পিংকি জাহানারা: ১৯৫২ সালের এ দিনে সালাম, জব্বার, বরকত ,শফিউরসহ মেডিকেল কলেজের বহু ছাত্রছাত্রীরা বাংলা ভাষাকে রক্ষা করার জন্য বুকের তাজা রক্ত দিয়েছিল।
বর্বর পাক হানাদার বাহিনীরা চক্রান্ত করে বাঙালির মুখের ভাষা কেড়ে নেওয়ার জন্য নীল নকশা তৈরি করেছিল। যা বাঙালিরা বুঝতে পেরে এর বিরুদ্ধে তীব্র প্রতিবাদ জানায়। বাঙালিরা মাতৃভাষা বাংলাকে রাষ্ট্রভাষা করার লক্ষ্যে বিভিন্ন সংগ্রাম করে নিজেদের বুকের তাজা রক্ত দিয়ে মাতৃভাষাকে রক্ষা করেছিল। রক্তের অক্ষরে রাঙিয়ে ছিল কোটি কোটি বাঙালির অজস্র স্বপ্নকে।
আর তাদের সেই জ্বালানো গৌরববর্ধনকারী দীপশিখা আরো অধিক উজ্জ্বল হয়ে হয়ে রূপ নিয়েছিল একাত্তরের স্বাধীনতা।পৃথিবীর মানচিত্রে এক স্বাধীন ভূ-খণ্ডের অভ্যুদয় ঘটেছিল। যার নাম বাংলাদেশ।
আর সেই ভাষার জন্য আত্মোৎসর্গকারী শহীদদের প্রতি শ্রদ্ধা নিবেদন করছে সর্বস্তরের মানুষ। মহান শহীদ দিবস ও আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস উপলক্ষে রাত ১২ টা ১ মিনিটে একুশের প্রথম প্রহরে খুলনা মহানগরীর শহীদ হাদিস পার্কে পুষ্পস্তবক অর্পণ করে শ্রদ্ধা নিবেদন করেন খুলনা সিটি করপোরেশন মেয়র তালুকদার আবদুল খালেক,, খুলনা জেলা প্রশাসক খন্দকার ইয়াসির আরেফিন,খুলনা মহানগর আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এম ডি এ বাবুল রানা,খুলনা মহানগর আওয়ামী লীগের দপ্তর সম্পাদক মুন্সি মাহবুব আলম সোহাগ, খুলনা জেলা আইনজীবী সমিতির সভাপতি এ্যাড.সাইফুল ইসলাম,, খুলনা মহানগর বিএনপির আহবায়ক এ্যাড.শফিকুল আলম মনা, পরে শ্রদ্ধা নিবেদন করেন জেলা পুলিশ, মুক্তিযোদ্ধা সংসদ, সদর উপজেলা প্রশাসন, পিবিআই, প্রেস ক্লাব, সাংবাদিক ইউনিয়ন,রেঞ্জ ডিআইজি এবং সরকারি ও বেসরকারি দপ্তরসহ সামাজিক ও সাংস্কৃতিক সংগঠন।