাদি সেন্টারের কাজ হিসেবে বর্ণনা করা হয়েছে আন্তর্জাতিক কূটনীতি, গবেষণা এবং পাবলিক রিলেশন। অবশ্য সাফাদির নামে দুইটি অ্যাকাউন্টের খোঁজ মেলে যার একটি ফেক বা ভুয়া যেখানে ২০১৯ সালে অ্যাকাউন্ট খোলার পর অন্য কোন পোস্ট নেই। অপর ফেসবুক অ্যাকাউন্টটি দীর্ঘদিন যাবৎ ব্যবহার করছেন সাফাদি।
২০১৬ সালের আগস্ট মাস থেকে এই ফেসবুক অ্যাকাউন্ট ব্যবহার করছেন মেন্দি এন সাফাদি। ছবি: ফেসবুকদীর্ঘদিন যাবৎ ব্যবহৃত এই অ্যাকাউন্ট থেকে জানুয়ারির ১ তারিখে একটি ফেসবুক লাইভ করা হয় দুবাই থেকে। কোন ক্যাপশন ছাড়া প্রকাশিত এই লাইভে দুবাইয়ে সাফাদি নতুন বছরের আয়োজন দেখছেন তা স্পষ্ট হয়। সুতরাং বোঝাই যাচ্ছে, এই একই সময় নুর এবং সাফাদি উভয়েই দুবাই অবস্থান করেছিলেন।
উল্লেখ্য, ২০১৬ সালের আগস্ট মাস থেকে এই ফেসবুক অ্যাকাউন্ট ব্যবহার করছেন মেন্দি এন সাফাদি। যেখানে তিনি নিয়মিত পোস্ট দেয়ার পাশাপাশি অসংখ্যবার লাইভে এসেছেন।
এদিকে নুর বারবার এই ছবিকে ‘এডিটেড’ বলে দাবি করলেও একাধিক ফটোগ্রাফি বিশেষজ্ঞ মত দেন, এই ছবিটি কোনভাবেই এডিট করা নয়। ছবিতে রোদের আলো, উভয়ের দাঁড়ানোর ভঙ্গি, একজনের শরীরে আরেকজনের ছায়া এবং সর্বোপরি ব্যাকগ্রাউন্ডের সঙ্গে উভয়ের চুল থেকে শুরু করে সবকিছু মিলে যাওয়ার বিষয়টির কারণে এটিকে ‘এডিটেড নয় বরং প্রকৃত ছবি’ বলে মত দেন তারা।
২০১৬ সালে বিএনপির তৎকালীন যুগ্ম মহাসচিব আসলাম চৌধুরী বিদেশে মেন্দি এন সাফাদির সঙ্গে বৈঠক করেন। বৈঠক শেষে দুজনের ছবি ফাঁস হয়ে গেলে দেশজুড়ে শুরু হয় তোলপাড়।
একপর্যায়ে আসলাম চৌধুরীর দেশত্যাগের ওপর নিষেধাজ্ঞা আরোপ করা হয়। পরে তাকে গ্রেফতার করে পুলিশ। সরকার উৎখাতের ষড়যন্ত্রের উদ্দেশে আসলাম চৌধুরী ইসরাইলি নেতার সঙ্গে বৈঠক করেছেন বলে জানায় পুলিশ।
